Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এলাকা পুনরুদ্ধারের দাবি সরকারি বাহিনীর

প্রকাশের সময় : ৬ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

আলেপ্পোতে রসদ পৌঁছানোর আশা না থাকায় মরিয়া হয়ে উঠেছে বিদ্রোহী গ্রুপগুলো
ইনকিলাব ডেস্ক : সিরিয়ার আলেপ্পো শহরের উপকণ্ঠে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে চলমান লড়াইয়ে সরকারি বাহিনী উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। সরকারি বাহিনী বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা দুটি পার্বত্য এলাকা ও দুটি গ্রাম পুনরুদ্ধার করেছে বলে জানিয়েছে। রসদ পৌঁছানোর আর কোনো আশা না থাকায় মরিয়া হয়ে উঠেছে আলেপ্পোর বিদ্রোহী গ্রুপগুলো। এদিকে আলেপ্পোয় সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহীরা গত মঙ্গলবার বিষাক্ত গ্যাস ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছে রাশিয়া। এমনকি ওই হামলার আগেই বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রকে জানানো হয়েছিল দাবি করেছে মস্কো। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, আলেপ্পো থেকে বিদ্রোহীদের মুক্ত করতে পারলেই সিরিয়া যুদ্ধে বড় অর্জন পাবে আসাদ বাহিনী। কারণ ২০১২ সাল থেকে তুরস্ক সমর্থিত বিদ্রোহীরা শহরটি দখল করে রেখেছে। সিরিয়া সংকটের শুরুতেই শহরটির নিয়ন্ত্রণ নেয় বিদ্রোহীরা। তবে সম্প্রতি আলেপ্পোয় রুশ বাহিনীর সহায়তা নিয়ে আসাদ সরকার যে অভিযান চালাচ্ছে, সেটি আসলে চূড়ান্ত লড়াই এবং এই শহর দখলমুক্ত করাকে বড় বিজয় হিসেবে দেখছে দামেস্ক। এরইমধ্যে সিরীয় সেনারা আলেপ্পো শহরের অংশবিশেষ মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। বার্তা সংস্থাগুলো বলছে, রসদ পৌঁছানোর আর কোনো আশা না থাকায় মরিয়া হয়ে উঠেছে আলেপ্পোর বিদ্রোহী গ্রুপগুলো। এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে রসদ সরবরাহের সবগুলো পথ বন্ধ থাকায় দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে তাদের। অনাহারে মৃত্যু কিংবা চূড়ান্ত লড়াইয়ের মধ্যদিয়ে অবরোধ ভাঙা ছাড়া আর কোনো বিকল্প পথ খোলা নেই তাদের সামনে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আলেপ্পোর বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলো অবরুদ্ধ করে রেখেছে সিরীয় সরকারি বাহিনী। তাই চলতি সপ্তাহের প্রথমদিকে সরকারি অবরোধ ভাঙতে ব্যাপক পাল্টা হামলা শুরু করে বিদ্রোহীরা। এমনকি কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার পুনর্দখল করতেও সক্ষম হয় তারা। যদিও সরকারি বাহিনী দ্রুতই আবারো সেখানে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে। লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, সেনাবাহিনী আলেপ্পোর দক্ষিণ-পশ্চিম উপকণ্ঠে অবস্থিত তেলাত আল-মাহরৌকাতসহ দুটি পার্বত্য এলাকা এবং খয়েরিজ ও আল-আম্রিয়ে নামে দুটি ছোট গ্রাম পুনর্দখল করে। সংস্থাটির প্রধান রামি আবদেল রহমান বলেন, আলেপ্পোর দুই পাশেই সরকারি বাহিনী এবং বিদ্রোহীদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ চলছে। গত রোববার থেকে শুরু হওয়া এই লড়াইয়ে গত বুধবার পর্যন্ত কমপক্ষে ৪০ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। নিহতদের ২২ জনই শিশু। তিনি জানান, সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫০ জন বিদ্রোহী এবং কয়েক ডজন সরকারি সেনা নিহত হয়েছে। তিনি আরো জানান, গত কয়েকদিনের এই লড়াইয়ে সরকারি বাহিনী আলেপ্পোর ভেতর ও এর আশপাশের অন্তত ছয়টি হাসপাতালে বিমান হামলা চালিয়েছে। প্রসঙ্গত, গত রোববার থেকে বিদ্রোহীদের হাত থেকে উত্তরাঞ্চলীয় আলেপ্পো শহর উদ্ধার অভিযান শুরু করে সিরীয় সরকারি বাহিনী। এদিকে আলেপ্পোর সাম্প্রতিক রাসায়নিক হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সরকারবিরোধী বিদ্রোহীরা দায়ী এবং এই হামলার বিষয়ে আগে থেকেই জানত আমেরিকাথ এমন দুটি অভিযোগ করে এই বিষয়ে ওয়াশিংটনের ব্যাখ্যা দাবি করেছে রাশিয়া। গত মঙ্গলবারের ওই বিষাক্ত ক্লোরিন গ্যাসের হামলায় অন্তত সাতজন নিহত ও ২০ জনের বেশি আহত হয়েছে। এই প্রসঙ্গে আমেরিকান পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র মার্ক টোনার বলেন, রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের যে কোনো ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি আমরা। সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ পাওয়া গেলে তা তদন্ত করে দেখা হবে। বিবিসি, রয়টার্স, আল-জাজিরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: এলাকা পুনরুদ্ধারের দাবি সরকারি বাহিনীর
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ