মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : লিবিয়ায় ইসলামিক স্টেটের (আইএস) যোদ্ধাদের অবস্থানের ওপর বিমান হামলা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। লিবিয়ার জাতিসংঘ-সমর্থিত সরকারের অনুরোধে যুক্তরাষ্ট্র এ পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন। গত সোমবার আইএসের শক্তিকেন্দ্র বন্দর শহর সিরতের জঙ্গি অবস্থানগুলো লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। এসব হামলায় আইএসের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে জানিয়েছেন লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী ফায়েজ সাররাজ। এই বিমান হামলাই প্রথম হামলার ঘটনা, যেখানে লিবিয়ার ঐকমত্যের সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে দেশটিতে হস্তক্ষেপ করল যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। এর আগে গত বছরের ফেব্রুয়ারি ও নভেম্বরে লিবিয়ায় আইএসের অবস্থান লক্ষ্য করে দুবার হামলা চালিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।
লিবিয়ায় আইএসের ক্রমাগত শক্তি বৃদ্ধিতে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠছে পশ্চিমা শক্তিগুলো। এক বিবৃতিতে পেন্টাগন জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার অনুমোদন নিয়ে আইএসের সঙ্গে লড়াইরত লিবীয় সরকারি বাহিনীকে সহায়তা করতে হামলাগুলো চালানো হয়। এতে আরো বলা হয়, এই পদক্ষেপ এবং এর আগে নেয়া পদক্ষেপগুলো আইএসআইএসকে (আইএস) লিবিয়ায় নিরাপদ আশ্রয় গড়ে তুলতে বাধা দেবে, যে আশ্রয় থেকে গোষ্ঠীটি যুক্তরাষ্ট্র এবং আমাদের মিত্রদের ওপর হামলা চালাতে পারে। পেন্টাগনের মুখপাত্র পিটার কুক বলেছেন, গত কিছু দিন ধরে লিবীয় প্রশাসনের জানানো অনুরোধে সাড়া দিয়ে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে এসব হামলা চালানো হয়েছে, এসব লক্ষ্যের মধ্যে একটি ট্যাঙ্কও আছে। এই হামলার মাধ্যমে সির্তেতে আইএস গোষ্ঠীর সামরিক সক্ষমতা হ্রাস করতে যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে একটি ধারাবাহিক বিমান অভিযান শুরু করল এমন একটি ধারণা পাওয়া যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, মে মাস থেকে সিরতে শহরে আইএসের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে লিবীয় সরকারি বাহিনী। তারপর থেকে শহরটিতে জঙ্গিগোষ্ঠীটির অবস্থান দুর্বল হতে থাকে। তবে লিবীয় সরকারের পক্ষে যেসব সশস্ত্র দলগুলো আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আছে, দিন দিন তাদের পক্ষেও নিহতের সংখ্যা বাড়ছে। ২০১১ সালে মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর থেকে লিবিয়া ক্রমাগত বিভিন্ন দল-উপদলের মধ্যে বিভক্ত হয়ে পড়ে। প্রতিদ্বন্দ্বী সরকার ও পরস্পর শত্রুভাবাপন্ন বেসামরিক সশস্ত্র বাহিনীগুলো এলাকা দখল ও নিজ নিজ প্রভাব বৃদ্ধির দিকে ঝুঁকে পড়ে। বিশৃঙ্খল এসব পরিস্থিতি লিবিয়াকে ভঙ্গুর করে তোলে, যার সুযোগে আইএস যোদ্ধারা, যাদের অনেকেই সিরিয়া থেকে এসেছে, দেশটিতে শক্ত অবস্থান গড়ে তোলে। বিবিসি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।