বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দক্ষিণাঞ্চলে করেনা সংক্রমণ আগের দিনের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশী বৃদ্ধির সাথে বরিশালে আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ ঘন্টায় বেড়েছে প্রায় চার গুন। এসময়ে বরিশালের আগৈলঝাড়ায় আরো একজনের মৃত্যু সহ বিভাগের ৬ জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭৯। যা আগের দিন ছিল ৩৪। তবে আগের দিন মৃত্যু হয়েছিল দুজনের। এনিয়ে দক্ষিণাঞ্চলে সরকারী হিসেবে করেনা সংক্রমণে মৃত্যুর সংখ্যা ১২৪-এ উন্নীত হল। আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ১৮২। তবে স্বাস্থ্য বিভাগের অনুমিত হিসেবে গত ২৪ ঘন্টায় দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় আরো ৯০ জন সহ মোট ৪ হাজার ১১৪ জনের সুস্থ হয়ে ওঠার কথা বলা হয়েছে। এদিকে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে গণমাধ্যমকে করোনার পরিপূর্ণ তথ্য প্রদানে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে শুক্রবার থেকে। ফলে এ মহামারি সংক্রান্ত অনেক তথ্য আর পাওয়া যাচ্ছে না।
শুক্রবার দুপুরের পূর্ববর্তী ২৪ ঘন্টায় বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ ও ভোলা হাসপাতাল ল্যাবে প্রায় সোয়া ৩শ নমুনা পরিক্ষায় ৮০ জনের দেহে করোনা পজেটিভ সনাক্ত হয়েছে। যার ৭৩ জনই বরিশাল ল্যাবে।
শুক্রবার দুপুরের পূর্ববর্তি ২৪ ঘন্টায় বরিশালে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪৫। মৃত্যু হয়েছে আরো একজনের। অগের দিন আক্রান্তের সংখ্যাটা ছিল ১২। গত ১৪ জুলাই জেলাটিতে ৫২জন আক্রান্তের পরে শুক্রবারই ছিল সর্বোচ্চ সংক্রমন। এনিয়ে দক্ষিণাঞ্চলে করোনার অন্যতম হটস্পট বরিশালে ৪৬ জনের মৃত্যু ও ২ হাজার ৫৮১ জনের আক্রান্তের পাশাপাশি নতুন ৩৫ জন সহ ১,৭৫৩ জনের সুস্থ হয়ে ওঠার কথাও জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
পিরোজপুরে আগের দিন নতুন কোন সংক্রম না থাকলেও শুক্রবার সংখ্যাটা দাড়িয়েছে ১২’তে। এনিয়ে জেলাটিতে ৭৬২ জন আক্রান্ত ও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে স্বাস্থ্য বিভাগের অনুমিত হিসেবনুযায়ী নুতন ৫ জন সহ মোট সুস্থ হয়েছেন ৪১৫ জন। পটুয়াখাালীতেও আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের ৫ থেকে ১৫’তে উন্নীত হবার ফলে মোট সংক্রমন দাড়িয়েছে ১,০৮১। মৃত্যু হয়েছে এ পর্যন্ত ৩৩ জনের। আর নতুন ১১ জন সহ সুস্থ হয়েছেন ৭২৫ জন।
ভোলাতেও আগের দিনের ৩ জন থেকে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ৭-এ উন্নীত হয়েছে। ফলে এ দ্বীপ জেলায় মোট ৫৬৪ জন আক্রান্ত হল। মৃত্য হয়েছে এ পর্যন্ত ৬ জনের। জেলাটিতে নুতন ২৬ জন সহ মোট সুস্থ হয়েছেন ৪৫৩ জন।
তবে শুক্রবার দুপুরের পূর্ববর্তি ২৪ ঘন্টায় বরগুনা ও ঝালকাঠীতে নতুন কোন আক্রান্তের খবর দেয়নি স্বাস্থ্য বিভাগ। ফলে জেলা দুটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ৬৮৮ ও ৫০৬-ই থাকছে সরকারী হিসেবে। তবে দুটি জেলাতেই মৃত্যু হার দক্ষিণাঞ্চলের অন্য সব জেলার মতই জাতীয় হারের চেয়ে কিছুটা বেশী। বরগুনাতে এ পর্যন্ত ১৪ জন ও ঝালকাঠীতে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। অপরদিকে গত ২৪ ঘন্টায় বরগুনাতে আরো ১১ জন সহ ৪৬০ জন এবং ঝালকাঠীতে ৪ জন সহ মোট ৩০৮ জনের সুস্থ হয়ে ওঠার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।