Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

লিবিয়া উপকূল থেকে একদিনে উদ্ধার দেড় হাজার ভূমধ্যসাগরে চারদিনে ৮ সহস্রাধিক শরণার্থী উদ্ধার

প্রকাশের সময় : ৩ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ইতালির লিবীয় উপকূল থেকে ৮ হাজার ৩শ’ শরণার্থীকে উদ্ধার করা হয়েছে। গত ৪ দিনে ইতালির কোস্টগার্ড তাদের উদ্ধার করে। সোমবার একদিনেই লিবিয়া উপকূল থেকে দেড় হাজারের বেশি শরণার্থীকে উদ্ধার হয়েছে। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার থেকে রোববার পর্যন্ত মোট ৮ হাজার ৩শ’ শরণার্থীকে উদ্ধার করা হলো। এর আগে ভূমধ্যসাগর থেকে পাঁচ শরণার্থীর লাশ উদ্ধার করে ইতালির কোস্টগার্ড। ইতালির কোস্টগার্ড তাদের টুইটার অ্যাকাউন্টে জানিয়েছে, ইতালির নৌবাহিনীর জাহাজ ভেগা অভিযান চালিয়ে সমুদ্রের তীরবর্তী এলাকা থেকে পাঁচজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজন জ্ঞান ফিরে পেলেও অপর দু’জন মারা যায়। জার্মান ত্রাণ সংস্থা জুগেন্ড রিত্তাত জানায়, তাদের জাহাজও রাবারের তৈরি একটি ডিঙি নৌকার ওপর থাকা ১৩০ জনের প্রাণ বাঁচাতে ওই একই অভিযানে অংশ নেয়। সেখান থেকে তারা জীবিতদের পাশাপাশি দু’জনের লাশ উদ্ধার করে। ইতালির নৌবাহিনী ও মাল্টাভিত্তিক ত্রাণ সংস্থা এমওএএস একটি নৌযান থেকে ৪৭০ শরণার্থীকে উদ্ধার করে। সেখান থেকে পঞ্চম ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়। রোববার উদ্ধার অভিযান চালিয়ে লিবিয়া উপকূল থেকে ১১শ’ শরণার্থীকে উদ্ধার করা হয়। সাম্প্রতিক সময়ে ইউরোপে পাড়ি জমাতে গিয়ে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে শরণার্থীদের মৃত্যুর হার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। আবহাওয়ার উন্নতির ফলে সম্প্রতি বিপজ্জনকভাবে নৌকায় করে সমুদ্রপথে ইউরোপে যাত্রা করার হার আবার বেড়ে গেছে। বাড়ছে নৌকাডুবিতে মৃত্যুর সংখ্যাও। ৩১ মে ২০১৬ তারিখে সাগরে শরণার্থীদের সলিল সমাধি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে জাতিসংঘের শরণার্থী-বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর)। সংস্থাটির হিসাবে, চলতি বছর ইউরোপে পাড়ি জমাতে গিয়ে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে আড়াই হাজারের বেশি মানুষের সলিল সমাধি হয়েছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় সংখ্যাটি অনেক বেশি। ২০১৫ সালের প্রথম পাঁচ মাসে সাগর পাড়ি দিতে গিয়ে ১ হাজার ৮৫৫ জন শরণার্থী মারা যায়। ২০১৪ সালের প্রথম পাঁচ মাসে এই সংখ্যা ছিল মাত্র ৫৭। ২০১৬ সালের প্রথম পাঁচ মাসে সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পৌঁছেছে ২ লাখের বেশি শরণার্থী ও অভিবাসী। ২০১৫ সালের প্রথম পাঁচ মাসে ৯২ হাজার শরণার্থী সমুদ্রপথে ইউরোপে প্রবেশ করেছিল। ইউএনএইচসিআরের মুখপাত্র উইলিয়াম স্পিন্ডলার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, ২০১৬ সালের শরণার্থী মৃত্যুর হার আশঙ্কাজনক পর্যায়ে পৌঁছতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, তুরস্ক থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে গ্রিসে যাওয়া যায়। লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি যাওয়া যায়। এর মধ্যে লিবিয়া থেকে ইতালি পথে সাগরযাত্রা বেশি দীর্ঘ। এই পথেই মারা গেছে ২ হাজার ১১৯ জন শরণার্থী। অর্থাৎ এই পথে পাড়ি দেয়া প্রতি ২৩ জন শরণার্থীর মধ্যে ১ জন নৌকাডুবিতে মারা যাচ্ছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, ২০১৫ সালে অধিকতর ভালো জীবনের সন্ধানে প্রাণ হারিয়েছেন পাঁচ হাজারের অধিক নারী, পুরুষ ও শিশু। মানব পাচারকারীদের শিকারে পরিণত হয়েছেন ১০ সহ¯্রাধিক মানুষ। আর বিদেশি বিদ্বেষী নীতি এবং বিদ্যমান ভয়-আতঙ্কে বলির পাঁঠায় পরিণত হয়েছে ১০ লক্ষাধিক মানুষ। ইয়াহু, মিডল ইস্ট আই, বিবিসি, আল-জাজিরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: লিবিয়া উপকূল থেকে একদিনে উদ্ধার দেড় হাজার ভূমধ্যসাগরে চারদিনে ৮ সহস্রাধিক শরণার্থী উদ্ধার
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ