Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

নিরাপত্তা ও উন্নয়ন সেবা একসঙ্গে চলবে -সাঈদ খোকন

প্রকাশের সময় : ৪ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : গুলশান, শোলাকিয়া ও কল্যাণপুরের ঘটনায় রাজধানীবাসী আতঙ্কিত, বিস্মিত, স্তম্ভিত বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন। তাই মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে সকল সরকারি-বেসরকারি সেবা সংস্থার প্রধানকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান মেয়র। তিনি বলেন আমাদের নিরাপত্তা, উন্নয়ন ও সেবা একসঙ্গে চলবে।
গতকাল বুধবার সকালে নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে ২৬টি সেবা সংস্থার প্রধানদের নিয়ে সমন্বয় সভায় সমাপনী বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন মেয়র সাঈদ খোকন।
মেয়র বলেন, আমাদের সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বয়ের অভাবে নাগরিকদের প্রত্যাশা যথেষ্টভাবে পূরণ করতে পারি না। তাই প্রধানমন্ত্রী সকল সেবা সংস্থাকে সমন্বয় করে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন। তারই আলোকে আজকের এই সভা।
তিনি বলেন, সম্প্রতি গুলশান, শোলাকিয়া ও কল্যাণপুরের ঘটনায় রাজধানীবাসী বিস্মিত ও ভীত হয়েছেন। তবে এরপর চারদিকে যে আলোচনার ঝড় উঠেছে তাতে বোঝা যায়, আমাদের স্থিতিশীল ও মুক্ত চিন্তা-চেতনার সমাজ ব্যবস্থা রয়েছে। রাত ১২টা-১টার পর রাস্তায় জ্যাম দেখলেই বোঝা যায় মানুষ কর্মব্যস্ত রয়েছে। এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে আমরা অভ্যস্ত নই। এই ঘটনা কিন্তু পৃথিবীর বহু দেশেই ঘটছে। তারা অভ্যস্ত।
এসময় মেয়র রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সেবা সংস্থার প্রধানকে তাদের নিজস্ব ভবন রং করার নির্দেশ দিয়েছেন। মেয়র বলেন, অনেক সরকারি বেসরকারি সেবা সংস্থার ভবনের রং বহু পুরনো, যা অত্যন্ত দৃষ্টিকটু। এগুলোর রং করা দরকার। একই সঙ্গে মেয়র সকল সেবা সংস্থায় মাসে অন্তত একদিন পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানোর আহ্বান জানান। একই সঙ্গে সেবা সংস্থার ভবনগুলোতে গাছ লাগানোর নির্দেশ দেন মেয়র।
যেসব সেবা সংস্থা এ কাজ করবে তারা হোল্ডিং ট্যাক্সের ১০% ছাড় পাবেন বলে ঘোষণা দেন তিনি। এছাড়া দুই সপ্তাহের মধ্যে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের নিচের অবৈধ ট্রাকস্ট্যান্ড উচ্ছেদের জন্য সময় বেঁধে দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন।
সভায় ট্রাকস্ট্যান্ড উচ্ছেদের জন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়। এছাড়া উচ্ছেদের পর সেই অবস্থা ধরে রাখার জন্য ট্রাফিক পুলিশের ডিসিকেও (দক্ষিণ) দায়িত্ব দেওয়ার নির্দেশ দেন মেয়র।
ট্রাকস্ট্যান্ড উচ্ছেদে ট্রাফিক পুলিশের ডিসি দক্ষিণ, ডিএমপির (ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ) ডিসি ওয়ারী, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং ৪৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কালাম অনুকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়।
মেয়র বলেন, ফ্লাইওভারের নিচের পিলারগুলো ঘেষে যত্রতত্র ট্রাক রাখা হয়। উচ্ছেদের পর আবার দখল হয়। এর স্থায়ী সমাধান করতে হবে। এজন্য মেয়র ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার শেখ মোহাম্মদ মারুফ হাসানকে দিনক্ষণ ঠিক করার তাগিদ দেন।
অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, আমরা আন্তরিক আছি। আপনারা চাইলে করে দেব। এরপর মেয়র বলেন, কমিটিকে আমি দুই সপ্তাহ সময় দিচ্ছি। এর মধ্যে ওই ট্রাকস্ট্যান্ড উচ্ছেদ করতে হবে।
সমন্বয় সভায় ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর অতিরিক্ত কমিশনার শেখ মুহম্মদ মারুফ হাসান, বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহাম্মেদ খান, রাজউক চেয়ারম্যান এম বজলুল করিম চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শহিদুল ইসলাম, বিভাগী কমিশনার হেলাল উদ্দিন আহম্মদ, বিটিসিএলের (দক্ষিণ) ব্যবস্থাপক (জিএম) খান আতাউর রহমান, ডিপিডিসি



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নিরাপত্তা ও উন্নয়ন সেবা একসঙ্গে চলবে -সাঈদ খোকন
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ