Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

করোনাভাইরাসের নতুন ৬ উপসর্গ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৭ আগস্ট, ২০২০, ২:৩৪ পিএম

করোনাভাইরাস নিয়ে বিশ্বে এখনো কোনো সু-সংবাদ নেই। প্রতিদিনই মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
এদিকে এ ভাইরাস নিয়ে একের পর এক দুঃসংবাদই দিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সেই সঙ্গে মিলছে করোনার নতুন নতুন আপডেট। এর মধ্যে আরও ছয় রকমের করোনাভাইরাসের অস্তিত্বের খবর জানালেন একদল ব্রিটিশ গবেষক।

মার্চ থেকে এপ্রিল পর্যন্ত লন্ডনের কিংস কলেজের একদল গবেষক ব্রিটেন ও আমেরিকার প্রায় ১,৬০০ জন করোনা রোগীকে নিয়ে সমীক্ষা চালান। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে ৮-১০ দিন পর্যবেক্ষণের পর রোগীদের থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে এই ছয় রকমের করোনাভাইরাসের অস্তিত্বের সন্ধান পেয়েছেন তারা।
গবেষকদের দাবি, ছয় রকমের করোনাভাইরাসের উপসর্গগুলোও ভিন্ন ভিন্ন ধরনের। জেনে নেই এই ৬ করোনার নতুন উপসর্গগুলো।

১. এই ধরনের করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গা, হাত-পা ব্যথা, গলা ব্যথা, মাথা যন্ত্রণা, ঘ্রাণশক্তি হারানো, সর্দি-কাশির মতো উপসর্গগুলি পাশাপাশি শরীরের তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি থাকে এবং জ্বর তিন দিনের বেশি সময় পর্যন্ত স্থায়ী হয়।

২. এই ধরনের করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে আক্রান্তদের শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকে। জ্বর না থাকলেও গা, হাত-পা ব্যথা, গলা ব্যথা, মাথা যন্ত্রণা, ঘ্রাণশক্তি হারানো, সর্দি মতো উপসর্গগুলো দেখা যায় আক্রান্তদের মধ্যে।

৩. এই ধরনের করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে দু’-তিন দিন ধরে পেটে ব্যথা, পেট কামড়ানো বা মোচড় দেওয়া, ডায়রিয়া, খাওয়ার ইচ্ছে না থাকা, গলা ব্যথা, মাথা যন্ত্রণার মতো সমস্যা দেখা দেয়। তবে এক্ষেত্রে ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে জ্বর বা সর্দি-কাশির মতো সমস্যাগুলো থাকে না।

৪.এই ধরনের করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে আক্রান্তদের মধ্যে গলা ব্যথা, মাথা যন্ত্রণা, ঘ্রাণশক্তি হারানো, সর্দি-কাশি, জ্বরের পাশাপাশি সারাক্ষণ ক্লান্তি ও অবসন্নভাব লক্ষ্য করা যায়।

৫.এই ধরনের করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গলা ব্যথা, মাথা যন্ত্রণা, ঘ্রাণশক্তি হারানো, খাওয়ার ইচ্ছে না থাকা, সারাক্ষণ ক্লান্তি ও অবসন্নভাব, চিন্তা-ভাবনার ক্ষেত্রে বিভ্রান্তির মতো সমস্যা লক্ষ্য করা যায়। এর সঙ্গে সামান্য জ্বরও থাকে।

৬. এই ধরনের করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে আক্রান্তদের মধ্যে গলা ব্যথা, মাথা যন্ত্রণা, ঘ্রাণশক্তি হারানো, খাওয়ার ইচ্ছে না থাকা, পেটে ব্যথা, ডায়েরিয়া, জ্বর, সর্দি-কাশির পাশাপাশি শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যাও লক্ষ্য করা যায়। এ ক্ষেত্রে রোগীদের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা দ্রুত কমতে থাকে। সূত্র: জিনিউজ



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনা ভাইরাস

১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
২৬ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ