মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য চলতি সপ্তাহের শেষে সউদী আরব সফরে যাচ্ছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া। সেখানে তিনি অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন ইস্যুতে ভারতের উপর কূটনৈতিক চাপ বজায় রাখতে ও আর্থিক সহায়তা পেতে আলোচনা করবেন।
সউদী আরবের পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক এতদিন ভালো থাকলেও সম্প্রতি ওআইসিতে তাদের বিরোধিতা করে মন্তব্য করেছিলেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি। কাশ্মীর ইস্যুতে সউদীর নিষ্ক্রিয়তা প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এই কারণে দুই দেশের সম্পর্ক ভীষণভাবে প্রভাবিত হয়েছে। সেই সম্পর্ক আবার ঠিক করতে আগামী রোববার সউদী আরবে যাচ্ছেন বাজওয়া। পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর-জেনারেল বাবর ইফতিখার তার সফরের তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, এই সফরটি আগে থেকেই নির্ধারিত ছিল এবং সেখানে তিনি মূলত ‘সামরিক বিষয়’ নিয়ে আলোচনা করবেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে পাকিস্তানকে ঋণ হিসেবে ৩ বিলিয়ন ডলার এবং তেল সরবরাহের জন্য ৩.২ বিলিয়ন দেয় সউদী। অর্থসংকটে সাহায্য করতে এমন কাজ করেছিল সউদী। তবে গত বছরের ৫ আগস্ট মোদি সরকার অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে উপত্যকাটি অবরুদ্ধ করে রাখার পর থেকেই ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে থাকে পাকিস্তান। তারা ভারতের বিরুদ্ধে এক জোট হতে সউদী আরবের নেতৃত্বাধীন অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কো-অপারেশনকে (ওআইসি) আবেদন জানায়। তবে ওআইসি এই প্রস্তাবে রাজি হয়নি।
এ বিষয়ে গত সপ্তাহে পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী সউদী আরবকে সতর্ক করে বলেন, ‘আপনারা যদি পদক্ষেপ না নিতে পারেন, তবে আমি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে আহ্বান জানাতে বাধ্য হব, যাতে তিনি কাশ্মীর ইস্যুতে আমাদের পাশে দাঁড়াতে ও নিপীড়িত কাশ্মীরিদের সমর্থন করার জন্য প্রস্তুত ইসলামী দেশগুলোকে নিয়ে একটি বৈঠকের আয়োজন করেন।’ এই প্রসঙ্গে বিরোধিতা করে ইতিমধ্যেই প্রতিক্রিয়া দিয়েছে সউদী আরব। তবে, মালয়েশিয়া, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পষিদের স্থায়ী সদস্য চীন ও ন্যাটো জোটভূক্ত দেশ তুরস্ক কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানকে জোরালো সমর্থন দিয়েছে।
সউদী আরব দু’সপ্তাহ আগে পাকিস্তানের কাছ থেকে ১০০ কোটি ডলার ফেরত নিয়েছে। এই অর্থ পরিশোধের জন্য অন্য নিকটতম মিত্র চীনের কাছ থেকে ঋণ নিতে বাধ্য হয়েছে পাকিস্তান। এছাড়াও, বাকিতে তেল সরবরাহ বাড়ানোর জন্য পাকিস্তানের অনুরোধে এখনও কোন প্রতিক্রিয়া জানায়নি রিয়াদ। পাকিস্তানের অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘২০২০ সালের ২০ জুলাই সউদী আরব প্রথমবার তেল (বাকিতে পরিশোধের সুবিধায়) সরবরাহ করেছিল। আরও তেল সরবরাহ করতে আমাদের জানানো অনুরোধ তারা বিবেচনা করছে।’ সূত্র : পাকিস্তান ট্রিবিউন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।