নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
মো: শামসুল আলম খান : দীর্ঘ অপেক্ষার পালা শেষ হচ্ছে। ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূইয়া স্টেডিয়ামে আজ বিকেলে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল) দ্বিতীয় পর্বের খেলা। উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে ৭ পয়েন্ট অর্জনকারী চট্টগ্রাম আবাহনী ও ৫ পয়েন্ট পাওয়া শেখ জামাল। বিকেল সাড়ে ৪টায় শুরু হবে এ ম্যাচ। বিপিএল’র ময়মনসিংহের পর্বকে ঘিরে ভেন্যু রফিক উদ্দিন ভূইয়া স্টেডিয়ামকে নতুন রূপে সাজানো হয়েছে। ধোয়া-মোছা শেষে রঙ করা হয়েছে গ্যালারির পাশাপাশি রেলিং’র। স্টেডিয়ামের মাঠে সবুজ ঘাসের পর এখন রুলার মারার কাজ চলছে। নিবিষ্ট মনে একজন শ্রমিক রুলার মারার কাজ করছেন। জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ জাহান চৌধুরী শাহীন জানান, খেলোয়াড়দের দু’টি ড্রেসিংরুম, প্রেস বক্স, মিডিয়া সেন্টার, কন্ট্রোল রুমসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন কক্ষে মোট ১২টি এসি লাগানো হয়েছে। সবমিলিয়ে বিপিএল’র এ আয়োজনকে ঘিরে স্টেডিয়াম ও মাঠ প্রস্তুতসহ সব মিলিয়ে লাখ দশেক টাকা খরচ হয়েছে। তিনি জানান, স্টেডিয়াম সংলগ্ন দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশনে টিকিট পাওয়া যাবে। ভিআইপি গ্যালারিতে টিকিটের মূল্য ১শ’ টাকা আর সাধারণ গ্যালারিতে টিকিটের দাম ৪৫ টাকা।
বিপিএলকে ঘিরে চার স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলবে জেলা পুলিশ। এর মধ্যে সবচেয়ে প্রাধান্য পাবে অংশগ্রহণকারী দলসমূহের দেশি-বিদেশী খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার বিষয়টি। আর এ নিরাপত্তার কারণেই স্টেডিয়াম সংলগ্ন টাঙ্গাইল বাসস্ট্যান্ডটি খেলা চলাকালীন সময়ে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো: নূরে আলম জানান, একই সঙ্গে স্টেডিয়াম সংলগ্ন বেশ কয়েকটি মেসে থাকবে বাড়তি নজরদারি। খেলোয়াড়দের প্র্যাকটিস মাঠ ও থাকার জন্য দু’টি হোটেলেও থাকবে কড়া নিরাপত্তা বেস্টনী। আর স্টেডিয়ামের বাইরে নিরাপত্তায় থাকবে সাদা পোশাকধারী পুলিশ।
বিপিএল’র নবম আসরের ময়মনসিংহ পর্ব নিয়ে জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের নামকাওয়াস্তে প্রচারণা নিয়ে ফুটবলপ্রেমীদের মাঝে রয়েছে তীব্র ক্ষোভ-অসন্তোষ। ময়মনসিংহ পর্ব শুরু হবার আগেরদিন বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের কর্মকর্তাদের ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে এ ঘটনায় স্থানীয় সংবাদ কর্মীদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে জেলা প্রশাসক মোস্তাকিম বিল্লাহ ফারুকিকে। এ অনুষ্ঠানের বিষয়েও দায়িত্বশীল মিডিয়ার বেশিরভাগ সংবাদকর্মীকেই জানানো হয়নি। এ নিয়ে জেলা প্রশাসন ও প্রচার-উপ কমিটি একে অপরকে দোষারোপও করছেন। স্থানীয় ক্রীড়ানুরাগীদের মাঝেও বড় ধরনের এ আসর নিয়ে খুব একটা প্রচারণা না থাকায় জেলা ক্রীড়া সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। শহরে নামকাওয়াস্তে করা হয়েছে মাইকিং। তবে জেলা প্রশাসক দাবি করেন, ‘আমি ৫ দিন ঢাকায় ছিলাম। গোটা শহরজুড়ে মাইকিং চলছে। বিভিন্ন থানায় মাইকিং করাতেও ইউএনওদের নির্দেশ দিয়েছি। খেলা নান্দনিক হলে দর্শক বাড়বে।’ শহরের আনন্দমোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষার্থী মিশফিকুর রহমান সানজি। তার ভাষ্য, ‘দু’এক জায়গায় মাইকিং শুনেছি। আর কয়েক জায়গায় ব্যানার ফেস্টুন দেখেছি। এমন প্রচারণা দর্শক টানতে পারবে না।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।