Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

টেস্টে দ্বি-স্তরের বিপক্ষে ভারতও

প্রকাশের সময় : ৪ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস ডেস্ক : বেশ কিছুদিন ধরেই টেস্টে দ্বি-স্তর নিয়ে চলছে আলোচনা, সমালোচনা। এই কাঠামোয় টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ের সেরা ৭ দল থাকবে প্রথম স্তরে। শেষ তিন দল এবং নতুন দুটি টেস্ট খেলুড়ে দেশ থাকবে দ্বিতীয় স্তরে। আইসিসির প্রধান নির্বাহী ডেভ রিচার্ডসনের উত্থাপিত এই প্রস্তাবের পক্ষে শুরু থেকেই অবস্থান নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড। আর প্রথম থেকেই এই প্রস্তাবের বিপক্ষে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করে আসছে বাংরাদেশ। আইসিসি সভা থেকে ফিরে ৩ জুলাই বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান দাবি করেন, প্রধান নির্বাহীদের সভায় একমাত্র বাংলাদেশই দ্বি-স্তর টেস্টের বিরোধিতা করে। এরপর শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের প্রধান থিলাঙ্গা সামাথিপালা জানান, তারাও টেস্ট ক্রিকেটকে দুই স্তরে নিয়ে যাওয়ার বিরুদ্ধে।
বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কার সঙ্গে এবার সুর মিলিয়েছে ক্রিকেটের অন্যতম প্রভাবশালী সংগঠন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিসিআই)। ভারতের ক্রিকেট প্রধান অনুরাগ ঠাকুর টেস্টে দ্বি-স্তরের বিপক্ষে তাদের অবস্থানের কথা জানিয়েছেন। গেলপরশুর চেন্নাইয়ে হয়ে যাওয়া ওয়ার্কিং কমিটির এক সভা শেষে টেস্টে দ্বি-স্তরের পক্ষে ভারতের সমর্থনের প্রসঙ্গে ঠাকুর বলেন, ‘একদমই না। বিসিসিআই টেস্টে দ্বি-স্তরের বিপক্ষে। কারণ, ছোট দেশগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে আর বিসিসিআই তাদের যতœ নিতে চায়। তাদের স্বার্থ সংরক্ষণ করা জরুরি। দ্বি-স্তরে তারা রাজস্ব, সেরা দলগুলোর সঙ্গে খেলার সুযোগসহ অনেক কিছু হারাবে। আমরা চাই না, এটা ঘটুক। আমরা বিশ্ব ক্রিকেটের স্বার্থে কাজ করতে চাই। আর এ কারণে, আমাদের দল বিশ্বের সব দেশের বিপক্ষে খেলে।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের কাঠামো বদল নিয়ে আরও বিশদ আলোচনা হবে আগামী অক্টোবরের সভায়। এর আগে সেপ্টেম্বরে দুবাইয়ে সদস্য দেশগুলোকে নিয়ে এ বিষয়ে একটি ওয়ার্কশপের প্রস্তাব করা হয়েছে। সেখানেই এই দ্বি-স্তরের ভাগ্য নির্ধারণ হবে, পরিষ্কার হবে ছোট দলগুলোর টেস্ট ভাগ্যও।
সব আলো ব্রাজিল আর নেইমারে
স্পোর্টস ডেস্ক : রিও ডি জেনেইরো ২০১৬ অলিম্পিকের উদ্বোধন হবে আগামীকাল (বাংলাদেশ সময় পরশু ভোর)। তবে আসরের ফুটবল (পুরুষ) লড়াইটা শুরু হচ্ছে এক দিন আগেই। যতবারই উল্লেখ হয়েছে ফুটবলের কথা, ঘুরেফিরে ততবারই এসেছে ব্রাজিলের নাম। ফুটবলে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের নামের পাশে নেই কোন অলিম্পিক সোনা। এই যন্ত্রণা ঘোঁচাতে এবার আঁটঘাট বেঁধেই মাঠে নামছে ব্রাজিল। ফুটবল সোনা দখলে নিতে তারা যে কতটা মরিয়া তা বোঝা গিয়েছিল আগেই। কোপা আমেরিকার মত বড় আসরে তারা তাদের দলের প্রধান তারকা নেইমারকে রেখেছিল বিশ্রামে। এছাড়া ঘরের মাঠের সুবিধা তো তারা পাচ্ছেই।
তিন তিনবার আসরের ফাইনালে উঠেও সোনা জেতা হয়নি সেলেসাওদের। গেল আসরের ফাইনালে মেক্সিকোর কাছে ২-১ গোলে হারে মাঠের সাক্ষী ছিলেন নেইমার। ২০১২ সালের সেই লন্ডন অলিম্পিকের পর ব্রাজিল ফুটবলে গেছে চরম হতাশাময় সময়। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে ঘরের মাঠে জার্মানির কাছে সেই ৭-১ গোলের লজ্জা। পরের বছর কোপা আমেরিকা থেকে নক-আউট পর্বে উঠেই প্যারাগুয়ের কাছে হেরে বিদায়। আর সদ্য শেষ হওয়া কোপার শতবর্ষী আসরে তো গ্রুপ পর্বই পেরুতে পারল না কার্লোস দুঙ্গার দল। সেই ব্যর্থতা মাথায় নিয়ে সরে যেতে হয় দুঙ্গাকে। দলের ভাগ্য ফেরাতে এরপর দায়িত্বে আসেন লিওনার্দো বাচ্চি, ডাকনাম টিটে। তবে অলিম্পিক পর্যন্ত ব্রাজিল দলে কোচ হিসেবে আছেন রোজারিও মিকালে। সাবেক বার্সেলোনা কোচ পেপ গার্দিওলা যার নাম দিয়েছিলেন ‘কেমিক্যাল’।
অলিম্পিক ফুটবলে সবচেয়ে সফল দল গ্রেট ব্রিটেন ও হাঙ্গেরির (৩টি করে সোনা) কেউই নেই এবারের আসরে। নেই দুইবারের চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ে ও তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নও (বর্তমান রাশিয়া)। না থাকার এই তালিকায় আছে স্পেন, ফ্রান্স, ইতালির মত ফুটবল পরাশক্তি। এতে অবশ্য রং হারাবে না অলিম্পিক ফুটবল। সেটাকে রাঙিয়ে তুলতে ১৬ দলের এই টুর্নামেন্টে আছে দু’বারের চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা, বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মেক্সিকো, সাবেক চ্যাম্পিয়ন সুইডেনের মত দল। স্বাগতিক ব্রাজিলের কখা আগেই বলা হয়েছে। প্রতিযোগিতায় ভিন্নরূপে দেখা দিতে পারে আরেক পরাশক্তি জার্মানি। তারা আসরের একমাত্র সোনা জিতেছিল সেই ৪ দশক আগে।
অলিম্পিকের ফটবল আসরে সাধারণত খেলে থাকে অনূর্ধ্ব-২৩ দল। তবে কোচের ইচ্ছা অনুযায়ী ৩ জন বয়স্ক খেলোয়াড় দলে নেয়ার বিধান রয়েছে। যেমন, স্বাগতিক হিসেবে আসরে সুযোগ পাওয়া ব্রাজিল দলকে নেতৃত্ব দেবেন ২৪ বছর বয়সী বার্সেলোনা তারকা নেইমার। এছাড়া বাকি দলগুলো সুযোগ এখানে পায় বিশ্বজুড়ে অনূর্ধ্ব-২৩ ও অনূর্ধ্ব-২১ দলের পারপর্মেন্সে। ইউরোপ থেকে সুযোগ পেয়েছে গত বছরের উয়েফা অনূর্ধ্ব-২১ চ্যাম্পিয়ন্সশিপের চার সেমি-ফাইনালিস্ট সুইডেন, পর্তুগাল, জার্মানি ও ডেনমার্ক।
জাতীয় দলের আবহ এখানে না থাকলেও মাঠ মাতানোর মত খেলোয়াড়ের কিন্তু অভাব নেই। সন্দেহ নেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে নেইমারের নাম। স্বদেশি গ্যাব্যিয়েল জেনাসও থাকবেন প্রদীপের নীচে। ইতোমধ্যেই তাকে ডাকা হয় ‘নতুন নেইমার’ নামে। এই তালিকায় আছেন তরুণ জার্মান মিডফিল্ডার জুলিয়ান ব্রান্ডটও। বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের হয়ে গেল মৌসুমে ২০ বছর বয়সী ছিলেন দুর্দান্ত। টানা ৬ ম্যাচ গোল করে এসেছিলেন আলোচনায়। গোলে সহায়তা করতেও বেশ পটু জুলিয়ান।
এছাড়া নজর থাকবে গেল মৌসুমে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে তুলতে ভূমিকা রাখা আর্জেন্টাইন তরুণ এঞ্জেল কোরেরার ওপর। একই দলে আছেন গেল অনূর্ধ্ব-২১ দক্ষিণ আমেরিকান টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা জিওভান্নি সিমিওনে। সব আলো নিজের দিকে নিতে পারেন দক্ষিণ কোরিয়ার টটেনহ্যাম ফরোয়ার্ড সন হিউংও।
উদ্বোধনী দিনে স্থানীয় সময় রাত ৮টায় (বাংলাদেশ সময় ভোর ৫টা) ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ দুর্বল দক্ষিণ আফ্রিকা। এক ঘণ্টা পর জার্মানি লড়বে চ্যাম্পিয়ন মেক্সিকোর বিপক্ষে। পরের ম্যাচে আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ পর্তুগাল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: টেস্টে দ্বি-স্তরের বিপক্ষে ভারতও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ