নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
রুমু, চট্টগ্রাম ব্যুরো : বিপিএল চট্টগ্রাম ভেন্যুর শেষ পর্বে ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব মাত্র ২ পয়েন্ট নিয়ে ফিরে যাচ্ছে। ঐতিহ্যবাহী এই দলটি বন্দর নগরী চট্টগ্রামে তিনটি ম্যাচ খেলেও জয়ের মুখ না দেখার পাশাপাশি সমর্থকদের করেছে হতাশ। ফুটবলে ঢাকা মোহামেডানের এমন চিত্র লজ্জায় ডোবাচ্ছে সমর্থকদের। শেষ পর্যন্ত ফেনী সকারের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে তারা। ইতোপূর্বে মোহামেডান ১-১ গোলে ড্র করে রহমতগঞ্জের সঙ্গে এবং চট্টগ্রাম আবাহনীর সঙ্গে হেরে যায় তারা ৪-২ গোলে। এদিকে, ফেনী সকার গতকাল মোহামেডানের সঙ্গে ড্র করার আগে ব্রাদার্স ইউনিয়নের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে। এছাড়াও ঢাকা আবাহনীর সঙ্গে ১-০ গোলে হেরে যায় তারা।
গতকাল এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচটিতে তারা যখন ফেনী সকারের সঙ্গে খেলছে, তখন চিরচেনা সেই মোহামেডানকে যেন খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছিল না, বরং মনে হচ্ছিল এটা চট্টগ্রামের প্রথম বিভাগের কোনো দল খেলছে। খেলা শেষে কয়েকজন সমর্থক বলেই ফেললেন, মোহামেডানের সাদাকালো জার্সির মান পর্যন্ত রাখলো না খেলোয়াড়রা। ম্যাচের ১৩ মিনিটে ফেনী সকারের মিডফিল্ডার সুশান্ত একক প্রচেষ্টায় ডি-বক্সে ঢুকে যে শট নেন তা ক্রসবারের ওপর দিয়ে বাইরে চলে যায়। মিনিট দুয়েক পর আবারও আক্রমণে যায় ফেনী সকার। এবার তাদের বিদেশি ফরোয়ার্ড এনটিম ফ্র্যাঙ্ক ডি-বক্সে ঢুকে মাটি কামরানো শট নেন। সেটি সাইডবার ঘেঁষে বাইরে চলে যায়। এরপর পাল্টা আক্রমণে যায় মোহামেডান। ১৭ মিনিটে ডি-বক্সের সামনে থেকে ফ্রি-কিক নেন তাদের বিদেশি ফরোয়ার্ড অধিনায়ক বাঙ্গুরা। গোলমুখে তার দুর্বল শট সহজেই নিজের আয়ত্বে নিয়ে নেন ফেনী সকারের গোলকিপার সুজন। ২৩ মিনিটে ডি-বক্সে বল পেয়ে ফেনী সকারের অধিনায়ক ফরোয়ার্ড রিদন গোলমুখে শট নেন। তার দুর্বল শট ধরে ফেলেন মোহামেডানের গোলকিপার নেহাল। মধ্য বিরতির পর গোলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠে মোহামেডান। একের পর এক আক্রমণ করলেও ফিনিশিং দুর্বলতার কারণে গোলের সুযোগ হাতছাড়া হয় তাদের। এরমধ্যে ৫৬ মিনিটে মোহামেডানের বাঙ্গুরা বামপ্রান্ত দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে গোলমুখে শট নেন। গোলকিপার সুজন ফিস্ট করে দলকে বিপদমুক্ত করেন। ৮০ মিনিটে মোহামেডানের বদলি মিডফিল্ডার জামাল ডানপ্রান্ত দিয়ে আক্রমণে গিয়ে ডি-বক্সে থাকা মিডফিল্ডার বিপলুকে পাস দেন। গোলমুখে নেয়া তার শট অল্পের জন্য লক্ষভ্রষ্ট হয়। ২ মিনিট পর ফেনী সকারের ফরোয়ার্ড এনটিম গোলমুখে যে শট নেন, তা মোহামেডানের সাইডবার ঘেঁষে বাইরে চলে যায়। শেষ পর্যন্ত গোলশূন্য ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় দু’দলকে।
ম্যাচ শেষে মোহামেডানের কোচ জসিম উদ্দিন জোসি বলেন, ‘এই টিম নিয়ে চট্টগ্রাম এসেছিলাম ৭ পয়েন্ট পাওয়ার আশায়। স্বাগতিক চট্টগ্রাম আবাহনীর সঙ্গে ড্র’র পাশাপাশি রহমতগঞ্জ ও ফেনী সকারের সঙ্গে জয় পাওয়ার প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু পেলাম মাত্র ২ পয়েন্ট। ফেনী সকারের সঙ্গে আমরা ভালো খেলেও জয় পাইনি। প্রথমার্ধে পাঁচটি আক্রমণ অফসাইডের ফাঁদে পড়লে তা নস্যাৎ হয়ে যায়।’ এই দল নিয়ে লীগে কতদূর যাওয়া যাবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখনই কিছু বলা যাবে না, তা নির্ভর করছে খেলোয়াড়দের ওপর।’
শিরোপা প্রত্যাশী ঢাকা আবাহনী চট্টগ্রাম ভেন্যুতে নিজেদের শেষ ম্যাচেও কষ্টার্জিত জয় পেয়েছে। টিম বিজেএমসিকে গতকাল হারিয়েছে তারা ১-০ গোলে। ফ্রি-কিক থেকে গোলটি করেন লী অ্যান্ড্রো টাক। তবে খেলার ৮০ মিনিটে এই গোলদাতাকেই লাল কার্ড পেয়ে মাঠ ত্যাগ করতে হয়েছে। ফাউল করার কারণে লীকে প্রথমে হলুদ কার্ড দেখান রেফারী জালাল উদ্দীন। এরপর সে রেফারীর সঙ্গে তর্কে লিপ্ত হলে তাকে লাল কার্ড দেখানো হয়। এটি এই লীগের পঞ্চম লাল কার্ডের ঘটনা। দু’দলের মধ্যকার এই ম্যাচটিতে খেলার ধারার বিপক্ষে আবাহনী গোল পায়। ৩৩ মিনিটে আবাহনী একটি ফ্রি-কিক লাভ করে। প্রতিপক্ষ টিম বিজেএমসির দুর্বল ওয়ালের সুযোগে লী চমৎকার শট নিলে ক্রসবার ঘেঁষে গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে বল জালে ঠাঁই নেয় ১-০। এর পূর্বে ম্যাচের ১০ ও ২৫ মিনিটে বক্সের ভেতর দু’টি গোলের সুযোগ লাভ করে বিজেএমসি। জুলফিকার ও সোহেল রানা কাজে লাগাতে না পারায় দলকে খেসারত দিতে হয়। এই জয়ের সুবাদে ৩ ম্যাচে আবাহনী লিমিটেডের পয়েন্ট দাঁড়ালো ৭। অপরদিকে টিম বিজেএমসির সমসংখ্যক খেলায় ২ পয়েন্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।