পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পুলিশের গুলিতে মেজর (অব) সিনহা মো. রাশেদ খান নিহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই।
গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে পীর সাহেব বলেন, গত ৩১ জুলাই টেকনাফের চেকপোস্টে মেজর (অব) সিনহা মো. রাশেদ খান পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। মেধাবি ও তরুণ এ সেনা কর্মকর্তা ২০১৮ সালে সেনাবাহিনী থেকে স্বেচ্ছায় অবসরে যান। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব হলো কাউকে সন্দেহজনক মনে হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা বা আইনের আওতায় এনে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া। কিন্তু কোনো জিজ্ঞাসাবাদ, তদন্ত ও বিচার ছাড়াই কাউকে গুলি করে হত্যা করা মানবাধিকার ও আইনের সুস্পষ্ট লংঘন। যা গভীর উদ্বেগের কারণ।
তিনি বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি যে, বিচার বহির্ভূত হত্যা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্যানুযায়ী গত জুলাই মাসে ৩৫ জনকে এবং গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ১৪৩ জনকে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ক্রসফায়ারের নামে বিচার বহির্ভূতভাবে হত্যা করেছে। বিনা বিচারে কাউকে হত্যা করার অধিকার প্রচলিত আইন কিংবা ইসলামেও নেই। দেশে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যে চরম অবনতি ঘটেছে, তার নির্মম শিকার হয়ে সিনহা দুনিয়া থেকে বিদায় নিলেন। আমরা এ হত্যাকান্ডের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
পীর সাহেব চরমোনাই দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে অতি অল্প সময়ের মধ্যে সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যার বিচার সম্পন্ন এবং দোষী ব্যক্তিদের দৃস্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।