Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঘুমাবার সময় মাথা সুইজারল্যান্ডে থাকলে পা থাকবে ফ্রান্সে

প্রকাশের সময় : ৩ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

এক হোটেলে দুই সংস্কৃতি আর দুই ঐতিহ্যের স্বাদ
ইনকিলাব ডেস্ক : একই রাতে ফ্রান্স এবং সুইজারল্যান্ডে ঘুমাবেন কীভাবে? হোটেল আরবেজে একটা ঘর ভাড়া করুন। আলপাইন পর্বত এলাকার ওই সরাইখানার অবস্থান ফরাসি-সুইস সীমান্তের লা কুর শহরে। হোটেলটির কয়েকটি কক্ষের মাঝখান দিয়ে গেছে দুই দেশের অভিন্ন সীমান্তরেখা। প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, দেশ দুটি কিন্তু একই বিছানায় ঘুমায় একই টেবিলে খাওয়া-দাওয়া করে। সেখানকার একেকটি বিছানায় ঘুমালে আপনার মাথা থাকবে এক দেশে, পা আরেক দেশে। মধুচন্দ্রিমা যাপনকারী যুগলদের জন্য বরাদ্দ থাকে এরকম বিশেষ কক্ষ ও শয্যা।
এই হোটেলে একটি অতিথিকক্ষ আছে, যা সম্পূর্ণ সুইজারল্যান্ডে হলেও বাথরুমটা ফ্রান্সে। সেখানে অতিথিরা নিতে পারেন দুই সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের স্বাদ। কারণ, হোটেলের রেস্তোরাঁটিতেও দুই ভাগ : ফরাসি রসনা আর সুইস রান্নার আয়োজনে সমৃদ্ধ। অভিনব এই হোটেল প্রতিষ্ঠার গল্পটাও মজার। ১৮৬০-এর দশকের শুরুতে এটির যাত্রা শুরু। এর দুই বছর পর আলপাইন এলাকার সীমানা পুনঃনির্ধারণের জন্য ফ্রান্স ও সুইজারল্যান্ড একটি চুক্তি সম্পাদন করে। সে অনুযায়ী সুইসরা লা কুরের কিছু অংশ পায়, আর বাকি অংশ ফ্রান্সের অন্তর্ভুক্ত হয়। কিন্তু চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার আগেই স্থানীয় ব্যবসায়ী এম পনথুুস একটি দোকান বসিয়ে দেন এমন এক জায়গায়, যা নতুন সীমান্তের ঠিক মাঝ বরাবর পড়ে যায়। সেটিই এখনকার হোটেল আরবেজ। এপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঘুমাবার সময় মাথা সুইজারল্যান্ডে থাকলে পা থাকবে ফ্রান্সে
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ