পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দারুণ ব্যস্ত দেশের অর্থনীতির প্রবেশদ্বার চট্টগ্রাম বন্দর। বাড়ছে আমদানি-রফতানি। করোনার ধাক্কা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে অর্থনীতি। আর তাতে দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর হয়ে উঠেছে কর্মমুখর। বন্দরের সবকটি জেটিতে চলছে খোলাপণ্য এবং কন্টেইনার খালাস। বর্হিনোঙ্গরে মাদার ভেসেল থেকে লাইটারেজ জাহাজে পণ্য খালাস চলছে রাত দিন। নৌপথে চলছে আমদানি পণ্য পরিবহন। কর্ণফুলীর ১৬টি ঘাটে পণ্য খালাস হচ্ছে। রেলপথেও পণ্য যাচ্ছে।
চট্টগ্রাম বন্দরভিত্তিক সব চেয়ে বড় রাজস্ব আদায়কারী প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে ব্যস্ততা বাড়ছে। পুরোদমে চলছে শুল্কায়ন। পতেঙ্গাসহ মহানগরীর আশপাশে গড়ে উঠা বেসকারি কন্টেইনার ডিপোতে পণ্যবাহী ভারী যানবাহনে ভিড়। চট্টগ্রাম ইপিজেড, কর্ণফুলী ইপিজেড, কোরিয়ান ইপিজেডসহ চট্টগ্রামের শিল্প কারখানায় কাঁচামাল এবং রফতানিপণ্য বোঝাই লরি, কার্ভাডভ্যানের ভিড় বেড়েই চলছে।
দেশের অন্যতম বাণিজ্যিক কেন্দ্র চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ আছদগঞ্জ সরগরম। সড়ক এবং নৌপথে বাড়ছে পণ্যপরিবহন। দেশের অর্থনীতির লাইফ লাইন ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে আমদানি-রফতানি পণ্যবাহী যানবাহনের দীর্ঘ লাইন। সমুদ্রপথে আমদানি রফতানির ৯২ শতাংশই সম্পন্ন হয় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। করোনায় সাবির্ক অর্থনৈতিক কর্মকানস্ড কিছুটা স্থবিরতা আসলেও তা এখন কেটে যেতে শুরু করেছে।
তবে করোনায় এক মুহূর্তের জন্যও বন্ধ হয়নি চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম। টানা সরকারি ছুটির অঘোষিত লকডাউনের মধ্যে বন্দর সচল ছিলো। সচল ছিলো চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসও। কাঁচামালের যোগান স্বাভাবিক থাকায় সচল ছিলো অনেক শিল্পের চাকা। সরকারের নানা উদ্যোগের ফলে বন্দর সচল থাকায় দেশের শিল্পের কাঁচামাল এবং ভোগ্যপণ্যসহ জরুরি ওষুধ ও স্বাস্থ্যসেবা সরঞ্জাম সরবরাহ স্বাভাবিক থাকে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, বন্দর এখন শতভাগ কর্মমুখর। বন্দরের কোন জেটি খালি নেই। বর্হিনোঙ্গরে গড়ে ৪০টির মতো জাহাজে পণ্য খালাস হচ্ছে। আমদানি-রফতানি বাড়ছে। জাহাজ আগমনের হারও বাড়ছে। গত কয়েক দিনে গড়ে ৪ হাজারের বেশি কন্টেইনার খালাস হচ্ছে। পরিবহনও হচ্ছে সাড়ে তিন হাজার কন্টেইনার। খোলাপণ্য খালাসও বাড়ছে। বন্দরে কোন জট নেই, জাহাজের গড় অবস্থান কালও কমছে। করোনার আগের স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে আসছে।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মোহাম্মদ ফখরুল আলম বলেন, কাস্টম হাউস এখন পুরোদমে সচল। বলা যায় পরিস্থিতি একেবারেই স্বাভাবিক। আমদানি-রফতানি কার্যক্রমের সাথে শুল্কায়ানেও গতি এসেছে। বাজার এবং চাহিদার কারণে আমদানি-রফতানির পরিমাণ উঠা নামা করে জানিয়ে তিনি বলেন, করোনার আগে আমদানির যে প্রবাহ ছিলো এখন তার চেয়ে কিছুটা কমেছে। তবে সার্বিকভাবে আমদানি-রফতানি বাড়ছে। চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ ও আছদগঞ্জের ব্যবসায়ীরা জানান, ব্যবসা-বাণিজ্য পুরোপুরি সচল হয়ে উঠছে।
চিটাগাং চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, সরকার মানুষের জীবন এবং জীবিকা রক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ায় কম সময়ের মধ্যে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। ব্যবসায়ীরাও ধকল কাটিয়ে উঠছেন। রেমিট্যান্স প্রবাহসহ অনেক সূচকে বাংলাদেশ ভাল অবস্থানে আছে। আগামী দুই এক মাসের মধ্যে পরিস্থিতির আরো উন্নতি হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে করোনা পরিস্থিতিতেও চট্টগ্রাম বন্দর গেলে অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। বন্দরে জাহাজ আগমন, কন্টেইনার ও পণ্য হ্যান্ডলিং আগের অর্থবছরের তুলনায় বেড়েছে। ৩০ লাখ ৪ হাজার ১৪২ টিইইউস কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে। কার্গো হ্যান্ডলিং হয়েছে ১০ কোটি ১৫ লাখ ৬৫ হাজার ২৭২ মেট্রিক টন। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৪২ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে ৬৫ হাজার ৪৩৩ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত দেড় মাসে প্রায় চার হাজার ৩০০ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।