মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন জিতলে যুক্তরাষ্ট্রের ‘পতন’ ঘটবে। সেই সঙ্গে আমেরিকা হবে বিশ্বের হাসির খোরাক। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এসব কথা বলেছেন। ট্রাম্প টুইট বার্তায় বলেছেন, বাইডেন প্রেসিডেন্ট হলে বিশ্ব হাসবে এবং আমেরিকার কাছ থেকে সবাই সুবিধা নিবে; আমাদের দেশের পতন ঘটবে। এছাড়াও ট্রাম্প বলেছেন, বাইডেনের প্রস্তাবিত নীতিমালা দেশের জন্য ভাল ছিল না। আজকে আমরা দেখলাম বাইডেন মহামারিকে নিয়ে রাজনীতি করেই চলেছে। আমেরিকার জনগণের প্রতি তার যে শ্রদ্ধাবোধের অভাব রয়েছে তা দেখিয়ে দিচ্ছেন। সেইসঙ্গে প্রতি মুহূর্তে বাইডেন এই ভাইরাস নিয়ে ভুল করেছেন, উপেক্ষা করেছেন বৈজ্ঞানিক প্রমাণাদি বলেও মন্তব্য করেন ট্রাম্প। এর আগে গত মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, নির্বাচনে যদি ডোনাল্ড ট্রাম্প হারেন তাহলে চীন যুক্তরাষ্ট্রকে নিজের মনে করবে এবং মার্কিনিদের চীনের ভাষা শিখতে হবে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেট দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিস বৈধ নন বলে মন্তব্য করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এ মন্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট পদে ডেমোক্রেট দল থেকে মনোনীত জো বাইডেন। উল্লেখ্য, কমলা হ্যারিস যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করেছেন। তাকে মনোনয়ন দেয়ার পরই সমালোচনা তীব্র হয়েছে। সমালোচনাকে ডেমোক্রেটরা বর্ণবাদ বলে মনে করছে। শুক্রবার ট্রাম্পের কড়া সমালোচনা করেন জো বাইডেন। তিনি বলেন, ডেমোক্রেট দল থেকে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী কমলা হ্যারিসের বৈধতা সম্পর্কে জঘন্য মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। বৃহস্পতিবার ট্রাম্প বলেন, আমি জানতে পেরেছি, তিনি (কমলা) প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করতে পারছেন না। তার রিপাবলিকান দলের একজন আইনের প্রফেসরকে উদ্ধৃত করে ট্রাম্প এ কথা বলেন। ওই প্রফেসর কমলা হ্যারিসের জন্মের সময় তার পিতামাতার অভিবাসন স্ট্যাটাস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। উল্লেখ্য, কমলা হ্যারিসের (৫৫) জন্ম ক্যালিফোর্নিয়ার ওকল্যান্ডে। তার পিতা জ্যামাইকান এবং মা ভারতীয়। জো বাইডেনের মুখপাত্র অ্যানড্রু বেটস এক বিবৃতিতে বলেছেন, ট্রাম্প বর্ণবাদের উস্কানি দিচ্ছেন এবং আমাদের জাতিকে ছিন্নভিন্ন করে দিচ্ছেন। তিনি জঘন্য, বর্ণবাদী জন্ম বিষয়ক ইস্যু সৃষ্টি করেছেন। ট্রাম্প এই ধারার আশ্রয় নিয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার বিরুদ্ধেও মিথ্যা কথা বলেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ট্রাম্প অভিযোগ করেছিলেন, বারাক ওবামা যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করেন নি। তাই এমন জঘন্য কথাবার্তা বলা হবে এতে বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই। এর মধ্য দিয়ে তিনি নিজেকেই যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের মাঝে বোকা বানিয়ে ফেলছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ২ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্সি পদের জন্য যোগ্য হতে হলে একজন ব্যক্তিকে প্রাকৃতি নিয়মে যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী নাগরিক হতে হবে অথবা যুক্তরাষ্ট্রের একজন নাগরিক হতে হবে। ১৪তম সংশোধনীর ২ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী সবাই অথবা যুক্তরাষ্ট্রে প্রাকৃতিকীকৃত ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। রয়টার্স, এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।