নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ইয়ুর্গেন ক্লপ এমন কিছু পেতে যাচ্ছেন তা একেবারে অনিশ্চিত ছিল না। মার্সেলো বিয়েলসা বড় প্রতিদ্ব›দ্বী ছিলেন। কিন্তু লিভারপুলকে দীর্ঘ ৩০ বছর পর ইংল্যান্ডের শীর্ষস্থানীয় লিগ জেতানোর মাহাত্ম্যই অন্যরকম। সেরা ম্যানেজারের পুরষ্কার তাই ক্লপের হাতেই উঠল। ইংল্যান্ডের লিগ ম্যানেজার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এলএমএ) বর্ষসেরা ম্যানেজারের পুরষ্কার জিতলেন ক্লপ। ১৩ বার প্রিমিয়ার লিগজয়ী স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের নামে পুরষ্কারটির নাম ‘ফার্গুসন ট্রফি’। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক এ ম্যানেজার বিজয়ী হিসেবে ক্লপের নাম ঘোষণা করেন।
ক্লপের সঙ্গে মজার স্মৃতিও ভাগ করে নেন ফার্গুসন, ‘লিগ জয়ের খবর ভোর সাড়ে ৩টায় ফোন করে জানানোর ব্যাপারে তোমাকে ক্ষমা করছি। ধন্যবাদ, তুমি যোগ্য হিসেবেই জিতেছ।’ ক্লপের নেতৃত্বে লিভারপুল এখন ক্লাব বিশ্বকাপ, ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন এবং ঘরোয়া লিগজয়ী। ফার্গুসনকেও প্রশংসা ফিরিয়ে দেন ক্লপ, ‘লিভারপুল ম্যানেজার হিসেবে এটা বলা ঠিক হবে না। কিন্তু আমি তাকে পছন্দ করি।’ ফার্গুসনের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতের স্মৃতিও রোমন্থন করেন ক্লপ, ‘মনে আছে তিনি-ই প্রথম ব্রিটিশ ম্যানেজার যার সঙ্গে দেখা করেছিলাম। এক সঙ্গে সকালের নাশতা করেছি। তার মনে আছে কি না জানি না। কিন্তু আমি ভুলিনি। ওই মুহূর্তটা আমার কাছে ছিল পোপের সঙ্গে সাক্ষাতের মতো। আমি একটা ট্রফি জিতব এবং সেখানে তার নাম খোদাই থাকবে তা কখনো ভাবিনি।’
লিডস ইউনাইটেডকে দীর্ঘ ১৬ বছর পর ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ফিরিয়েছেন আর্জেন্টাইন কোচ মার্সেলো বিয়েলসা। ফার্গুসনের কাছে ক্লপের সাফল্যের মাহাত্ম্য এর চেয়েও বেশি, ‘আমরা লিডসের ১৬ বছর পর প্রিমিয়ার লিগে ফেরা নিয়ে কথা বলি। কিন্তু লিভারপুলের ৩০ বছর পর লিগ জয় অবিশ্বাস্য ব্যাপার!’ নিজের ট্রফি জয় লিভারপুলের স্টাফদের প্রতি উৎসর্গ করেছেন ক্লপ। তিনি বলেন, ‘আগে যারা এলএমএ পুরষ্কার জিতেছেন তাদের পাশে জায়গা করে নিতে পেরে খুব সম্মানিত লাগছে। অবশ্যই এখানে লিভারপুলের ম্যানেজাররা আছেন। বিল শ্যানকি, বব পেইসলি, জো ফাগান, স্যার কেনি ডালগ্লিস এ সাম্প্রতিক সময়ে ব্রেন্ডন রজার্স। এ বছর আমরা যা যা জিতেছি অসাধারণ কোচিং স্টাফ ছাড়া সেসব সম্ভব হতো না।’
তবে একই রাতে ঘোষিত সেরা ফুটবলারের পুরস্কারেও আছে চমক। সবচেয়ে বেশি বয়সে যে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে গোল্ডেন বুট জিতেছেন লেস্টার সিটির স্ট্রাইকার জেমি ভার্ডি। ইংল্যান্ডের শীর্ষ ফুটবল লিগে ২০১৯-২০ আসরে সর্বোচ্চ ২৩ গোল করেছেন ৩৩ বছর বয়সী এই ইংলিশ ফুটবলার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২টি করে গোল আর্সেনালের পিয়েরে-এমেরিক অবামেয়াং ও সাউদাম্পটনের ড্যানি ইঙ্গসের। এর আগে সবচেয়ে বয়স্ক ফুটবলার হিসেবে ৩২ বছর বয়সে পুরস্কারটি জিতেছিলেন সাবেক চেলসি স্ট্রাইকার দিদিয়ের দ্রগবা। ২০০৯-১০ আসরে চেলসির লিগ জয়ের পথে ২৯ গোল করেছিলেন কোত দি ভোয়ার সাবেক এই তারকা ফুটবলার। নবম ইংলিশ ফুটবলার হিসেবে এই পুরস্কার জিতলেন বা ভাগাভাগি করলেন ভার্ডি।
লা লিগার শিরোপা ছুঁয়ে দেখতে পারেননি এবার। তবে লিওনেল মেসি ব্যক্তিগতভাবে পেয়েছেন মুঠোভরে। সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন। সেরা অ্যাসিস্টের রেকর্ড গড়েছেন। গত মৌসুমে সেল্টা ভিগোর সোফিয়ানে বৌফালের কাছে হারা ‘ড্রিবলিং কিং’য়ের মুকুটও ফিরে পেয়েছেন বার্সেলোনার এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। লা লিগায় এ নিয়ে গত ১০ বছরে ছয়বার ড্রিবলিং কিংয়ের মুকুট পরেছেন রেকর্ড ছয়বারের বর্ষসেরা ফুটবলার।
২৫ গোল করে লা লিগায় সপ্তমবারের মতো সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার পিচিচি ট্রফি জিতেছেন মেসি। মার্কার হিসেব অনুযায়ী রেকর্ড ২১টি অ্যাসিস্টও করেছেন তিনি। স্প্যানিশ ক্রীড়া পত্রিকাটি জানিয়েছে, এবারের লিগে ড্রিবলিংয়েও সবচেয়ে সফল ছিলেন মেসি। ১৮২ বার ড্রিবলিংয়ে সফল হয়েছেন তিনি। যা দ্বিতীয় স্থানে থাকা রিয়াল বেতিসের নাবিল ফেকিরের চেয়ে (৯৮ বার) প্রায় দ্বিগুণ। এই তালিকায় আন্দ্রে-ফ্রাঙ্ক জামবো (৮৬ বার) ও ফাবিয়ান ওরেয়ানা (৬৯ বার) তালিকায় আছেন যথাক্রমে তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।