বিভিন্ন ধর্মে কোরবানি
পবিত্র ঈদুল আজহা। আমাদের দেশে কোরবানির ঈদ নামে পরিচিত। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এটা বিভিন্ন নামে
মুসলমান জনগোষ্ঠির গুরুত্বপূর্ণ দুটি ধর্মীয় উৎসব হচ্ছে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা। আমাদের দেশে এই ধর্মীয় উৎসব দুটি যথেষ্ট ধুমধামের সঙ্গে পালিত হতে দেখা যায়।
উনিশ শতকের শুরু থেকেই যখন রাজনৈতিকভাবে মুসলিম স্বাতন্ত্র্যবাদী আন্দোলন শুরু হয়েছিল তখন থেকেই গুরুত্ব পেয়েছে ঈদ। তবে খানিকটা জাঁকজমকের সঙ্গে দুটো ঈদ পালনের মধ্যে আছে বিত্তের সম্পর্ক। স্বাভাবিকভাবেই শহরে, মফস্বলে ও গ্রামঞ্চলে যারা ধনী, বিত্তবান তাদের ঈদ আর সাধারণ মানুষের ঈদের মধ্যে রয়েছে বিস্তর পার্থক্য। ইসলাম প্রচারের শুরুতে অর্থাৎ আদিতে বাঙালি মুসলমানরা কিভাবে ঈদ পালন করতেন তা জানা আজ অত্যন্ত দুরূহ ব্যাপার। আমরা এখানে একশ’ বছর আগে বাংলাদেশে কিভাবে কোরবানীর ঈদ পালন করা হতো তারই কিৃিঞ্চৎ বর্ণনা তুলে ধরার চেষ্টা করবো। আমরা এ কথা নিঃসংশয়ে বলতে পারি, অতীতে মুসলমানদের ঈদুল ফেতর যেমন বাংলাদেশে বড় কোনো ধর্মীয় উৎসব পালিত হয়নি তেমনি পালিত হয়নি ঈদুল আজহাও। আজকে আমরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে আনন্দের সঙ্গে ধুমধামের সঙ্গে ঈদুল আজহা উদযাপন করি তা মাত্র ষাট-সত্তর বছরের ঐতিহ্য মাত্র। ঈদুল আজহা যুক্ত পবিত্র হজব্রতের মাধ্যমে।
মুসলমানরা কেন কোরবানী দেয় এবং এর তাৎপর্য ও উৎসই বা কি? এ কথার বিশেষ বর্ণনা দেয়ার প্রয়োজন নেই বলে মনে করি। প্রতিটি ধর্মপ্রাণ মুসলমানের সে কথা জানা। পবিত্র কোরআনের সূরা “সাফ্ফাতে” বলা হয়েছে যখন পিতার সঙ্গে (ইব্রাহিম আ:) কাজ করার মতো বয়স হলো তখন তার পিতা ইব্রাহিম (আ:) বললেন- ‘হে প্রাণাধিক পুত্র, আমি স্বপ্নে আল্লাহর নির্দেশ পেয়েছি আমার প্রিয় বস্তুকে (ইসমাঈলকে) জবেহ করা। এতে তোমার কি কিছু বলার আছে? ইসমাঈল বললো ‘হে আমার পিতা! আপনাকে আল্লাহর নিকট থেকে যা আদেশ করা হয়েছে আপনি তাই করুণ। যখন তারা পিতা-পুত্র উভয়েই আনুগত্য প্রকাশ করলো ও ইব্রাহিম (আঃ) যখন তার পুত্র কে আল্লাহর নির্দেশ মোতাবেক জবাই করার জন্য কাত করে শুইয়ে দিলেন তখন স্বয়ং আল্লাহ তাকে (ইব্রাহিম) ডেকে বললেন, হে ইব্রাহিম! তুমি তোমার প্রভুর স্বপ্নের আদেশ পালন করেছো। আমি তোমার প্রতি সন্তষ্ট। এটা ছিল তোমার এক স্পষ্ট ঈমানের পরীক্ষা। আমি তাকে ছাড়িয়ে নিলাম এক পশু কোরবানীর বিনিময়ে।
আরো বলা হয়েছে সূরা হজ্বে আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য কোরবানীর নিয়ম ওয়াজিব করে দিয়েছি যাতে তোমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী হালাল চতুস্পদ পশু আল্লাহর নামে জবেহ করতে পারো। আবার এটাও তোমাদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি যে- আল্লাহর কাছে ওদের (পশুর) মাংস, রক্ত পৌছায় না। বরং তোমাদের নিয়ত ও ধর্মনিষ্ঠা পৌছায়। তাই এই ঈদ উজ জোহার পশু উৎসর্গের ব্যাপারটি হজ্বের সঙ্গে এটি অবশ্যই মুসলমানদের জন্য পালনীয় কর্তব্য।
ঈদ উজ জোহা আমাদরে মুসলিম সম্প্রদায়ের কোরবানীর ঈদ, বকরী ঈদ নামেই সমধিক পরিচিত। অনেকেরই ধারণা সূরা “বাকারা” থেকে বকরী শব্দটির উদ্ভব হয়েছে, একথা ঠি‘ক নয়। মূলত ঈদের সঙ্গে এর কোন সম্পর্ক্য নেই। তাছাড়া “বকরী” মানে আমরা নিদিষ্ট একটি পশু-ছাগল অথবা খাসিকেই বুঝে থাকি।
একশ’ বা দেড়শ’ বছর আগে বাংলাদেশে গরু কোরবানী দেয়া ছিল প্রায় অসম্ভব। কোরবানী যদি কেউ দিতেন তাহলে খাসি বা ছাগলই দিতেন। বকরা’ শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো গাভী। বকরা আরবি শব্দের বিকৃত রূপ নিয়েছে বকরী। কিন্তু সে সময়ে গরু যেহেতু কোরবানী দেয়া সম্ভবপর ছিল না। কোরবানী দেয়া হতো ছাগল তাই বকরী মানে দাড়িয়ে গেছে ছাগল।
তৎকালীন বিখ্যাত সাহিত্যিক রাজনীতিবিদ আবুল মনসুর আহামেদ আর আতœজীবনীতে সে সময়ে ঈদ উজ জোহা সম্পর্কে বর্ণনা দিয়েছেন ‘বকরা’ ঈদে কেউ গরু কোরবানী করিতো না। সে আমলে পরাক্রমশালী জমিদারদের তরফ থেকে গরু কোরবানী কড়াকড়িভাবে সর্বত্রই নিষিদ্ধ ছিল। শুধুমাত্র বকরী কোরবানী করা চলিত। লোকেরা করিতও প্রচুর।
মোগল যুগে বাংলাদেশে ঈদুল আজহা কিভাবে পালন করা হতো তা জানা যায় নি। এমনকি উনিশ শতকের প্রারম্ভে ঈদুল আজহার তোমন কোন বিবরণ আমরা পাই না।
আগেই উল্লেখ করা হয়েছে একশ’ দেড়শ’ বছর আগে ঈদ মুসলমানদের প্রধান উৎসব হিসেবে তেমনভাবে পালিত না হওয়ার মূল কারণ ছিল সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা না পাওয়া। বিত্তহীনতা, দারিদ্র প্রভৃতির কারণে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত আশা আকাঙ্খার স্ফুরণ না ঘটা। আবুল মনসুর আহমেদ তার আত্নজীবনী গ্রন্থে আরো জানিয়েছেন, ‘দুটি ঈদেরই প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল মাঠে গিয়ে নামাজ পড়া এবং তারপর আত্নীয়-স্বজন নিয়ে উৎকৃষ্ট আহার করা। মুহরম পর্বে আমাদের বাড়িতে এতো ধুমধাম হলেও দুই ঈদে তেমন কোন উৎসব পালন করা হতো না। বকরী ঈদ প্রথম প্রথম দুই, তিনটা ও পরে মাত্র একটা গরু কোরবানী হতো। এটি ছিল উনিশ শতকের প্রারম্ভের কথা। সেকালে বিশুদ্ধ ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞ ছিল সাধারণ মানুষ। এ অবস্থার পরিবর্তন এনেছিল ফরায়েজী আন্দোলন (১৮১৫ খ্রি.)। এর আগে ইসলাম ধর্মে লোকজ উপাদানের অধিপত্য ছিল বেশি। অনেক ক্ষেত্রে হিন্দু রীতিনীতির। এখনও যে একেবারে নেই তা নয়। তবে ফরায়েজী আন্দোলন সারা বাংলায় সৃষ্টি করেছিল প্রবল বাধাবিপত্তি। এ সময়ই বিশুদ্ধ ইসলাম সম্পর্কে মুসলমানদের মধ্যে ধ্যান-ধারণা স্পষ্ট হতে থাকে। আশি নব্বই বছর আগেও এই বাংলায় কোরবানী নিয়ে লোকের মধ্যে তেমন কোন মাথাব্যাথা ছিলনা। এরপর আসে গরু কোরবানীর কথা। মুসলমান ধর্মে কোরবানীর (গরু) বিধান আছে। কিন্তু গোড়ামি, কুসংস্কারের কারণে তা হতো না। তাছাড়া সে আমলে হিন্দু জমিদারদের দাপটে স্বভাবতই বাংলাদেশে গরু কোরবানী দেয়া ছিল প্রায় অসম্ভব। কিন্তু এ অবস্থা বেশি দিন চলেনি। ফরায়েজী আন্দোলন, তিতুমির আন্দোলন, বিভিন্ন ধর্মীয় প্রচারকদের প্রচার, ওয়াজ মাহফিল আঞ্জুমানসমূহের কার্যকলাপের ফলে এ ধরনের অনেক সংস্কার বিলুপ্ত হয়েছিল। মুসলমানদের মন থেকে তখন থেকেই কোরবানী বিশেষ করে ঈদ-উদ-জোহার গরু কোরবাণী ব্যাপারটি বাংলায় এক বিতর্কিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
আজকে আমরা বাংলাদেশে ঈদ-উজ- জোহায় অনায়াসে গরু বা ছাগল কিনে এসে সহজেই কোরবানী দিয়ে ফেলি। নব্বই একশ’ বছর দুরে থাকুক সত্তর আশি বছর আগেও কোনোক্রমেই তা এতো সহজ সাধ্য ব্যাপার ছিল না। এর জন্য সে সময় সারা বাংলায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের রীতিমতো আন্দোলন করতে হয়েছে। আজকের প্রজন্ম হয়তো অবাক হবেন এ নিয়ে দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর ধরে সারা বাংলায় বিতর্ক চলেছে এবং কোরবানী বিশেষ করে গরু কোরবানী দেয়ার অধিকার আমাদের পিতা, পিতামহদের হিন্দুদের সঙ্গে লড়াই করে আদায় করতে হয়েছে। হিন্দুরা তো বটেই অনেক ক্ষেত্রেই মুসলমানদেরও সংস্কার ছিল গরু জবাইয়ের বিপক্ষে। সে সময় হিন্দু জমিদারদের আভিজাত্য ও দোর্দন্ড প্রতাপ ছিল সর্বত্রই। এর ফলে সে আমলে গরু জবাই ছিল অসম্ভব। এর সঙ্গে স¤প্রদায়গত মান-অভিমানের ব্যাপারটিও ছিল যুক্ত, ফলে বিষয়টি নিয়ে সারা বাংলায় তুমুল বিতর্ক হয়েছিল এবং প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে এ বিতর্ক বিভিন্ন সমসাময়িক পত্র পত্রিকায় ছড়িয়ে পড়েছিল।
১৮৮২ সালে দয়ানন্দ সরস্বতী ‘গো-হত্যা নিবারণী’ সভা শুরু করে, এর বিপক্ষে ভারতবর্ষ জুড়ে চালিয়েছিলেন প্রবল প্রচার। ১৮৮৭ সালে রাজশাহীর তাহিরপুরের জমিদার শশি শেখর রায় কংগ্রেসের মাদ্রাজ অধিবেশনে গরু কোরবানীর বিপক্ষে উত্থাপন করেছিলেন প্রস্তাব। ফরিদপুর ও বিভিন্ন অঞ্চলেও শুরু হয়েছির এর বিপক্ষে প্রচার। হিন্দু জমিদাররাও এ বিষয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। বিভিন্ন ধর্মীয় সভা ও আঞ্জুমানসমূহ এগিয়ে এসেছিল এর প্রতিবাদে। একজন মুসলমান সমাজ সংস্কারক সে সময় লিপিবদ্ধ করেছিলেন মুসলমানদের দুঃখদুর্দশার চিত্র। এখানে তুবহু তুলে ধরা হলো- তিনি লিখেছিলেন ‘গাবিন্দপুর, হরিশংকরপুর, সনাতনী, গোপীনগর সর্বত্রই হিন্দু জমিদারদের দোর্দন্ড প্রতাপে সেখানকার মুসলমানগণ বহুকাল অবধি গরু কোরবানী করিতে বা গরু জবাই ও উহার মাংস ভক্ষণ করিতে পারিত না। কেউ তা করিলে জমিদার কাছারীর দুর্দান্ত হিন্দু নায়েবগণ তাহাদের ধরিয়া আনিয়া চাকুকের কষাঘাতে জর্জরিত করিত। হিন্দু জমিদারদের অত্যাচারে ওই অঞ্চলগুলিতে গো-কোরবানী প্রথা উঠিয়া গিয়াছিল।’
১৮৯৬ সালে ময়মনসিংহের অম্বরিয়া, মুক্তাগাছা ও সন্তোষের জমিদারগণ ঈদ-উজ- জোহার গরু কোরবানীর জন্য তাদের গ্রামের বেশ কিছু মুসলমানদের জরিমানা করেছিলেন। ১৯০৫ সালে কুমিল্লার চাঁদপুর কয়েকজন মুসলমান গরু কোরবানী দেয়ায় জনৈক প্রভাবশালী হিন্দু গোপাল চন্দ্র মজুমদার তাদের বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন। অভিযোগ ছিল মুসলমানরা প্রকাশ্য মাংস ধুয়ে জল অপবিত্র করছে। সে সময়ে জেলা হাকিম ছিলেন জগদিশ চন্দ্র সেন। তিনি বিচারে তিনজন মুসলমানকে অভিযুক্ত করে একজনকে এক মাসের কারাদন্ড এবং অপর দু’জনকে যথাক্রমে পঞ্চাশ ও ষাট টাকা জরিমানা করেছিলেন (ওয়াকিল আহমেদের কোরবানী বিষয়ক গ্রন্থ-পৃষ্ঠা ৪২)
গরু কোরবানী ও গরুর মাংস ভক্ষণের পক্ষে সেই সময় মীর মশারফ হোসেনের বিরুদ্ধে এগিয়ে এসেছিলেন তৎকালীন মৌলভী নঈমুদ্দীন। তিনি ছিলেন টাঙ্গাইল থেকে প্রকাশিত ‘মাসিক আখবার এসলামিয়ার’ সম্পাদক (১৮৮৮ খ্রি.) তিনি এক জনসভায় তৎকালীন মীর মশারফ হোসেনকে ‘কাফের’ ও তাঁর স্ত্রীকে হারাম বলে ঘোষণা করেছিলেন। কাফের ঘোষণার প্রতিবাদে মীর মশারফ হোসেন মৌলভী নঈমউদ্দীনের বিরুদ্ধে সেকালে মানহানির মামলা দায়ের করেছিলেন কোর্টে। আখবার ও নঈমউদ্দীনের পক্ষে ১৮৮৯ খ্রিস্টাব্দে এগিয়ে এসেছিলেন জগন্নাথ, জুবিলী এবং নর্মাল স্কুলের ছাত্ররা। ঢাকায় ছাত্ররা গরু কোরবানীর পক্ষে আয়োজন করেছিলেন বিরাট সভার। পরে দু’পক্ষের ভুল বোঝাবুঝিতে ধর্মীয় মুসলমান আলেমদের সমঝোতায় মামলায় আপোষরফা হয়েছিল।
এর পরবর্তীতে ১৯১০ সালে সংবাদে জানা যাচ্ছে বাংলাদেশে গরু কোরবানীতে বাধা দিচ্ছেন স্থানীয় হিন্দু জমিদাররা। তৎকালীন মাসিক বাসনা (১৯০৮ খ্রি.) লিখেছিলেন- “অনেক জমিদার কোলকাতার ‘গ্রেট ইস্টার্ন হোটেলে’ খানা খাইত পারেন কিন্তু আপন জমিদারির মধ্যে মুসলমান প্রাজাদিগকে তাহাদের ধর্মকর্ম (কোরবানী) করিতে দেন না। যতদিন হিন্দু জমিদারগণ প্রাকাশ্যভাবে মুসলমানদের ধর্ম-কর্মে কুরবানীতে বাধা দিবে ততোদিন কোনো ঐক্য স্থাপিত হবে না।’ এভাবেই তৎকালীন মুসলমান সমাজকে বহু ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে সংগ্রাম করে হিন্দু জমিদারদের কাছ থেকে বহু বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে আমাদের মুসলমানদের ঈদ-উজ-জোহার গরু কোরবানীকে প্রতিষ্ঠিত করতে হয়েছে।
ঈদ-উজ-জোহার জামায়াত থেকে ফিরে এসে বিত্তবানদের দেয়া মাংসের জন্য অপেক্ষা করতে হয় শত শত ছিন্নমূল মানুষদের। উৎসব সর্বাঙ্গীন আনন্দময়, স্বতঃস্ফূর্ত হয়ে ওঠে তখনই যখন আসে বিত্তবন্টের সামঞ্জস্য। তা না হলে ধর্মীয় উৎসবের ও (ঈদ-উজ-জোহার) মূল আবেদন হ্রাস পায়। ধর্ম তো পালন কোনোক্রমেই হয় না বরং ধর্ম ব্যবহৃত হয় শুধু আত্নপ্রদর্শনের হাতিয়াররূপে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।