Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পিচিচি ট্রফির সপ্তমে মেসি

বড় জয়ে বার্সা, ড্র’য়ে শেষ রিয়ালের

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২১ জুলাই, ২০২০, ১২:০৩ এএম

আগের রাউন্ডেই ভিয়ারিয়ালকে হারিয়ে লা লিগার শিরোপা পুনরুদ্ধার করে নিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। তাই শেষ রাউন্ডের ম্যাচ দুই দলের জন্যই আনুষ্ঠানিকতার। তার মধ্যেও একটি লড়াই ছিল বার্সা অধিনায়ক লিওনেল মেসি ও রিয়াল ফরোয়ার্ড করিম বেনজেমার মধ্যেই। কে জিতবেন এবারের পিচিচি ট্রফি? যদিও এগিয়ে ছিলেন মেসিই। লিগের শেষ মাচে এসে জোড়া গোল করে তিনিই জিতলেন লা লিগার সর্বোচ্চ গোলদাতার এ পুরষ্কার।

পয়েন্ট তালিকার নিচের দিকের দল আলাভেসকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে লা লিগা অভিযান শেষ করল কাতালান ক্লাবটি। গতপরশু রাতে প্রতিপক্ষের মাঠে লিগের শেষ রাউন্ডে ৫-০ গোলে জিতেছে গত দুবারের চ্যাম্পিয়নরা। পোস্ট দুর্ভাগ্য বাঁধ না সাধলে ব্যবধান হতে পারতো অনেক বড়। মেসি ছাড়াও এদিন জালের দেখা পেলেন আনসু ফাতি, লুইস সুয়ারেজ ও নেলসন সেমেদো। আসরে এটা বার্সেলোনার ২৪তম জয়। সঙ্গে সাত ড্রয়ে ৮২ পয়েন্ট নিয়ে লিগ রানার্সআপ হলো দলটি।
এ নিয়ে রেকর্ড সপ্তমবারের মতো পিচিচি ট্রফি জিতে নিলেন মেসি। এর আগে গত মৌসুমে কিংবদন্তী তেলমো জারার সঙ্গে রেকর্ড ভাগাভাগি করছিলেন বার্সা অধিনায়ক। ১৯৪৫ থেকে ১৯৫৩ সালের মধ্যে মোট ছয়বার পিচিচি জিতে রেকর্ড গড়েছিলেন জারা। চলতি মৌসুমে ২৫ গোল করেই সপ্তমবারের এ শিরোপা স্বাদ নিয়ে জারাকে পেছনে ফেলেন তিনি। ১২ বছর পর লা লিগায় ৩০ গোলের কম দিয়ে কোনো খেলোয়াড় পিচিচি জয়ের স্বাদ পেলো। আর মেসিও প্রথম ৩০ গোলের কম দিয়ে এ শিরোপা জিতলেন। এর আগের ছয়বারই জিতেছেন ৩০ গোলের বেশি করে।
আগের দিন আলাভেসের বিপক্ষে জোড়া গোল পান মেসি। তাতেই অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায় তার গোল্ডেন বুট। যদিও অপেক্ষা ছিল লেগানেসের বিপক্ষে রিয়াল মাদ্রিদের শেষ ম্যাচের। কারণ মেসির সঙ্গে পিচিচি জয়ের দৌড়ে ছিলেন বেনজেমা। শেষদিন পর্যন্ত দুইজনের গোল ব্যবধান ছিল দুই। জোড়া গোলে আরও দুই ব্যবধান বাড়ান মেসি।
জারার রেকর্ড ভাঙলেও আরও একটি রেকর্ড ছুঁয়েছেন মেসি। এবার টানা চতুর্থবারের মতো পিচিচি জিতেছেন মেসি। লা লিগার ইতিহাসে তিনি তৃতীয়। এর আগে ১৯৫৫-৫৬ মৌসুম ১৯৫৮-৫৯ পর্যন্ত টানা চার আসরে জিতে প্রথম কীর্তিটি গড়েন রিয়াল মাদ্রিদ কিংবদন্তি আলফ্রেদো দি স্তেফানো। পরে ১৯৮৪-৮৫ মৌসুম থেকে টানা চার আসরে জিতে এই রেকর্ডে ভাগ বসান মেক্সিকোর সাবেক স্ট্রাইকার হুগো সানচেজ। ১৯৮৪-৮৫ মৌসুমে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের হয়ে জেতার পর পরের তিন মৌসুমে জেতেন রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে। আগামী মৌসুমে সুযোগ থাকছে এ রেকর্ড নিজের করে নেওয়ার।
আপাতত কিছুদিন বিশ্রাম নিয়ে তারা ঝাঁপিয়ে পড়বে ইউরোপ সেরার মঞ্চে। সেখানে শেষ ষোলোর ফিরতি পর্বে ঘরের মাঠে নাপোলির বিপক্ষে খেলবে বার্সেলোনা। প্রথম লেগ হয়েছিল ১-১ ড্র।
মেসিকে টপকাতে ৫টি গোল করতে হতো বেনজেমাকে। ৪টি গোলে ছুঁতে পারতেন। তবে এদিন গোলই পাননি এ ফরাসি। তাতে শেষটা ভালো হলো না রিয়াল মাদ্রিদেরও। দুবার এগিয়ে গিয়েও জিততে পারল না তারা। উজ্জীবিত পারফরম্যান্সে লিগ চ্যাম্পিয়নদের রুখে দিয়েছে লেগানেস। তাদের মাঠ থেকে লিগের শেষ রাউন্ডে ২-২ ড্র করে ফিরেছে জিনেদিন জিদানের দল। অবশ্য ফেভারিটদের বিপক্ষে এমন ড্রয়ের পরও অবনমনের হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে লেগানেসকে।
শুরুতেই দারুণ এক হেডে গোল করেন সার্জিও রামোস। আর তাতে চলতি মৌসুমে ডিফেন্ডার হিসেবে সর্বোচ্চ গোলদাতার আসন দখল করেছিলেন। এবার একবিংশ শতাব্দীতে এক মৌসুমে ডিফেন্ডার হিসেবে করেছেন সর্বোচ্চ ১০ গোল। তবে যোগ করা সময়ে লেগানেসকে সমতায় ফেরান ব্রায়ান গিল। আর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে অ্যাসেনসিওর গোলে পের এগিয়ে যায় চ্যাম্পিয়নরা। শেষদিকে রিয়ালকে রুখে দেয়া গোলটি রজার আসালের।
এ ড্রয়ে করোনাভাইরাস বিরতির পর টানা ১০ ম্যাচ পয়েন্ট খোয়ানো রিয়ালের সংগ্রহ ৮৭ পয়েন্ট। আলাভেসের মাঠে ৫-০ গোলে জেতা বার্সেলোনা ৮২ পয়েন্ট নিয়ে রানার্সআপ হয়েছে। অবনমন হওয়া লেগানেসের সংগ্রহ ৩৬। তাদের সঙ্গে অবনমন হয়েছে মায়োর্কা ও এস্পানিওলও।
এই ম্যাচে ব্যাক্তিগত অর্জন আছে আরো। ইকার ক্যাসিয়াসের পর লিগের সেরা গোলরক্ষকের পুরষ্কার জামোরা ট্রফি জিতেছেন রিয়ালের থিকো কর্তোয়া। সবশেষ ২০০৭-০৮ মৌসুমে রিয়ালের হয়ে এ ট্রফি জিতেছিলেন কিংবদন্তি ইকার ক্যাসিয়াস। আর গত চার মৌসুমে জামোরা ট্রফি জিতে আসছিলেন অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের স্লােভেনিয়ান গোলরক্ষক জন ওবলাক।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পিচিচি-ট্রফি
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ