মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পুলিশের গুলিতে নিহতের সংখ্যা ৬০ জন ছাড়িয়েছে
ইনকিলাব ডেস্ক : ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের উত্তাপ কোনোভাবেই থামছে না। বিক্ষোভে অংশ নেয়া স্বাধীনতাকামীদের ওপর পেলেটগান বা ছররা বন্দুক দিয়ে গুলি করে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ওই গুলিতে আহত হয়ে অনেকেই দৃষ্টিশক্তি হারাতে বসেছেন। আর এ কারণেই বিদ্রোহ আরো কঠিন আকার ধারণ করেছে। পুলিশের গুলিতে নিহতের সংখ্যা ৬০ জন ছাড়িয়েছে। এরমাঝেই অবরোধ পালনকারীরা তাদের কর্মসূচি ৫ আগস্ট পর্যন্ত বর্ধিত করার ঘোষণা দিয়েছে। কারফিউ এবং পুলিশের ব্যাপক বাধার মাঝেও গত মঙ্গলবার টানা ২৪ দিনের মতো অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে স্বাধীনতাকামী কাশ্মীরীরা। বন্ধ রয়েছে সকল দোকানপাট-যান চলাচল। সেই সাথে বন্ধ রয়েছে পাড়া মহল্লার সকল মুদি দোকানগুলোও। পাশাপাশি সকল গলিপথের দেয়াল এবং দোকানের বন্ধ সার্টারগুলোতে স্বাধীনতার দাবি সংবলিত বিভিন্ন সেøাগান লেখা দেখা যায়। চলমান আন্দোলনকে স্বাধীনতার দাবিতে করা একদফার আন্দোলনের পর্যায়ে নিয়ে গেছে। এমনকি অনেক স্থানে ইংরেজীতে ‘গো ব্যাক ইন্ডিয়া’ লেখাও চোখে পড়ছে। প্রতিটি মহল্লা এবং অলিগলিতে শক্ত অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বিক্ষোভকারীদের সাথে কিছুক্ষণ পরপরই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। পুলিশের সিনিয়র এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টায় তাদের এই কড়াকড়ি অবস্থান অব্যাহত থাকবে। এরমাঝেই অবরোধ পালনকারীরা তাদের কর্মসূচি ৫ আগস্ট পর্যন্ত বর্ধিত করার ঘোষণা দিয়েছে। তাছাড়া তাদের অবরোধ কর্মসূচি প্রতিদিন সন্ধ্যা ছয়টার পরে কিছুটা শিথিল করা হবে জানিয়েছে তারা। গত ৮ জুলাই হিজবুল মুজাহিদিনের কমান্ডার বুরহান ওয়ানি নিহত হওয়ার পর থেকে শুরু হওয়া এই প্রতিবাদ বিক্ষোভে সোমবার পর্যন্ত পুলিশের গুলিতে নিহতের সংখ্যা ৬০ জন ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে দ্য পাকিস্তান টুডে। তবে গত সোমবার পর্যন্ত এ সংখ্যা ৫১ জনে দাঁড়িয়েছে বলে দাবি করেছে ভারতের প্রভাবশালী দৈনিক দ্য হিন্দুস্থান টাইমস। চলমান এই আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে এ পর্যন্ত ৫৬০০ জন আহত হয়েছে জানিয়েছে তারা। ভারত শাসিত কাশ্মীরে পুলিশের গুলিতে হিজবুল মুজাহিদিনের এক কমান্ডার বুরহান ওয়ানি নিহত হওয়ার পর মূলত নতুন করে এই বিক্ষোভ শুরু হয়। গত ৮ জুলাই কাশ্মীর সীমান্তে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর যৌথ অভিযানে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিনের শীর্ষ নেতা বুরহান মুজাফফার নিহত হয়। এ ঘটনায় কাশ্মীরের দক্ষিণে সাধারণ জনতার মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সাধারণ জনতার সংঘর্ষ হয়। পরে শ্রীনগরের বেশ কিছু এলাকায় কারফিউ জারি করে স্থানীয় প্রশাসন। ২১ বছর বয়সী এই বুরহান ওয়ানি প্রথম হিজবুল কমান্ডার, যিনি কালশনিকভ হাতে নিয়ে ছবি তুলে সেটা সামাজিক সাইটে পোস্ট করেছিলেন। তরুণ প্রজন্মের একটা অংশের কাছে অত্যন্ত প্রিয় হয়ে উঠেছিলেন তিনি। হিন্দুস্থান টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।