পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অবশেষে কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান নিহতের ঘটনায় আদালতে মামলা করেছে পরিবার। পরে আদালত মামলাটি তদন্ত করার জন্য র্যাবের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন। গতকাল কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (নম্বর ৩-টেকনাফ) মামলাটি করা হয়। এতে টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশসহ পুলিশের ৯ জনকে আসামি করা হয়।
দন্ডবিধির ৩০২, ২০১, ৩৪ ধারায় করা এই মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ও পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে। তার বাড়ি চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার পূর্ব হুলাইন গ্রামে। দুই নম্বর আসামি টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাস। মামলার অপর ৭ জন আসামি হলেন থানার এসআই দুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া, এসআই টুটুল ও কনস্টেবল মো. মোস্তফা।
কক্সবাজারের টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর পুলিশ তল্লাশিচৌকিতে গত ৩১ জুলাই রাতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান (৩৬)। এ ঘটনায় সারাদেশে তোলপাড় শুরু হয়। এ ঘটনার বিচার চেয়ে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন নিহত ব্যক্তির বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। আদালতের বিচারক তামান্না ফারাহ মামলাটি গ্রহণ করেন। তিনি এজাহারটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে সাত দিনের মধ্যে আদালতকে অবহিত করতে টেকনাফ থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। পাশাপাশি মামলাটি তদন্ত করে আদালতকে জানানোর জন্য র্যাব-১৫ কক্সবাজার ক্যাম্পের অধিনায়ককে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী ও কক্সবাজার জেলা জজ আদালতের সিনিয়র আইনজীবী মোহাম্মদ মোস্তফা। তিনি আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের বলেন, মামলার এজাহার টেকনাফ থানায় পৌঁছানো হবে। এ সময় আইনজীবীর পাশে ছিলেন মামলার বাদী শারমিন শাহরিয়াসহ নিহত ব্যক্তির পরিবারের অন্য সদস্যরা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন ঢাকা থেকে আসা হাইকোর্টের আইনজীবী আনোয়ারুল কবিরও। অবশ্য তাঁদের কেউই সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি।
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানকে হত্যার জন্য টেকনাফ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাস নির্দেশ দিয়েছিলেন এমন তথ্য উঠে আসছে প্রত্যক্ষদর্শী ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে। ওসির নির্দেশে শামলাপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (আইসি) এসআই লিয়াকত তাকে গুলি করেন। প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে অধীনস্থ ওসি, আইসিকে রক্ষা করতে সাফাই গেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনের বিরুদ্ধে।
সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার গোপন প্রতিবেদন, ভিডিও, ঘটনার প্রত্যক্ষ সাক্ষী, পুলিশের টেলিফোন রেকর্ডে ফেঁসে যাচ্ছেন কক্সবাজারের এসপি, টেকনাফ থানার ওসি ও বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের আইসি লিয়াকত হোসেন।
কক্সবাজার আদালতে মামলার কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য গতকাল সকাল সাড়ে নয়টার দিকে মেজর সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়াসহ পরিবারের সদস্যরা কক্সবাজার আদালতে এসে হাজির হন। জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সদস্য অ্যাডভোকেট মো. মুস্তফার চেম্বার এ মামলার প্রস্তুতি সমাপ্ত করে তারা টেকনাফ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। এসময় কক্সবাজার আদালত প্রাঙ্গণে উৎসুক জনতার ভিড় সৃষ্টি হয়। এই ঘটনা তদন্তে মাঠে রয়েছে সামরিক গোয়েন্দা সংস্থাসহ একাধিক সরকারি সংস্থা। এছাড়াও ঘটনা তদন্ত করছেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত টিম।
গতকাল দুপুরে বিশেষ হেলিকপ্টারে কক্সবাজার আসেন সেনাবাহিনী প্রধান আজিজ আহমদ ও আইজিপি বেনজির আহমদ। কক্সবাজার পৌঁছেই দুই বাহিনী প্রধান সংশ্লিষ্টদের সাথে বৈঠকে মিলিত হন। বিকেলে কক্সবাজার সৈকতের জলতরঙ্গ রির্সোটে মিডিয়াকর্মীদের যৌথ প্রেস ব্রিফিং করেন। এ সময় সেনাপ্রধান ও আইজিপি বলেন, টেকনাফে পুলিশের গুলিতে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান নিহত হওয়ার ঘটনাটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। তবে এটা দুঃখজনক। এই ঘটনায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ দুই রাষ্ট্রীয় বাহিনীর মধ্যকার সম্পর্ক নষ্ট হবে না। এছাড়া এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। এই ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের কোনো দায় কোনো বাহিনী নেবে না। এছাড়াও মাদক ও সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রম স্বাভাবিক এবং চলমান থাকবে।
এদিকে, মেজর (অব.) সিনহা হত্যাকান্ডের প্রেক্ষাপটে ৭টি মন্তব্য ও ৫টি সুপারিশসহ সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা একটি প্রতিবেদন দিয়েছে বলে জানা গেছে। প্রতিবেদনে কক্সবাজার জেলায় বিশেষ করে টেকনাফ থানায় মাদক নির্মূলের নামে পুলিশ সদস্যদের মধ্যে হত্যার প্রতিযোগিতা চলছে বলে উল্লেখ করা হয়। যা প্রতিনিয়ত অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার জন্ম দিচ্ছে এবং ভবিষ্যতে আরও দেবে বলে আশঙ্কা করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ পিস অবজারভেটরির দেয়া তথ্যউপাত্ত অনুযায়ী ২০১৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত কক্সবাজার জেলায় ২১৮টি বন্দুকযুদ্ধ ও ক্রসফায়ারের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে টেকনাফ উপজেলায় ঘটেছে ১৪৪টি ক্রসফায়ার ও কথিত বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা। যেখানে নিহত হয়েছেন ২০৪ জন। আর ১৬১টি কথিত বন্দুকযুদ্ধের নামে ক্রসফায়ারে নেতৃত্ব দিয়েছেন ওসি প্রদীপ ও এসআই লিয়াকত।
ওই প্রতিবেদনে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা নিহত হওয়ার ঘটনা সম্পর্কে বলা হয়েছে, সে দিন টেকনাফ থেকে মেরিন ড্রাইভ সড়ক দিয়ে নিজস্ব প্রাইভেটকারে কক্সবাজারের দিকে যাচ্ছিলেন সিনহা মো. রাশেদ খান। তার সঙ্গে গাড়িতে ছিলেন সিফাত নামের আরেকজন। মেজর (অব.) সিনহার গাড়িটি প্রথমে বিজিবির একটি চেকপোস্টে এসে থামে। পরিচয় পাওয়ার পর বিজিবি সদস্যরা তাদের ছেড়ে দেন। এরপর রাত ৯টার দিকে সিনহার গাড়িটি এসে পৌঁছায় টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর মেরিন ড্রাইভ পুলিশ চেকপোস্টে।
পুলিশের নির্দেশনা পেয়ে গাড়ি থেকে হাত উঁচু করে প্রথমে নামেন সিফাত। এরপর নিজের পরিচয় দিয়ে হাত উঁচু করে গাড়ি থেকে নামেন মেজর (অব.) সিনহা। এসময় কোনোরূপ জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়াই মেজর (অব.) সিনহার বুকে একে একে তিনটি গুলি ছোড়েন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলী। মুহূর্তেই তিনি মাটিতে ঢলে পড়েন। সিনহার ব্যক্তিগত পিস্তল থাকলেও সেটি ছিল গাড়িতে।
সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার ওই প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, প্রত্যক্ষ সাক্ষী নির্মূল করার প্রয়াসে পুলিশ সে সময় আটক সিফাতকে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার অভিযানের নামে হত্যা করার সমূহ সম্ভাবনা থাকায় তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যাকান্ড নিয়ে পুলিশের দেয়া বক্তব্য বাস্তবতার সঙ্গে কোনো মিল নেই বরং উল্টো বলেই উল্লেখ করা হয় ওই প্রতিবেদনে। ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে হত্যাকান্ডের খবর পেয়ে সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার একজন মাঠকর্মী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তখন সিনহা মো. রাশেদ খান জীবিত ছিলেন এবং নড়াছড়া করছিলেন।
এ সময় ভিডিও করতে গেলে পুলিশ তার মোবাইল ফোন ও পরিচয়পত্র ছিনিয়ে নেন এবং আটক করে রাখেন। রাত ১০টা ৪৫ মিনিটের দিকে একটি মিনি ট্রাক আনা হয়। রাত ১১ টার দিকে মেজর (অব.) সিনহাকে নিয়ে মিনি ট্রাকটি কক্সবাজার হাসপাতাল রওনা দেয়। প্রায় ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পর হাসপাতালে পৌঁছে ট্রাকটি।
ট্রাক ড্রাইভার বলেছেন, ওই সময়ে মেজর সিনহার প্রাণ ছিল। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সিনহার শরীরের ওপরের অংশ কর্দমাক্ত এবং বুক ও গলা গুলিবিদ্ধ ছিল। পরনে সামরিক পোশাক ও হাতকড়া লাগানোর দাগ ছিল। গোয়েন্দা প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে। এছাড়াও প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে কুত্তার বাচ্চা বলে গালি দিয়ে গুলি করার পর খতম করে দিয়েছি বলে উল্লাস করেছিল আইসি লিয়াকত। এর পর ওসি প্রদীপ এসে সিনহার বুকে ও মুখে লাথি মেরে তার দেহ (তখনো নড়াচড়া করছিল) সরিয়ে ফেলতে বলে।
ওই ঘটনায় করা মামলার এজহারে বলা হয়েছে, টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাস আগেই খবর পেয়েছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যের পোশাক পরা এক ব্যক্তিসহ দুজন মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের দিকে যাচ্ছেন। তার নির্দেশেই শামলাপুর পুলিশ চেকপোস্টে যানবাহন তল্লাশির কাজ শুরু হয়। মৃত্যুর আগে একাধিকবার সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান তার পরিচয় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদেরও দিয়েছিলেন।
ফাঁড়ির ইনচার্জ লিয়াকত আলীর পিস্তল থেকে চার রাউন্ড গুলি ছোড়ার কথা উল্লেখ আছে এজাহারে। অথচ সিনহার মৃত্যুর দায় চাপানো হয়েছে তার সঙ্গে থাকা সাহেদুল ইসলাম সিফাতের ওপর। টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাসের ভাষ্যানুযায়ী এজাহারটি লেখা হয়। এতে উল্লেখ করা হয় সিফাতের অপরাধ পরস্পর (সিনহা ও সিফাত) যোগসাজশে সরকারি কাজে বাধা, হত্যার উদ্দেশ্যে অস্ত্র দিয়ে গুলি তাক করা ও মৃত্যু ঘটানো।
মামলায় বলা হয়, ফাঁড়ির ইনচার্জ এসময় গাড়িচালকের আসনে বসা ব্যক্তিকে গাড়ি থেকে নেমে হাত মাথার ওপর উঁচু করে দাঁড়াতে বলেন ও বিস্তারিত পরিচয় জানতে চান। কিছুক্ষণ তর্ক করার পর সেনাবাহিনীর মেজর পরিচয় দেয়া ব্যক্তি গাড়ি থেকে নেমে কোমরের ডান পাশ থেকে পিস্তল বের করে গুলি করতে উদ্যত হন। মামলাটি রেকর্ড করেন এএসআই নন্দদুলাল রক্ষিত। তিনি বলেন, আইসি (ইনচার্জ) স্যার (লিয়াকত আলী) নিজের ও সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সদের জানমাল রক্ষার্থে সঙ্গে থাকা পিস্তল দিয়ে চার রাউন্ড গুলি করেন।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) এ বি এম মাসুদ হোসেন টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাসের সুরে সুরে কথা বলেন। তিনি বলেন, শামলাপুরের লোকজন ওই গাড়ির আরোহীদের ডাকাত সন্দেহ করে পুলিশকে খবর দেন। এই সময়ে তল্লাশি চেকপোস্টে গাড়িটি থামানোর চেষ্টা করে পুলিশ। কিন্তু গাড়ির আরোহী একজন তার পিস্তল বের করে পুলিশকে গুলি করার চেষ্টা করেন। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ গুলি চালায়। এতে ওই ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
সামরিক ওই গোয়েন্দা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানকে যখন হত্যা করা হয় তখন তার গায়ে সামরিক বাহিনীর পোশাক ছিল। একজন সামরিক পোশাকধারী অফিসার পরিচয় প্রদানের পরও কোনোরূপ বিবেচনা ব্যতীত এসআই লিয়াকত গুলি করেন। যা সামরিক বাহিনীর প্রতি অশ্রদ্ধা ও ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। একজন ব্যক্তি হাত তুলে গাড়ি থেকে বের হওয়ার পর তাকে আটক না করে সরাসরি গুলি করা আইন-বহিভর্‚ত। এএসইউ এর মাঠকর্মীর পরিচয় জানার পরও তার পরিচয়পত্র ছিনিয়ে নেয়া মোটেও কাম্য নয়। যা ঘটনার সত্যতা সংরক্ষণ করতে না দেয়ার অপকৌশল বলে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে, টেকনাফ থানার বিতর্কিত ওসি প্রদীপ দাসের গত তিন বছরে অর্জিত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি, পরিবারের সদস্য ও তার কাছে দূরের সকল আত্মীয়স্বজনদের ব্যাংক হিসাব খতিয়ে দেখা ও সেনাবাহিনীর সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খুনের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।