Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জোগাড় হয়নি ১০ শতাংশ অর্থও

‘সবার জন্য করোনা টিকা’

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ আগস্ট, ২০২০, ১২:০০ এএম

করোনার কার্যকরী টিকা বাজারে আসার সম্ভাবনা তৈরি হতেই নতুন আশঙ্কার কথা শোনাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ডব্লিউএইচও বলছে, করোনার টিকা শুধু তৈরি হলেই হল না। সবার জন্য সেই টিকার ডোজ তৈরি করতে হবে। আর গোটা বিশ্বের জন্য সেই ডোজ তৈরি করতে প্রয়োজন প্রচুর অর্থ। যার দশ শতাংশও নাকি এখনও জোগাড় করা সম্ভব হয়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ধারণা, গোটা বিশ্বের প্রত্যেক বাসিন্দার জন্য যদি করোনার টিকা তৈরি করতে হয়, তাহলে অন্তত ১০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার খরচ করতে হবে। সেই টাকা তোলার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এপ্রিল মাসে তারা বিশ্বের কাছে অনুদান চেয়েছিল। অনেকেই অনুদান করেছেন। কিন্তু তাদের কাছে থেকে প্রাপ্ত টাকা ডব্লিউএইচও’র লক্ষ্যমাত্রার ধারেকাছে নয়। এখনও পর্যন্ত মোট প্রয়োজনীয় অর্থের ১০ শতাংশ টাকাও অনুদানের মাধ্যমে ওঠেনি। প্রশ্ন হল, ভ্যাকসিন তৈরির খরচ তো সব দেশের সরকারের করার কথা, তাহলে ডব্লিউএইচও এত চিন্তিত কেন? কারণ, বিশ্বের সব দেশের সরকারে ভ্যাকসিন কেনার বা তৈরির ক্ষমতা নেই। আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) অনেক আগেই বলেছে, করোনা মোকাবিলায় ভ্যাকসিন সমহারে বণ্টন হওয়াটা খুব জরুরি। বিত্তবান দেশগুলি যদি অর্থের বলে ভ্যাকসিনগুলি কুক্ষিগত করে রাখে তাহলে কোনও কাজই হবে না। তাই ভ্যাকসিন যাতে উন্নয়নশীল এবং অনুন্নত দেশগুলিতেও সমানভাবে বণ্টন করা হয়, তা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশকে একটা নতুন আন্তর্জাতিক জোটে আহবান করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। যার নাম দেয়া হয়েছে কোভ্যাক্স। সেই এপ্রিল মাসেই কোভ্যাক্সের মাধ্যমে যাতে ইতিমধ্যেই ৭৫টি দেশ নাম লিখিয়েছে বলে দাবি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। কিন্তু বিশ্বের তথাকথিত শক্তিধর দেশগুলির অনেকগুলি এই জোটে শামিল না হওয়ায় এটি ততটা গুরুত্ব পায়নি। এর মাধ্যমেই এখন টাকা তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কার্যকরী-টিকা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ