মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিশ্বব্যাপী পারমাণবিক পদার্থ সুরক্ষা সূচকে ২০২০ সালে বিশ্বের মধ্যে ‘সবচেয়ে বেশি উন্নতি’ করেছে পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক সমীক্ষায় এই কথা বলা হয়েছে। সূচকে পাকিস্তানের সামগ্রিক স্কোর বেড়েছে সাত পয়েন্ট।
২০২০ সালের জাতীয় হুমকি মোকাবেলায় পারমাণবিক সুরক্ষা সূচকের প্রতিবেদন অনুসারে, পাকিস্তান সবচেয়ে বেশি উন্নতি করেছে সুরক্ষা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বিভাগে। যার ফলে তারা ২৫ পয়েন্ট বেশি পেয়েছে। গ্লোবাল নর্মস বিভাগেও তারা উন্নতি করেছে। সেখানেও তারা ১ পয়েন্ট বেশি পেয়েছে। দেশটি নতুন কিছু বিধিমালা গ্রহণ করায় তাদের এই উন্নতি হয়েছে। সূচকে সব মিলিয়ে ৪১ পয়েন্ট নিয়ে পাকিস্তানের অবস্থান ১৯ তম অবস্থানে। ৪১ পয়েন্ট নিয়ে তার এক ধাপ পরে ২০ তম স্থানে অবস্থান ভারতের।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, সুরক্ষা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বিভাগে পাকিস্তানের উন্নতিগুলি ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ কারণ ‘শক্তিশালী আইন ও বিধিমালা পাকিস্তানের স্কোর বাড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি টেকসই সুরক্ষা সুবিধা প্রদান করে।’ এতে উল্লেখ করা হয়েছে, নতুন নিয়মকানুন জারির সাথে সাথে এই সময়ের মধ্যে দেশটি ধারাবাহিকভাবে উন্নতি করেছে। ২০১৪ সালের সূচকে তাদের ৮ পয়েন্ট বৃদ্ধি পায়। এরপর ২০১৬ সালে ২ পয়েন্ট এবং ২০১৮ সালে ৬ পয়েন্ট বৃদ্ধি পায়।
২০১৪ সালে পাকিস্তান পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোতে শারীরিক সুরক্ষার বিষয়ে নতুন নিয়ম জারি করে। ২০১৬ সালে তারা নতুন সাইবার নিরপত্তা আইন জারি করে। ফলে দেশটির আভ্যন্তরিন নিরাপত্তা জোরদার হয়। ২০১২ সালে এই সূচক চালু হওয়ার পরে পাকিস্তানের উন্নতি হয়েছে ২৫ পয়েন্ট। এই সূচকে উন্নতির দিক থেকে পাকিস্তানের অবস্থান দ্বিতীয় অবস্থানে।’
প্রতিবেদনে অন্যান্য বিভাগেও পাকিস্তানের র্যাঙ্কিংয়ের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। দেশটি গার্হস্থ্য প্রতিশ্রুতি ও সক্ষমতা উচ্চ স্কোর (৬৭-১০০), সুরক্ষা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এবং বিশ্ব নীতি, উভয় ক্ষেত্রে মাঝারি স্কোর (৩৪-৬৬) এবং পরিমাণ এবং কেন্দ্র বিভাগে নিম্ন স্কোর (০-৩৩) অর্জন করেছে। তারা ক্রমাগত পারমাণবিক অস্ত্রে ব্যবহারযোগ্য নিউক্লিয়ার সামগ্রীর পরিমাণ বৃদ্ধি করলেও তাদের পদ্ধতি পরিবেশের জন্য কম ঝুঁকিপূর্ণ।
প্রতিবেদনে বিদ্যমান শূন্যস্থান পূরণে প্রয়োজনীয় মূল পদক্ষেপগুলিও তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, আরও কঠোর নিয়ন্ত্রণ ও হিসাব ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজন, অভ্যন্তরীণ হুমকি প্রতিরোধের বিষয়ে নিয়মকানুনকে শক্তিশালীকরণ, সুরক্ষা সংস্কৃতি মূল্যায়ন, পারমাণবিক সন্ত্রাসবাদ দমনের আন্তর্জাতিক কনভেনশনকে অনুমোদন দেয়া এবং আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থাকে (আইএইএ) সমর্থন করার জন্য স্বেচ্ছায় পদক্ষেপ গ্রহণ।
সূচকে, পারমাণবিক অস্ত্রে বলিয়ান দেশগুলির মধ্যে পঞ্চমবারের মতো প্রথম স্থান ধরে রেখেছে অস্ট্রেলিয়া। অস্ত্র ছাড়া বিদ্যুৎ ও অন্যান্য কাজে পরমাণু শক্তি ব্যবহার করা দেশের তালিকায় যৌথভাবে প্রথম স্থান পেয়েছে নিউজিল্যান্ড ও সুইডেন। এই তালিকায় তাইওয়ানসহ ১৫৩ টি দেশের নাম রয়েছে। সূত্র: ডন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।