পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জামায়াতে ইসলামীর সাথে জোটের কারণে দলে, দেশে এবং দেশের বাইরে নানা সময় সমালোচিত হয়েছে বিএনপি। নানা পক্ষ থেকেই জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগের জন্য পরামর্শ ও চাপ দেয়া হলেও এতোদিন কৌশলে এড়িয়ে গেছেন দলটির দায়িত্বশীল নেতারা। যদিও এই দলটির সাথে জোটের কারণে বিএনপির লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হয়েছে বলে বেশিরভাগ নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন। তাদের মতে, বিএনপির সাথে জোটবদ্ধ হয়ে জামায়াত একদিকে যেমন সাংগঠনিক ভিত্তি মজবুত করেছে, অন্যদিকে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হয়েছে। কিন্তু বিএনপি দেশের মূলধারার ইসলামী দলগুলোর আস্থা হারিয়েছে, বন্ধুহীন হয়েছে বিদেশেও। অবশেষে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটির স্থায়ী কমিটি। গত শনিবার সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী এই ফোরামের বৈঠকে স্থায়ী কমিটির নেতারা এ ব্যাপারে অনেকটা একমত হয়েছেন। বৈঠকে জামায়াত ত্যাগ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। দুই/এক জন বাদে স্থায়ী কমিটির সব সদস্যই ২০ দলীয় জোট থেকে জামায়াতকে বাদ দেয়ার পক্ষে মত দেন। এ ব্যাপারে এখন বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবে। স্থায়ী কমিটির সূত্রে জানা যায়, এ বিষয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও ইতিবাচক।
জামায়াতের সঙ্গে দুই যুগের জোট রাজনীতিতে বিএনপির উপকার না ক্ষতির কারণ হয়েছে এ নিয়ে দলটিতে অনেকদিন ধরেই আলোচনা চলছে। দলটির একটি অংশের মত হলো, এ সম্পর্কে লাভের চেয়ে ক্ষতি হয়েছে বেশি। বিশেষ করে জামায়াতের সাথে জোট থাকার কারণে দেশের মূলধারার ইসলামী দলগুলো বিএনপির প্রতি আস্থা রাখতে পারেনি, অন্যদিকে পশ্চিমা দেশগুলো, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সাথে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে বিএনপির। ভূ-রাজনীতিতে এ কারণে বিপাকে পড়তে হয়েছে বিএনপিকে। কারণ আঞ্চলিক প্রভাবশালী রাষ্ট্র কখনই জামায়াতের ব্যাপারে ইতিবাচক মতামত পোষণ করেনি। পশ্চিমা দেশগুলোও বিএনপিকে অনেকবারই পরামর্শ দেয় জামায়াত ত্যাগের। বিশেষ করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতৃস্থানীয় দেশগুলোর জামায়াতের ব্যাপারে নেতিবাচক ধারণা রয়েছে। এমনকি মধ্যপ্রাচ্যের যেসব দেশ একসময় জামায়াতের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিল, তারাও দলটির সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, কেবল ভোটের হিসাবের কারণেই জামায়াতকে কাছে টানার নীতি ছিল বিএনপির। কিন্তু গত এক দশকে এ হিসাব মূল্যহীন হয়ে পড়েছে। বরং রাজনীতিতে অন্যান্য ফ্যাক্টর গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেছে। এই কারণেই বিএনপি শেষ পর্যন্ত জামায়াত ত্যাগের ব্যাপারে ইতিবাচক সিদ্ধান্তের পথে হাঁটছে। বিএনপির মধ্যম সারির কয়েকজন নেতা বলেন, দল অবশেষে এটা অনুধাবন করতে পেরেছেন যে, জামায়াতকে জোটে রেখে আদতে কোনো লাভ নেই। তাছাড়া, বিএনপির পরামর্শক হিসেবে পরিচিতি বুদ্ধিজীবীদের যে অংশটি বিএনপি-জামায়াত ঐক্যের ওপর জোর দিতেন তারাও এখন বিএনপিতে গুরুত্ব হারিয়েছেন। সব মিলিয়ে বিএনপি জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ করতে যাচ্ছে বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। তবে অতীতে এমন সিদ্ধান্ত অনেকক্ষেত্রেই বিএনপি কার্যকর করতে পারেনি।
স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন, ২০ দলের অন্যতম শরিক জামায়াত নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। জামায়াতকে জোট থেকে ছেড়ে দেয়ার বিষয়ে স্থায়ী কমিটির সব সদস্যের মতামত একই। শুধুমাত্র একজন সদস্যের বক্তব্যে অস্পষ্টতা ছিল। তবে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।