বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুয়াকাটা সৈকতের এক মাত্র ট্যুরিজম পার্কটি আগামী জোতেই বিলীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশ্ব নন্দিত পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটাকে প্রতিদিনই ক্রমশই গ্রাস করছে ক্ষুধার্ত সাগর। প্রতিবারই ছোট হয়ে আসছে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের মানচিত্র। প্রতি বছরের ন্যায় অমাবস্যা ও পূর্ণিমার জোঁ’তে সাগরে সৃষ্টি হয় প্রকান্ড ঢেউ। ভয়ানক ঢেউগুলোর ঝাঁপটাতে বালুক্ষয় করে সৈকতের পরিধি ছোট করে ফেলেছে। যার কারণে ঝুকিতে আছে সৈকতের একমাত্র ট্যুরিজম পার্কটি। এখন সুরক্ষা না করলেই জোগুলোতে বিলীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে ধারণা করছেন কুয়াকাটা পর্যটকদের নিয়ে কাজ করা ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট এ্যাসোসিয়েশন কুটুম।
জানাযায়,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে ১০ই মে পটুয়াখারীর জেলা প্রশাসক মোঃ মতিউল ইসলাম চৌধুরী ফিতা কেটে পার্কটির উদ্বোধন করলেন। এর আগে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের অর্থায়নে প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয়-বরাদ্দে সাগরপারে দৃষ্টিনন্দন এই পার্কটি নির্মিত হয়েছে।
পার্কটিতে রয়েছে বহুমুখি সুযোগ-সুবিধা। সাগরে গোসল করতে নামার আগে পর্যটকরা পার্কটিতে থাকা লকার ব্যবহার করতে পারবেন। অন্তত দুই শ’ লকার থাকছে। পার্কটি রয়েছে বাউন্ডারি ঘেরা। টিনশেড আধুনিক ডেকোরেশন সমৃদ্ধ একতলা আলাদা বিশ্রামাগার থাকছে। সেখানে সোফার ব্যবহার থাকছে। বসেই উত্তাল সমুদ্রে দৃষ্টি রাখতে পারবেন পর্যটক। পুরুষ ও মহিলাদের আলাদাভাবে পোশাক-পরিচ্ছদ পাল্টানোর মতো স্পেস নিয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কক্ষ নির্মাণ করা হয়েছে। এমনকি পার্ক সংলগ্ন সীবিচে বোল্ডার দিয়ে সাগরের ঢেউয়ে বেলাভূমি ক্ষয়রোধেও বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হলেও তা আজ বিলীন হয়ে গেছে। জিও টিউব দেয়া হয়েছে উত্তাল ঢেউয়ে যেন বীচের বেলাভূমের ক্ষয় বন্ধে। কিন্তু আজ বিলীন হতে যাচ্ছে সমুদ্রগর্ভে।যদি এখনই সরকার কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করে তাহলে বিলীন হতে সময় লাগবে না কুয়াকাটার একমাত্র দৃষ্টিনন্দন এই টুরিস্ট পার্কটি।
সৈকতে অবস্থানরত ব্যবসায়ী মোঃ বেলাল খলিফা বলেন ঈদুল আযহার এই পূর্নিমার জোতে যেভাবে সমুদ্রর পার ভেঙেছে এভাবে ভাঙতে থাকলে খুব অল্প সময়ে টুরিস্ট পার্কসহ গুরুত্বপূর্ণ টুরিস্ট স্পট গুলো বিলীন হয়ে যাবে। মুজিব শতবর্ষ প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের আবেদন যেন খুব দ্রুত এই ভাঙ্গন রোধের ব্যবস্থা করেন। এবিষয় কথা হয় কুয়াকাটার ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট এ্যাসোসিয়েশন কুটুমের সভাপতি সাংবাদিক নাসির উদ্দির বিল্পব বলেন, কুয়াকাটা সৈকতে থাকা বিনোদনের মধ্যে রয়েছে ট্যুরিজম পার্ক যেটা বালুক্ষয়ের কারণে এখন হুমকির মুখে। দ্রুত সৈকত সুরক্ষা বাধ মেরিন ড্রাইভ না দিলে হারিয়ে যাবে পার্কসহ গুরুত্বপূর্ন অনেক স্থাপনা। কুয়াকাটা বিচম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সাংবাদিক এ এম মিজানুর রহমান বুলেট বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শুভদৃষ্টি কামনা করেন।
এ ব্যাপারে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোঃ শহিদুল হক বলেন, এ বিষয় আমাদের নজরে আছে এবং পাউবোকে জানানো হয়ছে স্থায়ী বালুর বস্তা দিয়ে কাজ করার কথা রয়েছে আশাকরি খুবদ্রুত ব্যবস্থা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।