নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
৭৪ বছর পর নিজেদের জালে ৮ বার বল প্রবেশ করতে দেখল বার্সা। এমন পরাজয়ে স্বাভাবিকভাবেই হতাশ জেরার্ড পিকে, ‘এটা লজ্জাজনক। ভূতুড়ে একটি ম্যাচ। সম্পূর্ণ ধ্বংসাত্মক। আপনি এভাবে খেলতে পারেন না। ইউরোপে আপনি এভাবে খেলতে পারেন না।’ খুব শিগগিরই হারের কারণ পর্যবেক্ষণ করে সমাধান বের করতে হবে বলে মনে করেন এ ডিফেন্ডার, ‘আমরা এখন তলানিতে রয়েছি। আমি মনে করি বিষয়টি আমাদের সকলকে দেখতে দেখতে হবে এবং নিজেদের আভ্যন্তরীণ ব্যাপারগুলোও দেখতে হবে। কোনটা বার্সার জন্য সবচেয়ে ভালো সেটা বের করা এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রয়োজনে পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে এর সুরাহা করতে হবে।’
বায়ার্নের কাছে উড়ে যাওয়ার হতাশা এ মুহূর্তে কোচ সেতিয়েনকে পোড়াচ্ছে সবচেয়ে বেশি। ম্যাচ শেষের প্রতিক্রিয়ায় হারকে ‘ভীষণ বেদনাদায়ক’ বলে জানান সেতিয়েন, ‘এটা ভীষণ বেদনাদায়ক হার। বায়ার্ন তাদের সামর্থ্যরে চেয়ে বেশি গোল করেছে। আমরা শুরুটা বেশ ভালো করেছিলাম, কিন্তু প্রতিপক্ষের শক্তি ম্যাচের বিভিন্ন পর্যায়ে আমাদেরকে ছাপিয়ে গেছে।’
বার্সেলোনার অনেক দিকে পরিবর্তন প্রয়োজন বলে মনে করেন পিকে। শিষ্যের মতামতকে গুরুত্ব দিলেও বিষয়টি নিয়ে খুব বেশি কথা বলতে রাজি নন সেতিয়েন, ‘ক্লাবের কি প্রয়োজন, সেটা নিয়ে আমি কথা বলব না। আমি এখানে কয়েক মাস এসেছি। যদি জেরার্ড (পিকে) বলে থাকে, এটা বড়সড় পরিবর্তনের সময়, তাহলে তার কথার গুরুত্ব আছে। এটা পর্যালোচনার এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়।’ নিজের নড়বড়ে ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলাও এ মুহূর্তে ‘তাড়াতাড়ি’ হয়ে যায় বলে মনে করেন বার্সেলোনা কোচ, ‘বাস্তবতা হচ্ছে, এটা আমার ওপর নির্ভর করে না।’
ঠিক তার উল্টো চিত্র বায়ার্ন শিবিরে। রেকর্ড গড়া জয়ের পর দলটির কোচ হান্স ফ্লিক জানালেন, আগে থেকেই জানতেন বার্সেলোনাকে চাপে রাখলে সুযোগ মিলবে। যে পরিকল্পনা নিয়ে বার্সেলোনাকে ধসিয়ে দিয়েছেন, দুর্দান্ত জয়ের পর সেটাই জানালেন ফ্লিক। সেমি-ফাইনাল নিয়ে ভাবনাও জানিয়ে রাখলেন এক ফাঁকে, ‘আমরা জানতাম, তাদের চাপে রাখলে আমরা সুযোগ পাব। আমাদের সেই মান এবং দলটার মধ্যে সেই নিবেদন আছে। এখন আমাদের পুনরায় সতেজ হতে হবে এবং পরের ম্যাচে মনোযোগ দিতে হবে; যেখানে আমরা শূন্য থেকে শুরু করব।’ মুলারকে আলাদাভাবে প্রশংসা করা ফ্লিক কৃতিত্ব দিলেন পুরো দলকে, ‘থমাস মুলার ম্যাচ সেরা খেলোয়াড় হওয়ার যোগ্য। চাপ ধরে রাখার কাজটা সেই নিয়ন্ত্রণ করেছে। কিন্তু সব মিলিয়ে পুরো ৯০ মিনিট দৃঢ়তা ধরে রাখার জন্য আমাকে পুরো দলকেই অভিনন্দন জানাতে হবে।’
তবে বার্সার মতো দল এমন এক লজ্জার সাক্ষী হবে ভাবতেই কষ্ট পাচ্ছেন বায়ার্ন গোলরক্ষক ম্যানুয়াল নয়্যারও। বিশেষ করে তার সহানুভুতি পাচ্ছে কাতালান গোলরক্ষক আন্দ্রে টেন স্টেগেন। একের পর এক গোল খাওয়ায় ম্যাচ জুড়েই ব্যস্ত থাকতে হয়েছে স্টেগেনকে। ম্যাচ শেষে তার প্রতি সমবেদনা জানান জার্মানির প্রথম পছন্দের গোলরক্ষক নয়্যার, ‘মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগেনের জন্য আমি কিছুটা ব্যথিত যে, সে এতগুলি গোল হজম করেছে। আমাদের জন্য অবশ্যই এটি ভালো। তবে জাতীয় দলের কোনো সতীর্থের ক্ষেত্রে এমনটা ঘটুক, তা কেউ চাইবে না।’
তবে যে যাই বলুক বার্সার অভিষ্যত নিয়ে ভাবতে শুরু করেছেন দলটির প্রেসিডেন্ট জোজেপ মারিয়া বার্তোমেউ। বেশ কিছু পরিবর্তনের আভাসও দিয়ে কিছু সিদ্ধান্ত এরই মধ্যে নেওয়া হয়েছে বলেও জানালেন তিনি। ম্যাচের ফল বিব্রতকর, মেনে নেওয়ার মতো নয়। মাঠে বার্সেলোনার আরও কিছু বিষয় ছিল ভীষণ দৃষ্টিকটু। এর অন্যতম, তাদের খেলা দেখে মনে হয়েছে নির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনা ছিল না। ডাগআউট থেকেও কোচ কিকে সেতিয়েনকে কোনো নির্দেশনা দিতে দেখা যায়নি। অধিকাংশ সময় হতবিহ্বল হয়ে তাকিয়ে থাকতে দেখা যায় আগে থেকেই সমালোচনার মুখে থাকা এই কোচকে। ম্যাচ শেষে মুভিস্টারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হতাশা প্রকাশ করেন ক্লাবটির প্রেসিডেন্ট। জানান, পরিবেশ কিছুটা শান্ত হলে পরিবর্তনের ঘোষণা আসবে, ‘এটা খুব, খুব কঠিন একটা রাত। বার্সা সমর্থক, সদস্য, খেলোয়াড়ৃসকলের জন্য আমি দু:খিত। আজ (শুক্রবার) যেটা হলো, আমরা এমন দল নই। আমি খুবই বেদনাহত। কিছু সিদ্ধান্ত আমরা ইতোমধ্যে নিয়ে রেখেছি, বাকিগুলো আগামী কয়েক দিনের মধ্যে নেওয়া হবে। আগামী সপ্তাহ থেকে ঘোষণা আসতে থাকবে। সবকিছু শান্ত হওয়ার পর আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।