পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রেলওয়ের ঘোষণা সকাল ৬টায় অ্যাপে মিলবে টিকেট। টিকেটযুদ্ধে নিজের টিকেট বাগিয়ে নিতে ভোরে উঠেই মোবাইলের রেলসেবা অ্যাপ ও ল্যাপটপে ওয়েবপেজ খুলে প্রস্তুত আনোয়ার হোসেন। কিন্তু ৬টা বাজতেই অ্যাপ আর কাজ করছে না। ল্যাপটপেও শুধু লোডিং দেখাচ্ছে। এভাবেই মিনিটের কাঁটা না শেষ হতেই স্ক্রিনে ভেসে ওঠে ‘আপনার কাক্সিক্ষত আসন নেই’ (রিকোয়েস্টেড সিট নট অ্যাভেইলেবল)। অর্থাৎ টিকেট শেষ। রংপুর এক্সপ্রেসের টিকেটপ্রত্যাশী আনোয়ার হোসেন বলেন, রেলের কাউন্টারে অপেক্ষা করলেও বোঝা যেত কাক্সিক্ষত দিনের টিকেট পাওয়া সম্ভব কিনা। তিনি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন এক মিনিটেই সব টিকেট শেষ হয়ে গেছে।
জানা যায়, গতকাল অনলাইনে ট্রেনের টিকেট বিক্রি শুরু হতে না হতেই শেষ হয়ে যায়। হাজার হাজার মানুষ টিকেটের জন্য চেষ্টা করেও পাননি। এ প্রসঙ্গে রেল মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবির মিলন বলেন, ট্রেনে এক ডেস্টিনেশনে, একটি ক্লাসের সব টিকেট বিক্রি হতে এক থেকে দুই সেকেন্ড লাগে। মনে করুন, ২৭ তারিখ ঢাকা-চট্টগ্রামে সুবর্ণের এসি স্নিগ্ধা সিট আছে ৫০০। এই ৫০০ টিকেট শেষ হতে মাত্র এক সেকেন্ড সময় লাগবে। ২য় সেকেন্ডে আর টিকেট পাবেন না। এবার বুঝুন সিট কম, চাপ বেশি। কয় সেকেন্ড লাগবে সব টিকেট শেষ হতে। নিশ্চিত থাকুন, রেল বা সিএনএসবিডি থেকে কোনো সমস্যা বা ম্যানুপুলেশনের সুযোগ নেই। যদি কোনো গেটওয়ের সমস্যা না হয়। ঈদে একটি ট্রেনের টিকেট শেষ হতে পাঁচ সেকেন্ড লাগার কথা নয়।’
রেলের টিকেটপ্রত্যাশী অনেকেরই অভিযোগ, টিকেট কাটতে গিয়ে টাকা বিকাশে কিংবা ক্রেডিট কার্ডে কেটে নিলেও পাননি কাক্সিক্ষত টিকেট। কেটে নেয়া টাকা ফেরত পেতেও লাগছে চারদিন থেকে এক সপ্তাহ। রেলওয়ে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত কোরবানির ঈদেও টিকেট কাটার চিত্র ছিল ভিন্ন। কমলাপুর রেলস্টেশনে ছিল উপচেপড়া ভিড়। টিকেটপ্রত্যাশীদের অনেকে রাতেই রেলস্টেশনে লাইন ধরে দাঁড়াতেন। কিন্তু করোনায় বদলে গেছে অনেক কিছুই। করোনাকালে এবারের ঈদে অনেক রুটের ট্রেন বন্ধ। ঢাকা থেকে মাত্র ১৭টি রুটে চলছে ট্রেন। বাকি সবগুলোই বন্ধ। যে কারণে রেলের টিকেটপ্রত্যাশীদের বাড়তি চাপ।
অনলাইন কিংবা অ্যাপে টিকেটপ্রত্যাশীদের অভিযোগ, টিকেট কাটার নির্ধারিত সময়ে অ্যাপ অচল হয়ে পড়ছে। লোডিং দেখায়, হ্যাং হয়ে থাকে। টার্ন করে না। আবার শেষ মুহূর্তে গিয়ে টাকার জন্য বিকাশ নম্বর চাওয়ার সময় দেখায় টিকেট শেষ।
ট্রেনের টিকেট বিক্রির বিষয়টি পরিস্কার করতে গতকাল রেলের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা একটি ফেসবুক পোস্টে লিখেন, ‘আজ ২৯/০৭/২০২০ তারিখের ট্রেনের টিকেট দেয়া হয়েছে ভোর ৬.০০ থেকে। ১ম সেকেন্ডের অনেক কম সময়ে টিকেট কেটে ফেলেছে ৫০১ জন। এরপর ২য় সেকেন্ডের কম সময়ে কেটেছে ২২২ জন। এরপর মাত্র ৪/৫ সেকেন্ডে কেটেছে ৩৭২ জন। এভাবে সকাল ৮.২৮ মিনিট পর্যন্ত কেটেছে সর্বমোট ৪২২৬ জন। সকাল ১০.৫২ পর্যন্ত টিকেট পেয়েছে ৫১৪৪ জন। আপনারা এদের পিছনে ছিলেন বলেই টিকেট পাননি। দেখেছেন, সাইট হ্যাং হয়ে আছে। করোনার কারণে এবার সামান্য ট্রেন, সামান্য টিকেট।’
ঢাকায় রেলসেবা অ্যাপের জরুরি নম্বরে যোগাযোগ করা হলে টেকনিক্যাল সাপোর্ট শাখার বরাতে জানানো হয়, একটি টিকেটের বিপরীতে ৩৮০ জন একসঙ্গে হিট করেছে সাইটে। অ্যাপে এ সংখ্যা আরও বেশি। যে কারণে অনেক ক্ষেত্রেই বিকল হয়ে পড়ছে রেলসেবার অ্যাপ। এ সমস্যা ঈদে বাড়তি টিকেটের চাপের কারণে হয়েছে। বাড়তি টিকেটের চাপ থাকলেও ট্রেনের শিডিউল কম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।