নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
মাঝের লম্বা বিরতিতে মৌসুম হয়েছে দীর্ঘ, গ্যালারিতে থাকবে না দর্শক, সেই সঙ্গে অনেক নিয়মের ঘেরাটোপে পরিস্থিতি জটিল রূপ নিয়েছে। তারওপর আবার ফাইনালের আগের দুই রাউন্ড হচ্ছে এক লেগে-সবকিছু মিলিয়েই এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কোনো ফেভারিট দল নেই বলে মত দিয়েছিলেন ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী সাবেক মিডফিল্ডার রিভালদো। হচ্ছেও তাই। শেষ ষোল থেকে বিদায় নিয়েছে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সাবেক ও বর্তমান ক্লাব স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ ও ইতালিয়ান শিরোপাধারী জুভেন্টস। কোয়ার্টার ফাইনালে ‘মিনোজ’ লাইপজিগের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছে আরেক স্প্যানিশ জায়ান্ট অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদও। গতরাতে বার্সেলোনা-বায়ার্ন মিউনিখ ম্যাচ থেকেও বিদায় নিয়েছে আরেক ফেভারিট। সব মিলিয়ে এক লেগের নকআউট পর্বটি বলতে গেলে রূপ নিয়েছে মৃত্যুকূপে। আজ শেষ চারে ওঠার লড়াইয়ে মুখোমুখি হচ্ছে ম্যানচেস্টার সিটি ও অলিম্পিক লিওঁ।
ইউরোপ সেরার মঞ্চে নামার আগে একেক ক্লাবের কেটেছে একেক রকম সময়। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা থেকে কিছুদিন আগেই মুক্তি পেয়েছে সিটি। পেপ গার্দিওলার দলের জন্য এটি ছিল অন্যরকম একটি জয়। নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবে আরও উদ্বুদ্ধ ছিল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দলটি। সেই উৎসবের রঙ বাড়িয়ে স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়ালকে হারিয়েই শেষ আটে নাম লেখায় ইংল্যান্ড থেকে একমাত্র দল হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বে প্রতিনিধিত্ব করা ম্যানসিটি।
এদিকে প্রায় ছয় মাস আগেই তাদের প্রতিপক্ষ লিওঁ প্রশ্ন তুলেছিল শেষ ষোলোর প্রথম লেগ আয়োজন নিয়েই। সেই সময়ে করোনাভাইরাসের থাবায় জেরবার ছিল ইতালি। তারপরও ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল প্রায় ৬০ হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে, যেখানে ছিলেন জুভেন্টাসেরও হাজার তিনেক দর্শক। নিজেদের মাঠে লিওঁ জিতেছিল ১-০ গোলে। কোয়ার্টার-ফাইনালে যেতে ফিরতি লেগে কমপক্ষে ২-০ গোলে জিততে হতো মাওরিসিও সারির দলকে। সেই দুরূহ কাজটি করতে দেয়নি সিটি। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোদের ছিটকে দিয়েই শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছিল গার্দিওলার দল।
সব মিলিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বে ২৯টি ম্যাচ জিতেছেন ম্যানচেস্টার সিটির বর্তমান কোচ গার্দিওলা; প্রতিযোগিতাটির ইতিহাসে যে কোনো কোচের তুলনায় যা বেশি। তৃতীয় কোচ হিসেবে রিয়ালকে নকআউট পর্ব থেকে একাধিকবার বিদায় করে বসেছেন মার্সেলো লিপ্পি (১৯৯৫-৯৬ ও ২০০২-০৩) এবং ওটমার হিটজফিল্ডের (২০০০-০১ ও ২০০৬-০৭) পাশে।
দুর্দান্ত ফর্মে আছেন দলটির কান্ডারী গ্যাব্রিয়েল জেসুসও। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুয়ে প্রথম লেগের ম্যাচে পিছিয়ে পড়া সিটিকে সমতায় ফেরান ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ড। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১৬ ম্যাচে সরাসরি ১৪টি গোলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। ১২ গোল করেন, সতীর্থদের ২ গোলে অবদান রাখেন তিনি। নকআউট পর্বে খেলা চার ম্যাচে তিনবার জালের দেখা পেয়েছেন জেসুস। আজ আরেকটি জেসুস শো’র দিকেই তাকিয়ে সিটিজেনরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।