বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সিলেট বিভাগে প্রতিদিন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে বাড়তে জনে ৬৮৯০ পৌছেছে। এদের বেশিরভাগই সিলেটের। একই সাথে বিভাগে এ পর্যন্ত ১২১ জন রোগী মৃত্যুবরণ করেছেন করোনায়। মৃত্যুর পরিসংখ্যানে সিলেটও এগিয়ে। তবে মৃত্যুর হার বিভাগের মধ্যে কম হবিগঞ্জে। অপরদিকে, করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি লাভ করছেন বিভাগের ২৮৫৫ জন রোগী। সুস্থতার বিবেচনায় এগিয়ে রয়েছে সুনামগঞ্জ। আজ মঙ্গলবার (২১ জুলাই) সিলেট বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য)’র কার্যালয়ের কোভিড-১৯ কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের দৈনিক প্রতিবেদন এক তথ্যানুসারে বিভাগের ৪ জেলার মধ্যে আক্রান্ত ও মৃতের শীর্ষে সিলেট। জেলায় এ পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৬২২ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৯০ জন, ৮৪ জন চিকিৎসাধীন আছেন হাসপাতালে, পুরোপুরি ৯২৯ জন সুস্থ হয়েছেন। জেলায় এ পর্যন্ত ৪ হাজার ৪৬ জনকে রাখা হয়েছিল হোম কোয়ারেন্টিনে। নির্দিষ্ট ১৪ দিন মেয়াদ শেষে ৩ হাজার ৬৩২ জনকে দেওয়া হয়েছে ছাড়পত্র। বাকিরা কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনে আছেন এখনও।
আক্রান্তে দ্বিতীয় অবস্থানে সুনামগঞ্জ। এ পর্যন্ত সেখানে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১৩২৯ জনের। এর মধ্যে ৪৮ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন, ৯৮৫ জন পুরোপুরি সুস্থ হয়েছেন। মারা গেছেন ১৩ জন। জেলায় এ পর্যন্ত৬ হাজার ২৮৯ জনকে রাখা হয়েছিল হোম কোয়ারেন্টিনে। ৬ হাজার ২২৫ জনকে দেওয়া হয়েছে ছাড়পত্র। আক্রান্তে পরিসংখ্যানে তৃতীয় অবস্থানে হবিগঞ্জ। এ পর্যন্ত সেখানে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১০৬৯ জন। এর মধ্যে ৫৬ জন আছেন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, সুস্থ হয়েছেন ৪৯৮ জন পুরোপুরি। মারা গেছেন ৮ জন।
এছাড়া জেলায় এ পর্যন্ত ২হাজার ৯৩০ জনকে রাখা হয়েছিল হোম কোয়ারেন্টিনে। ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে২ হাজার ৮৭৬ জনকে। অন্যরা এখনও আছেন কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনে। আক্রান্তের বিচারে সবচেয়ে কম রোগী মৌলভীবাজারে। এ জেলায় করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৮৭০ জন। এর মধ্যে ২৭ জন চিকিৎসাধীন আছেন হাসপাতালে, সুস্থ হয়েছেন ৪৪৩ জন। ১০ জন মারা গেছেন। জেলায় এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৬৫ জনকে রাখা হয়েছিলহোম কোয়ারেন্টিনে। ১৪ দিন মেয়াদ পার হওয়ায় ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে ২ হাজার ৯৮৯ জনকে। এখনও কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনে আছেন বাকিরা।
সিলেট বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য)’র কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রক) ডা. মো. আনিসুর রহমান বলেন, বিভাগের প্রত্যেক জেলায় করোনা পরিস্থিতি সামালে গঠন করা হয়েছে কমিটি। আক্রান্তদের উপসর্গের লক্ষণ কম হলে চিকিৎসা করা হচ্ছে বাড়িতে। উপসর্গ বেশি হলে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে হাসপাতালে। এছাড়া সুস্থ হয়ে যারা বাড়ি ফিরছেন তাদের বিষয়েও নেওয়া হচ্ছে নিয়মিত খোঁজখবর ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।