মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মালয়েশিয়ায় সোমবার (২০ জুলাই) স্থানীয় সময় বিকাল ৪টায় দেশটির জাতীয় সংসদে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি সম্পর্কে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে দেশটির প্রধানমন্ত্রী তান শ্রী মহিউদ্দিন ইয়াসিন জানান, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মালয়েশিয়ায় দেয়া লকডাউনে প্রতিদিন ২০০ কোটি রিঙ্গিত অর্থাৎ প্রায় চার হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শ্রী মহিউদ্দিন বলেন, ‘করোনা মোকাবিলায় আমরা এখন সফল। তবে আমরা পুরোপুরি বিপদমুক্ত নই। সরকারি ও পাবলিক ক্লাস্টারে ভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা এখনও রয়ে গেছে। সরকার চিন্তাভাবনা করছে, এসব স্থানে মাস্ক পরিধান করা বাধ্যতামূলক করা হতে পারে। কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকলেও কয়েকদিনে এটা সামান্য বেড়েছে। তাই সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। এমন যেন না হয়, পুনরায় লকডাউন আরোপ করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘টানা তিন মাস লকডাউনে গৃহবন্দী ছিলাম আমরা। প্রতিদিন সরকারের ক্ষতি হয়েছে ২ বিলিয়ন রিঙ্গিত। সরকারি-বেসরকারি সব সেক্টর বন্ধ হয়ে গেছে। ফ্যাক্টরি কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে, লোকজন বেকার হয়ে পড়েছে। অর্থনীতি বড় ধাক্কা খেয়েছে। আবার যদি মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার ফিরিয়ে আনতে হয়, তাহলে আমরা বড় ধরনের অর্থনীতির মন্দার কবলে পড়ব এবং জিডিপি কমে যাবে। লোকজন বেকার হয়ে পড়বে।’ তিনি বলেন, ‘বর্তমানে ৫.৩ শতাংশে বেকারত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের সকলকে করোনা স্বাস্থ্যবিধি, সামাজিক দূরত্ব, ক্লাস্টার এড়িয়ে চলা, সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন, শিশু ও বৃদ্ধদের মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করাসহ নতুন ঘোষিত এসওপি এবং পিকেপিপি মেনে চলতে হবে।’
মহিউদ্দিন ইয়াসিন আরও বলেন, ‘সংক্রমণ রোধে প্রয়োজনে মালয়েশিয়ায় আগতদের আলাদা কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে এবং এটা যেন যথাযথ পালন করা হয়। লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর জরিমানার বিধান করা হবে।’
দক্ষিণ এশিয়ার আইকন হিসেবে মালয়েশিয়া কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক সফলতা অর্জন করে প্রশংসিত হয়েছে। গত এক মাস ধরে সারাদেশে করোনা পজিটিভ রোগীর সংখ্যা ২৪ ঘণ্টায় এক ডিজিটের মধ্যে নেমে এসেছিল। যদিও গত ২ দিন ধরে আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশটিতে এ পর্যন্ত ৮ হাজার ৮০০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আর এ ভাইরাসে প্রাণ গেছে ১২৩ জনের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।