দক্ষিণাঞ্চলে কোভিড-১৯ আক্রান্ত আরো ৩ জনের মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে মোট সংখ্যাটা ১৩০-এ উন্নীত হল। সরকারী হিসেবে এপর্যন্ত মোট আক্রান্ত ৬ হাজার ৫৮১ জনের মধ্যে বৃহস্পতিবার দুপুরের পূর্র্ববর্তি ২৪ ঘন্টায়ই ৬১ জন। এসময়ে ভোলা, বরগুনা ও ঝালকাঠীতে আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে।
গত ২৪ ঘন্টায় শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বরিশালের দুজন ও পিরোজপুরের মঠবাড়ীয়ার একজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে স্বাস্থ্য বিভাগের অনুমিত হিসেবনুযায়ী নতুন ৯৯ জন সহ মোট সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৫৭০ জন। শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ ও ভোলা জেলা হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে ৩০১ জনের নমুনা পরিক্ষায় ৩০১ জনের দেহে করোনা পজিটিভ সনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে বরিশালে ২৮২ জনের মধ্যে ৬৫ জনের ও ভোলাতে ১৯ জনের মধ্যে ৫ জনের দেহে করোনা সংক্রমন মিলেছে। ভোলা পিসিআর ল্যাবের কর্মক্ষমতা আর বাড়ান যায়নি।
আগষ্ট মাসের প্রথম ১৩ দিনে দক্ষিণাঞ্চলে করোনা সংক্রমনে মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। আক্রান্তের সংখ্যা ৭৩৬। তবে জুলাই মাসের একই সময়ে দক্ষিণাঞ্চলে আক্রান্ত ছিল ১ হাজার ১৬২,আর মৃত্যু হয়েছিল ২৬ জনের।
বৃহস্পতিবারর দুপুরের পূর্ববর্তি ২৪ ঘন্টায় বরিশাল জেলায় নতুন আক্রন্তের সংখ্যা আগের দিনের ৩০ থেকে ২১ জনে হ্রাস পেলেও মারা গেছেন দুজন। এরমধ্যে নগরীর একটি মসজিদের একজন সাবেক খতিবও মারা গেছেন উচ্চ রক্তচাপ সহ নানা উপসর্গের সাথে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে। তার বয়স হয়েছিল ৮০বছর। এছাড়া জেলার বানরীপাড়ার আরো একজন শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। ফলে বরিশালে এ পর্যন্ত মৃত্যু হল ৪৯ জনের,আক্রান্তের সংখ্যা ২,৭৪৪।
পিরোজপুরের মঠবাড়ীয়ার একজন শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। এ নিয়ে জেলাটিতে ১৪ জনের মৃত্যু ও ৮১৬ জনের আক্রান্তের কথা জানিয়েছে বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তর। তবে জেলাটিতে গত ২৪ ঘন্টায় আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের ১৫ থেকে দু জনে হ্রাস পেয়েছে।
পটুয়াখালীতেও বৃহস্পতিবার দুপুরের পূর্ববর্তি ২৪ ঘন্টায় আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের ১৮ থেকে ৪ জনে হ্রাস পেলও এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ১,১৪৪। মৃত্যু হয়েছে ৩৫ জনের। বরিশালের মত পটুয়াখালীতেও মৃত্যু হার জাতীয় হারের চেয়ে বেশী। তবে বরগুনাতে আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের এক থেকে ২০ জনে উন্নীত হয়েছে। জেলাটিতে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের, আক্রান্তের সংখ্যা ৭৪৪। এ জেলায়ও আক্রান্তের তুলনায় মৃত্যুহার বেশী।
ভোলাতেও আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের তিন থেকে ৭ জনে উন্নীত হয়েছে। জেলাটিতে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। আক্রান্ত ৫৯২। এ জেলায় মৃত্যু হার ১%-এর সামান্য বেশী। ঝালকাঠীতেও গত ২৪ ঘন্টায় নতুন ৭ জন কোভিড-১৯’এ আক্রান্ত হয়েছে । যা আগের দিন ছিল পাঁচ। ছোট এ জেলাটিতেও আক্রান্তের তুলনায় মৃত্যু হার অসম্ভব বেশী। ঝালকাঠীতে এ পর্যন্ত ৪৫১ জন আক্রান্তের মধ্যে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৪৬ জন,করেনা ওয়ার্ডে ৪১ জন এবং হাসপাতালটির আইসিইউ’তে ৮জন চিকিৎসাধীন ছিল।