মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
স্বাধীনতা দিবসেই বাজারে আসতে পারে ভারতে তৈরি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন। এমন একটা সম্ভাবনার কথা আগে শোনা গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত সম্ভব না হলেও করোনা-মুক্তিতে আশার আলো দেখা গেল এদিনই। ভারতে তৈরি তিনটি করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়াল বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
গতকাল ভারতের ৭৪তম স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে দিল্লির লাল কেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বললেন, ‘আজকের দিনে ভারতে একটি নয়, দুটি নয়, করোনাভাইরাসের তিনটি ভ্যাকসিনের ওপরে কাজ চলছে। সব কটি ভ্যাকসিনই ট্রায়ালের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। বিজ্ঞানীদের কাছ থেকে সবুজ সঙ্কেত পেলেই এ ভ্যাকসিনগুলো বিপুল সংখ্যায় প্রস্তুত শুরু হয়ে যাবে। সবচেয়ে কম সময়ে কীভাবে এসব ভ্যাকসিন দেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া যাযায় তার রোডম্যাপ তৈরি করা হচ্ছে’।
তিনি বলেন, প্রতিটি নাগরিকের স্বাস্থ্যের পরিচয় জানাতে সরকার একটি জাতীয় প্রকল্পও চালু করছে। স্বাস্থ্য এবং অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা মোদি তার সরকারের মূল অগ্রাধিকার হিসাবে চিহ্নিত করেন। দিল্লির লাল কেল্লা থেকে এ নিয়ে টানা সাতবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে স্বাধীনতা দিবসের ভাষণ দিলেন নরেন্দ্র মোদি। করোনা যোদ্ধাদের প্রতি সম্মান জানিয়েই তার এদিনের ভাষণ শুরু করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা একটা অদ্ভুত সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। করোনা মহামারির জন্য এবার লালকেল্লায় অন্যান্য বারের মতো ছোট বাচ্চাদের ভিড় নেই। গোটা জাতির পক্ষ থেকে আজ আমি করোনা যোদ্ধাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। সব স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসক ও নার্সরা যেভাবে ক্লান্তিহীন কাজ করে চলেছেন, তার জন্য তাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা ও সম্মান’। তিনি আরও বলেন, ‘করোনার বিরুদ্ধে এ লড়াইয়ে অনেক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। অনেকে তাদের নিকটজনকে হারিয়েছেন। আমি জানি ১৩০ কোটি ভারতীয়ের মিলিত প্রচেষ্টায় এ সঙ্কটের কাল আমরা কাটিয়ে উঠবোই’।
ইতোমধ্যেই জানা গেছে, প্রাথমিক পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে ভারতে তৈরি করোনার টিকাকে ‘নিরাপদ’ সার্টিফিকেট দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। যদিও পরীক্ষামূলক প্রয়োগের সম্পূর্ণ ফল এখনও আসেনি। এরপর শুরু হবে দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল। কোভ্যাকসিন কতটা কার্যকরী হবে, তা জানার জন্য ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে স্বেচ্ছাসেবকদের নমুনা সংগ্রহ।
উল্লেখ্য, কোভ্যাকসিন তৈরির জন্যে হায়দরাবাদের ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা ভারত বায়োটেককে আগেই ছাড়পত্র দেয়া হয়েছিল। বেশ কিছুদিন আগেই ভারতের এ ভ্যাকসিনের হিউম্যান ট্রায়াল শুরু হয়েছিল। দিল্লি ও পাটনার এইমস, রোহতকের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস, নাগপুরের গিলুরকার হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটসহ দেশের ১২টি কেন্দ্রে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করা হয়েছিল। মোট ৩৭৫ জন স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে প্রয়োগ করা হয়েছিল কোভ্যাকসিন। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।