নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশেষ সংবাদদাতা : রবি পেসার হান্টে এন্ট্রি করে মাত্র ক’মাসের মধ্যে নিজেকে এভাবে উদ্ভাবন করবেন, এতোটা স্বপ্ন দেখেননি এবাদত। হাই পারফরমেন্সের স্কোয়াডে অনুশীলনের সুযোগ পেয়ে এমন অনুশীলনে পাকিস্তানের সাবেক পেস বোলার আকিব জাভেদের তালিম পেয়ে অন্য এক ভাললাগা অনুভব করছেন বিমানবাহিনীর চাকুরে এবাদত। হালকা লিকলিকে ছেলেটি কতোই বা গতিতে বল করতে পারে? অথচ সেই ছেলেটিই কি না শরীরের সীমাবদ্ধতা ছাপিয়ে ১৪০ কিলোমিটারের কাছাকাছি গতিতে বল করেছে! আকিব জাভেদ রীতিমতো বিস্মিত, সেই বিস্ময়ের কথাই শুনিয়েছেন মৌলভীবাজারের ছেলে এবাদতÑ ‘উনি প্রথম যেদিন এসেছেন সেদিন তিনি আমাদের গতি, রানআপ নিয়ে কাজ করেছেন। ব্যাখ্যা করলেন কিভাবে বোলিংয়ের গতি বাড়াতে হয়। এরপর সুইং, ভেরিয়েশন এবং শেষ দিন রিভার্স সুইং নিয়ে কাজ করেছেন। তিনি আমার শারীরিক কাঠামো দেখে বুঝতে পারেননি যে আমি এতো জোরে বল করতে পারি। আজ (গতকাল) সকালে আমাকে বলেছেন তুমিতো আসলে জিনিয়াস, এতো জোরে বল করতে পারো, তাও আবার এই শরীর নিয়ে। যদি মাসেল আরেকটু বিল্ডআপ হয় তাহলে আরও জোরে বল করতে পারবে।’
আকিব জাভেদকে ক’দিনের জন্য কাছে পেয়ে এখন পুরোদস্তুর পেস বোলার হওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন এবাদতÑ ‘পেসার হান্ট থেকে উঠে আসার পর প্রথম যখন এইচপিতে ইমরান স্যারের অধীনে ক্যাম্প করা হয় তখন তিনি বলেছিলেন এখানে ফিটনেস ও স্কিলের কাজ করা হবে। যারা এখানে উন্নতি করতে পারবে তাদের মল স্কোয়াডে রাখা হবে। তখন ভালো করার চেষ্টা করছি। এক সপ্তাহ কাজ করার পর জানতে পেরেছি আকিব জাভেদ বাংলাদেশে আসবেন। যে চারটা দিন কাজ করেছেন তাতে আমি অনেক উপকৃত হয়েছি। এখন গতি নিয়ে, রান আপ নিয়ে কাজ করবো। কিভাবে রান আপ নিতে হয়, কিভাবে রিভার্স সুইং করাতে হয় তা করবো।’
বিমানবাহিনীতে নেই ক্রিকেট দল, নেই ক্রিকেট অনুশীলনের সুযোগ। তবে চাকরির নিশ্চয়তা আছে বলে বিমানবাহিনীতেই থাকতে চান। পাশাপাশি চার অনুশীলনের সুযোগÑ ‘যখনই ছুটির দরকার হয়েছে, বা বিসিবি ডেকেছে, অথবা ক্লাব লেভেলে খেলতে গেছি, বিমানবাহিনী আমাকে সাহায্য করেছে। এখানে আসার পর, আট সপ্তাহ নয় সপ্তাহ অনুশীলনের পরে মনে হচ্ছে ক্রিকেটের টাচে থাকতে হবে। আমার মনে হয় এয়ারফোর্স আমাকে সাহায্য করবে। এখানে থেকে আমি একটি চিঠি নিয়ে যাব, যাতে আমি নিয়মিত এখানে আসতে পারি, জিম করতে পারি বা ট্রেনারদের সঙ্গে কথা বলতে পারি, ফিটনেস নিয়ে কাজ করতে পারি। বিমানবাহিনী সুযোগ না দিলে এখানে আসতে পারতাম না। আমাকে এক অফিসার বলেছেন, যদি তুমি জাতীয় দলেও খেল এয়ারফোর্সকে ছাড়ার চিন্তা করবে না। আর এয়ারফোর্স তোমাকে ছাড়বেও না।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।