পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা পরিস্থিতে প্রথম দফায় সীমিত পরিসরে কিছু ট্রেন চলাচলের পর গতকাল রোববার থেকে আরও ১৩ জোড়া যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। নতুন ১৩ জোড়া ট্রেন করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ পাঁচ মাস বন্ধ ছিল। রেলওয়ে সূত্র জানায়, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করতে রেলের পূর্ব ঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, অনলাইন টিকিট ক্রয়ে আস্তে আস্তে অভ্যস্ত হয়ে যাবে মানুষ। ঘরে বসে যাতে টিকিট কাটতে পারে, এ কারণেই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা যা কিছু করছি সাধারণ যাত্রীদের জন্যই করছি। ট্রেনের টিকিট নিয়ে যেন কোনো কালোবাজারি না হয় সেজন্য অনলাইনে টিকিট দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। গতকাল সকালে ট্রেন চলাচল ও কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের সার্বিক কাজ পরিদর্শনে এসে এ কথা জানান তিনি।
রেলওয়ের কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে গতকাল সকালে পারাবত, চিত্রা, নীলসাগর ও তিস্তা এক্সপ্রেস ছেড়ে গেছে। গতকাল থেকে যে ১৩ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে, সেগুলো হলো- পঞ্চগড়-ঢাকা-পঞ্চগড় রুটে একতা এক্সপ্রেস, খুলনা-ঢাকা-খুলনা রুটে সুন্দরবন এক্সপ্রেস, রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী রুটে পদ্মা এক্সপ্রেস, ঢাকা-সিলেট-সিলেট রুটে পারাবত এক্সপ্রেস, ঢাকা-মোহনগঞ্জ-ঢাকা রুটে হাওড়া এক্সপ্রেস, ঢাকা-তারাকান্দি-ঢাকা রুটে অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস, রাজশাহী-চিলাহাটী-রাজশাহী রুটে তিতুমীর এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে মহানগর এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম রুটে বিজয় এক্সপ্রেস, ঢাকা-নোয়াখালী-ঢাকা রুটে উপক‚ল এক্সপ্রেস, খুলনা-চিলাহাটি-খুলনা রুটে সীমান্ত এক্সপ্রেস, গোবরা-রাজশাহী-গোবরা রুটে টঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেস। এছাড়া এক জোড়া কমিউটার ট্রেন ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ বাজার-ঢাকা রুটে চলছে।
রেলমন্ত্রী বলেন, আমরা গত মে মাসে ১৭ জোড়া ট্রেন চালু করেছিলাম। আজ থেকে আরও ১৩ জোড়া ট্রেন চলাচল করবে। যেভাবে আমরা শুরু করেছিলাম সেই একইভাবে সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে ট্রেন পরিচালনা অব্যাহত থাকবে। তবে তার জন্য যাত্রীসাধারণ থেকে শুরু করে সকলকেই আমাদের সহযোগিতা করতে হবে। স্মার্টফোন দিয়ে অনলাইনে টিকিট কাটার মতো সক্ষমতা শতভাগ মানুষের নেই। সেক্ষেত্রে তারা কী ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবে না এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, করোনার প্যানডেমিক এই সিচুয়েশনে খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া ভ্রমণকে আমরা সবাই নিরুৎসাহিত করছি। স্কুল-কলেজ এখনো খোলেনি। এখনো স্বাভাবিক অবস্থায় আমরা আসিনি। আর তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারে দুর্নীতি যেমন কমবে, আমাদের সময়ও বাঁচবে।
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হলে গত ২৪ মার্চ সন্ধ্যায় যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। দুই মাস পর গত ৩১ মে প্রথম দফায় আট জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চালু করা হয়। গত ৩ জুন দ্বিতীয় দফায় আরও ১১ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন বাড়ানো হয়। বর্তমানে বিভিন্ন গন্তব্যে ৩৪টি ট্রেন চলাচল করছে। রোববার রেলের বহরে যুক্ত হয়েছে আরও ২৬টি ট্রেন। সবমিলিয়ে এখন চলাচল করা ট্রেনের সংখ্যা ৬০টি, অর্থাৎ ৩০ জোড়া ট্রেন। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করতে চলতি মাসের মধ্যেই পর্যায়ক্রমেই সব ট্রেন চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।