বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে চাঁদপুরের মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলার কোরবানির পশুর হাট। প্রতিদিনই উপজেলার কয়েকটি বাজারে হাট বসছে। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বিভিন্ন জাতের গরু-ছাগলের ব্যাপক সমাগম ঘটেছে। মানা হচ্ছে না সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্যবিধিও। গত বছরের তুলনায় দাম কম হওয়ায় মনে শান্তি নেই খামারি ও গরু ব্যবসায়ীরা। বিভিন্ন কোরবানি পশুর হাট ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।
মতলবের ছেংগারচর, কালীপুর, সটাকি, পাঠানবাজার, বেলতলি, কালিরবাজার, দুর্গাপুর, নন্দলালপুর, নিশ্চিন্তপুর, সুজাতপুর, সাহেববাজার, আমতলা, গজরা, নতুনবাজার, আমিরাবাদ, এখলাশপুর, মোহনপুর, মতলব,মুন্সিরাট, নারায়নপুর, নায়েরগাঁও ছোট-বড় সকল বাজারেই বসছে কোরবানির গরুর হাট।
এবারের ঈদের হাটগুলোতে ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা থাকলেও দাম ভালো নেই বড় গরুর। গরু-ছাগলের দাম গত বছরের তুলনায় কম লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এতে মন ভালো নেই খামারি ও গরু ব্যবসায়ীরা। সাধ ও সাধ্যের সমন্বয় ঘটিয়ে ধর্মীয় কাজটি সম্পন্ন করতে পশু কিনছেন ক্রেতারা। তবে বিগত বছর গুলোর তুলনায় বেচাকেনা হচ্ছে না। করোনা ভাইরাসের প্রাদুভাবের কারনে এবার কোরবানী দেওয়ার সংখ্যা কমছে বলে অনেকেই মনে করেন।
উপজেলার হাট বাজারে বেশি আমদানি হয়েছে দেশী গরু। উপজেলায় গরুর খামার কম থাকায় চাহিদা পূরণে গরুর হাটগুলোতে এবার বিভিন্ন এলাকা থেকে বেশি গরু আসছে। বিদেশী গরু কিনতে আগ্রহী ক্রেতারা অগ্রহী কম। হাটগুলোতে গরু ৪০ হাজার থেকে শুরু করে আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত দাম চাইছেন বিক্রেতারা। এখন পর্যন্ত ৬০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা দরে গরু বিক্রি হচ্ছে বেশি।
গরু কিনতে আসা উপজেলার হানিরপাড় গ্রামের শাহাজাহান কবীর জানান, গত বছরের তুলনায় এবার কোরবানি পশুর দাম কম। গো-খামারি সফিকুল ইসলাম জানান, খৈল, ভূসি, খুদ, কুঁড়া, খড়সহ গো-খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধি। খাবারের দাম বাড়লেও সে তুলনায় গরুর দাম বাড়েনি। এবার লোকসান গুনতে হবে।
হাটগুলোতে নির্ধারিত স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না।সেখানে গাদাগাদি করে রাখা হয়েছে পশু। হাটে আগত অধিকাংশ মানুষের মুখে ছিল না মাস্ক। নেই কোনও তদারকিও। ফলে ক্রেতা ও বিক্রেতারা করোনা ঝুঁকির পাশাপাশি চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
বাগানবাড়ির বাসিন্দা করিম বলেন, ‘কোরবানি হাট নিয়ে কঠোর স্বাস্থ্যবিধির কথা শুনে আসছি। কিন্তু কোথায় স্বাস্থ্যবিধি? যে পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে সেটা তো অন্যান্য বছরের চেয়েও কম না।’
এ বিষয়ে হাটের ইজারাদারা জানান ‘মানুষ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে গরু নিয়ে চলে এলে আমাদের কী করার থাকে? যেসব শর্ত দিয়েছে সেগুলো পালন করেই কাজ করছি।
এ বিষয়ে মতলব উত্তর উপজেলার নির্বাহী অফিসার এএম জহিরুল হায়াত বলেন, ‘শর্ত অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনেই হাট বসানোর কথা। আমরা সব ইজারাদারকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাট পরিচালনা করার জন্য বলেছি। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।