Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

স্ট্রোক রোগীদের পুনর্বাসন ও স্বাস্থ্য সচেতনতা নিয়ে আলোচনা

ঢাকা নিউরোসাইন্স সামিট-২০১৬ অনুষ্ঠিত হবে ৬ আগস্ট

প্রকাশের সময় : ৪ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর কারণ হিসেবে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে স্ট্রোক। নিউরো স্বাস্থ্য সচেতনতা ও স্ট্রোক রোগীদের পুনর্বাসনে আগামী ৬ আগস্ট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘ঢাকা নিউরোসাইন্স সামিট-২০১৬’। দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এ সামিটে সাধারণ মানুষের নিউরো স্বাস্থ্য সচেতনতা ও স্ট্রোক রোগীদের পুনর্বাসন নিয়ে আধুনিক চিকিৎসার নানা দিক সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। গতকাল সাংবাদিক সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। সামিটের বিভিন্ন দিক তুলে ধরতে দুপুরে পুরানা পল্টনের ডা. নওয়াব আলী টাওয়ারে এ সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সামিটে অংশ নেবেন দেশের বরেণ্য নিউরোমেডিসিন ও নিউরোসার্জনরা।
দেশের চিকিৎসাবিজ্ঞানের অগ্রযাত্রাকে তুলে ধরতে এবং জনগণকে স্ট্রোক-এর ঝুঁকি সম্পর্কে অবহিত করতে অনুষ্ঠিত হবে এ সামিট। রাজধানীর ইস্কাটনের বিয়াম মিলনায়তনে এই সামিটের উদ্বোধন করবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোসার্জারি বিভাগের ডিন প্রফেসর ডা. কনক কান্তি বড়–য়া। এতে আরো যোগ দিবেন, ভারতের নিউরোলজিক্যাল সোসাইটির সাবেক সভাপতি প্রফেসর ডা. আর এন ভট্টাচার্য।   
সাংবাদিক সম্মেলনে দেশের নিউরো রোগীদের চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা করেন হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. এ এস এম কামরুল হাসান। স্যার উইলিয়াম বেভারেজ ফাউন্ডেশনের হেড অব অপারেশন মেজর জেনারেল (অব.) জীবন কানাই দাস ও নিউরোসায়েন্স সামিট-২০১৬-এর সেক্রেটারি ডা. সুব্রত ঘোষ।
ডা. কামরুল হাসান বলেন, এই সামিটে দিনব্যাপী স্ট্রোক নিয়ে আলোচনা করা হবে। মানুষ যাতে রোগে আক্রান্ত না হয়, সে জন্য মানুষকে সচেতন হতে হবে। সচেতনতা মেনে চললে সে কিভাবে ভালো থাকবে, এটা সে জানবে। তিনি বলেন, দেশের মানুষের গড় আয়ু বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে স্ট্রোকের প্রবণতা। তিনি আমেরিকার এক গবেষণার উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন’ গবেষণায় দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। ‘দ্যা হার্ট স্ট্রোক ফাউন্ডেশন অব কানাডা’র গবেষণায় জানা গেছে, সেখানে প্রতি ৭ মিনিটে একজন মারা যাচ্ছে স্ট্রোকে। ইউরোপের মতো উন্নত দেশেও প্রতিবছর গড়ে ৬ লাখ ৫০ হাজার জন স্ট্রোকে মারা যাচ্ছেন। বিশ্বের মধ্যে মৃত্যুর তৃতীয় কারণ হিসেবে রয়েছে স্ট্রোক। কামরুল হাসান বলেন, প্রেসার ডায়বেটিক নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকবে না।     
এছাড়া সামিটে দেশের বরেণ্য নিউরোমেডিসিন ও নিউরোসার্জন, বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসক, শিক্ষার্থী, প্রবীণরা অংশ গ্রহণ করবেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: স্ট্রোক রোগীদের পুনর্বাসন ও স্বাস্থ্য সচেতনতা নিয়ে আলোচনা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ