নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
পাকিস্তানের সাদা জার্সিটা আবার গায়ে চাপাতে ঠিক ৩৯১১ দিন অপেক্ষা করতে হলো ফাওয়াদ আলমকে। গতকাল সাউদাম্পটনে পাকিস্তানে একাদশে জায়গা মিলেছে তার। ২০০৯ সালে নভেম্বরের শেষ দিকে ডানেডিন টেস্টে ৩২ রানে হেরেছিল পাকিস্তান। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৩৪ করেছিলেন ফাওয়াদ আলম। দলে তার চেয়েও বাজে পারফরমার ছিলেন সেদিন। তবু পরের টেস্টে বাদ পড়েছিলেন এই বাঁহাতি। এর পর আরেকটি টেস্ট খেলার জন্য ফাওয়াদ আলমের কত দিন অপেক্ষা করতে হলো সেটা তো প্রথমেই বলে দেওয়া হলো।
তবু আরেকবার বলতে আপত্তি কোথায়? ৩ হাজার ৯১১ দিন, চাইলে যাকে ৫৫৯ সপ্তাহও বলা যায়। ব্যাপ্তিটা আরেকটু ছড়ালে ১২৮ মাস অথবা পৌনে ১১ বছর। তিন টেস্টের ক্যারিয়ারকে চার টেস্টে আনতে ফাওয়াদের লেগে গেল ১০ বছর ২৫৯ দিন। মাঝে পাকিস্তান দলের মিডল অর্ডারে অনেক রদবদল হয়েছে, ঘরোয়া ক্রিকেটে অবিশ্বাস্য গড়ে রান বন্যা বইয়ে দিয়েছেন ফাওয়াদ, পাকিস্তানি ক্রিকেট সাংবাদিকেরা দুদিন পর পর ফাওয়াদ কেন ডাক পাচ্ছেন না বলে তুবড়ি ছুটিয়েছেন, কিন্তু পাকিস্তানের হয়ে সাদা পোশাকে নামা হচ্ছিল না এই ব্যাটসম্যানের। নামলেন করোনাকাল পেরুনো ক্রিকেটে, ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই। রিপোর্টটি লেখা পর্যন্ত ২৭ ওভার শেষে টস জিতে ব্যাট করতে নাম পাকিস্তানের সংগ্রহ এক উইকেটে ৭১।
এ সময়ে কত কিছুই না হয়েছে। ফাওয়াদের সঙ্গে একই সফরে অভিষিক্ত মোহাম্মদ আমির ২০১০ সালে স্পট ফিক্সিং করে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন। নিষেধাজ্ঞা থেকে ফিরে লর্ডসেই টেস্ট খেলেছেন, একটা চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জিতেছেন। আবার বিশ্বকাপও খেলেছেন আমির। এরই মাঝে টেস্ট থেকে অবসর নেওয়াও হয়ে গেছে এই পেসারের। সন্ত্রাসী হামলার ধাক্কা সামলে পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরেছে। সাবেক অধিনায়ক থেকে ইমরান খান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বনেছেন। আরেক সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি প্রশ্নাতীতভাবেই অবসর নিয়েছেন এত দিনে। হাজার হলেও ৩ হাজার ৯১১ দিন তো কম নয়!
সময়টা দীর্ঘ, এ নিয়ে সন্দেহ নেই। তবু এতে কোনো রেকর্ড-টেকর্ড হয়নি। পাকিস্তানের হয়েই এর চেয়ে বেশি বিরতিতে টেস্ট খেলেছেন একজন। ইউনিস আহমেদ ১৭ বছর ১১১ দিন পর তার পঞ্চম টেস্ট খেলতে নেমেছিলেন। আর বিশ্ব রেকর্ডের কথা শুনলে তো অবসরই নিয়ে নিতেন ফাওয়াদ। ১৯৭০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলা জন ট্রাইকোস ২২ বছর ২২২ দিন পর জিম্বাবুয়ের হয়ে ফিরেছেন ক্রিকেটের ‘কুলীন সমাজে’।
ফাওয়াদ এমনকি এই শতাব্দীর রেকর্ডও গড়েননি। সেটা গ্যারেথ ব্যাটির দখলে। এই ইংলিশ অফ স্পিনার ২০০৫ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে চেস্টার-লি-স্ট্রিটে খেলেছিলেন। তার আবার টেস্ট ক্রিকেটে ফিরতে ১১ বছর ১৩৭ দিন অপেক্ষা করতে হয়েছে। বাংলাদেশের বিপক্ষে চট্টগ্রামে তাঁকে নামাল ইংল্যান্ড। ১৪২ টেস্ট পর মাঠে নেমে ম্যাচের হিসেবে সর্বকালের সবচেয়ে বেশি বিরতি দিয়ে টেস্ট খেলতে নামার রেকর্ডটাও হয়ে গেল ব্যাটির। ফাওয়াদ সে তুলনায় সৌভাগ্যবান। তার দীর্ঘ বিরতিতে পাকিস্তান মাত্র ৮৮টি ম্যাচই খেলেছে।
ফাওয়াদ নিশ্চয়ই চাইবেন পঞ্চম টেস্ট খেলার অপেক্ষাটা যেন শূন্যে নেমে আসে! কারণ ৩৫ বছর বয়সে এসে আবারও ১০ বছর অপেক্ষা করা আধুনিক ক্রিকেটে যে আর সম্ভব নয়!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।