মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত তেল জায়ান্টের এ বছর লাভের গতি হ্রাস ও ঋণ বৃদ্ধির পরেও সউদী আরব বাজেটের ঘাটতি বৃদ্ধির সাথে লড়াই করে ৭৫ বিলিয়ন ডলার লভ্যাংশ দেয়ার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে চলেছে। সউদী আরামকো জানায়, অপরিশোধিত তেলের দাম কমার কারণে জুনে সমাপ্ত তিন মাসে নিট আয় কমেছে ২৪ দশমিক ৬ বিলিয়ন রিয়াল (৬ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার), যা এক বছর আগের তুলনায় ৭৩ শতাংশ কম। আরামকো এ প্রান্তিকে ১৮.৭৫ বিলিয়ন ডলার লভ্যাংশ প্রদান করবে, যার বেশিরভাগ অংশ সরকারকে প্রদান করবে যারা কোম্পানির প্রায় ৯৮ শতাংশ শেয়ারের মালিক।
চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার আমিন নাসেরের মতে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ করোনা লকডাউন শিথিল করার কারণে আরামকোর কর্মক্ষমতা এবং জ্বালানির চাহিদা সম্ভবত বছরের বাকি সময়গুলোয় উন্নত হবে।
তিনি বলছিলেন, ‘বিশ্বজুড়ে দেশগুলো নিষেধাজ্ঞা সহজ করতে এবং তাদের অর্থনীতি পুনরায় চালু করার পদক্ষেপ গ্রহণ করায় আমরা জ্বালানি বাজারে আংশিক পুনরুদ্ধার দেখছি’।
এর ফলে একটি অশান্ত সময় কাটানোয় দ্বিতীয় কোয়ার্টারে বছর-টু-বছরের হিসেবে বিশ্বের বৃহত্তম তেল রফতানিকারীর লভ্যাংশ ৭৩ শতাংশ কমে যায়। এপ্রিল মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দাম সংক্ষিপ্তভাবে নেতিবাচক হয়ে পড়েছিল কারণ ভাইরাসে বিশ্বব্যাপী অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়েছিল এবং আরামকো শত শত চাকরি কমিয়ে দেয়।
সউদী আরব এবং রাশিয়া পেট্রোলিয়াম রফতানিকারক দেশগুলোর সংস্থা এবং এর অংশীদারদের দিয়ে উৎপাদন হ্রাস এবং অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছিল। তারা দাম বাড়ানোর পরও ব্রেন্ট এ বছর এখনও ৩৩ শতাংশ নিচে রয়েছে।
আরমকোর বিপরীতে বিপি পিএলসি এবং রয়েল ডাচ শেল প্ল্যাকের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীরা তাদের লভ্যাংশ হ্রাস করেছে।
নাসের বলছিলেন, ‘আমরা বাজার চক্রের মাধ্যমে টেকসই লভ্যাংশ সরবরাহে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যেমন আমরা এ প্রান্তিকে দেখিয়েছি। আমাদের উদ্দেশ্য ৭৫ বিলিয়ন প্রদান করা, অবশ্যই বোর্ড অনুমোদনের সাপেক্ষে এবং বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের তথ্য অনুসারে, সউদী আরব তার বেশিরভাগ রাজস্ব অপরিশোধিত তেল থেকে আয় করে এবং তার বাজেটের ঘাটতি ২০২০ সালের মধ্যে মোট দেশজ উৎপাদনের ১২% ছাড়িয়ে গেছে। ২০১৬ সালের পরে এটি সর্বাধিক প্রশস্ত ঘাটতি এবং এটি লভ্যাংশ পরিশোধে আরামকোর ওপর চাপ সৃষ্টি করে। সূত্র : ব্লুমবার্গ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।