Inqilab Logo

রোববার, ০৯ জুন ২০২৪, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

দক্ষিণাঞ্চলে করোনা সংক্রমণ কিছুটা হ্রাস পেলেও মৃত্যুর মিছিলে আরো তিনজন

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৬ আগস্ট, ২০২০, ২:১২ পিএম

দক্ষিণাঞ্চলে করোনা সংক্রমনের সংখ্যাটা সরকারী হিসেবে রবিবার দুপুরের পূর্ববর্তি ২৪ ঘন্টায় আগের দিনের ৮১ থেকে ৩৭ জনে হ্রাস পেলেও নতুন করে ৩জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে এ অঞ্চলে আক্রান্ত ৬ হাজার ৭৭১ জনের মধ্যে ১৩৪ জনের মৃত্যু হল। এরমধ্যে চলতি মাসের প্রথম ১৬ দিনেই ১৮ জনের মৃত্যু ও ৯২৬ জনের আক্রান্তের কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। তবে গত মাসের প্রথম ১৬ দিনের একই সময়ে দক্ষিণাঞ্চলে মৃত্যুর সংখ্যাটা ছিল ২৮ এবং ১,৩৫৭ জন আক্রান্ত হয়েছিল। অপরদিকে গত মার্চের শেষভাগ থেকে এপর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলে মোট আক্রান্ত ৬,৭৭১ জনের মধ্যে জুলাই মাসেই সংখ্যাটা ছিল প্রায় ৩ হাজার। আর এপর্যন্ত মোট ১৩৪ মৃত্যুর মধ্যে জুলাইতেই ৫৭ জন মারা গেছেন। রবিবার নতুন ৩৬ জন সহ মোট ৪ হাজার ৬৯৯ জন কোভিড-১৯ রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন বলে বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে বলা হয়েছে।
রবিবার দুপুরের পূর্ববর্তি ২৪ ঘন্টায় দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলার মধ্যে বরগুনা ও ঝালকাঠী বাদে অন্য ৪টি জেলাতে আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও বরিশাল, পিরোজপুর ও ঝালকাঠীতে একজন করে মারা গেছেন। বরিশালে মৃত ব্যক্তি মহানগরীর সদর রোডের বাসিন্দা, বয়স ৭৬। এ নিয়ে গত তিন দিনে নগরীর দুজন করোনা সংক্রমনে শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেলেন। দুজনেরই বয়স ৭৬ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে। তবে রবিবার জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের ৩৩ থেকে ১২ জনে হ্রাস পেয়েছে। বরিশালে এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ২,৮১৮ জনের মধ্যে ৫১ জনের মৃত্যু হল। আক্রান্তের তুলনায় মৃত্যুর এ সংখ্যাটা মোটেই স্বস্তিদায়ক নয় বলে মনে করছেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞগন। আর আক্রান্ত ও মৃতের প্রায় ৭৫ ভাগই দক্ষিণাঞ্চলের করোনার প্রধান হটস্পট বরিশাল মহানগরীতে।
পিরোজপুরে রবিবার দুপুরের পূর্ববর্তি ২৪ ঘন্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ থেকে ৪ জনে হ্রাস পেলেও একজনের মৃত্যু হয়েছে শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সরকারী হিসেবে জেলাটিতে এ পর্যন্ত ৮৫৭ জন আক্রান্তের মধ্যে ১৫ জনের মৃত্যু হল। অপরদিকে ঝালকাঠীতে আগের দিন কোন আক্রান্তের খবর না থাকলেও নতুন করে ৪ জন আক্রান্তের সাথে একজনের মৃত্যু হয়েছে। জেলাটির রাজাপুরের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৮০ বছর বয়স্ক এক ব্যক্তি করোনা সংক্রমণে মৃত্যুর ফলে জেলাটিতে ৫৪৯ জন আক্রান্তের মধ্যে ১৩ জনের মৃত্যু হল। ঝালকাঠীর মৃত্যু হারও এ অঞ্চল সহ জাতীয় হারের অনেক বেশী।
পটুয়াখালীতে আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের ১৫ থেকে রবিবার একজন কমে ১৪ হয়েছে। জেলাটিতে এ পর্যন্ত ১,১৮৩ আক্রান্তের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩৫ জনের। এ জেলার মৃত্যু হার নিয়ে অস্বস্তি আছে চিকিৎসকদের মধ্যে। ভোলাতেও রবিবার নতুন করোনা সংক্রমনের সংখ্যা আগের দিনের ৬ থেকে ২ জনে হ্রাস পেয়েছে। জেলাটিতে এ পর্যন্ত ৬০৬ জন আক্রান্তের মধ্যে ৬ জনের মৃত্যু ঘটেছে।
তবে বরগুনাতে রবিবার নতুন সংক্রমনের সংখ্যা আগের দিনের ৩ থেকে পাঁচজনে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে ছোট এ জেলাটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাড়িয়েছে ৭৭৫। এপর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের।

 

 

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ