Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ডিজেতে ডা. সাবরিনার সঙ্গী হতেন সাহেদ

সহযোগীসহ স্বামী আরিফ কারাগারে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২০ জুলাই, ২০২০, ১২:০১ এএম

জেকেজি হেলথ কেয়ারের দুর্নীতিতে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক (বরখাস্ত) ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী ও তার স্বামী আরিফ চৌধুরী দ্বিতীয় দফা রিমান্ডে চঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। এরই মধ্যে তারা তাদের কার্যক্রমের সাথে জড়িত মূলহোতাদের নাম বলেছেন। তবে তদন্তের স্বার্থে পুলিশ এই মুহূর্তে এসব প্রকাশ করছেন না। তারা তথ্যের সত্যতা যাচাই-বাছাই করছেন। এছাড়া সাহেদের সাথে ডিজে পার্টিতে যেতেন ডা. সাবরিনা। মূলতো সেখানেই তাকে করোনা সনদ জালিয়াতির ধারণা দেন সাহেদ। জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য উঠে এসছে।

এদিকে, গতকাল দুই দফা রিমান্ড শেষে ডা. সাবরিনা চৌধুরীর স্বামী আরিফ চৌধুরী ও তার সহযোগী সাঈদকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মাহমুদা বেগম তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একই সঙ্গে কারাবিধি অনুযায়ী তাদের স্বাস্থ্যসেবা নিতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

গোয়েন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ডা. সাবরিনা ও আরিফের সাথে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের কয়েকজন কর্মকর্তা জড়িত রয়েছেন। ওইসব কর্মকর্তারা রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমকেও সহযোগিতা করতেন। শুধু তাই নয়, সাবরিনা ও সাহেদ মিলে ওইসব কর্মকর্তাদের নিয়ে নিয়মিত আড্ডা ও পার্টি দিতেন। এই বিনিময়ে তারা তাদের স্বার্থ হাসিল করতেন। এছাড়াও স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে কাজ ভাগিয়ে নিতে ব্যবহার করেছেন সরকারদলীয় চিকিৎসক সংগঠনের একাধিক চিকিৎসককে।

সূত্রমতে, এরই মধ্যে ডা. সাবরিনা ও সাহেদকে মুখোমুখি করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে প্রায় দুই ডজন সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করেছেন গোয়েন্দারা। তাদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। তাদের ব্যাকগ্রাউন্ডসহ নানা তথ্যউপাত্ত যাচাই করা হচ্ছে। তাদের গতিবিধিও পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে জেকেজির সাত পরিচালকসহ স্বাস্থ্য অধিদফতর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, আরিফ, সাবরিনা ও সাহেদের বন্ধু ও বান্ধবীও রয়েছেন।

সূত্র আরো জানায়, রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদের সঙ্গে জেকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরীর ঘনিষ্ঠতা ছিল। তারা পরস্পরকে আগে থেকে চিনতেন। তাদের জানাশোনা ছিল দীর্ঘদিনের। নিয়মিত তারা পার্টিতে অংশ নিতেন। সেই পার্টিতে চলত ডিজে-মাদকতা। সাহেদ-সাবরিনা ছাড়া সেই পার্টিতে আরো অনেক চেনামুখ অংশ নিতেন।

এর আগে গত ১২ জুলাই ডা. সাবরিনাকে তেজগাঁও বিভাগীয় উপ-পুলিশ (ডিসি) কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে চারদিনের রিমান্ডে চায় পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম শাহিনুর রহমান তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত বৃহস্পতিবার তিনদিনের রিমান্ড শেষ হয়। কিন্তু রিমান্ড শেষ হওয়ার আগের দিন তার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরীকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করা হয়। পরে শুনানি শেষে তাকে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

এরপর ডা. সাবরিনা ও আরিফকে একাধিকবার মুখোমুখি করা হয়। এ সময় একে অন্যের ওপর দোষ দেন। এরই মধ্যে ডা. সাবরিনার রিমান্ড শেষ হয়ে যায়। পরে গত শুক্রবার দ্বিতীয় দফায় তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে তাকে ফের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। দ্বিতীয় দফার আরিফ ও তার স্ত্রী সাবরিনাকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।



 

Show all comments
  • Mohammed Salauddin ২০ জুলাই, ২০২০, ১২:৫৭ এএম says : 1
    এরা বড়লোক, টাকা দিয়ে আবার বেড়িয়ে আসে
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Salauddin ২০ জুলাই, ২০২০, ১২:৫৭ এএম says : 1
    এরা বড়লোক, টাকা দিয়ে আবার বেড়িয়ে আসে
    Total Reply(0) Reply
  • Shadut Hossain ২০ জুলাই, ২০২০, ১২:৫৭ এএম says : 0
    রতন‌ে রতন চ‌িনে
    Total Reply(0) Reply
  • Tahabir Hasan Mitul ২০ জুলাই, ২০২০, ১২:৫৮ এএম says : 0
    সব দোষ এখন সাহেদের
    Total Reply(0) Reply
  • হৃদয়ের ভালোবাসা ২০ জুলাই, ২০২০, ১২:৫৯ এএম says : 0
    শুধু এদের কেলেঙ্কারি প্রকাশ করেই দায়িত্ব শেষ করলে হবে না, কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Rubel Hasan ২০ জুলাই, ২০২০, ২:১৪ এএম says : 0
    good
    Total Reply(0) Reply
  • Md Rubel Hasan ২০ জুলাই, ২০২০, ২:১৪ এএম says : 0
    good
    Total Reply(0) Reply
  • md anwar ali ২০ জুলাই, ২০২০, ৬:৩৫ এএম says : 0
    অন্যায়কারীদের দৃষ্ঠান্দমুলক শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।
    Total Reply(0) Reply
  • নার্গিস আক্তার ২০ জুলাই, ২০২০, ৭:৩৯ এএম says : 0
    মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে জালিয়াতি।এদের উপযুক্ত বিচার হওয়া দরকার।
    Total Reply(0) Reply
  • habib ২০ জুলাই, ২০২০, ৯:৩২ এএম says : 0
    I never seen like Bangladesh that criminal will not justice for their offense......
    Total Reply(0) Reply
  • jack ali ২০ জুলাই, ২০২০, ১২:১৮ পিএম says : 0
    হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিতঃ- রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “যখন আমার উম্মত ১০টা কাজ করবে, তখন তাদের উপর বিপদ নেমে আসবে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করা হলোঃ হে রাসূল, কী কী? তিনি বললেনঃ ▣ যখন রাস্ট্রীয় সম্পদকে ব্যক্তিগত সম্পত্তি মনে করা হবে। ▣ যখন আমানত হিসেবে রক্ষিত সম্পদকে লুটের মাল হিসাবে গ্রহণ করা হবে (অর্থাৎ আত্মসাৎ করা হবে)। ▣ যাকাতকে জরিমানার মত মনে করা হবে। ▣ স্বামী যখন স্ত্রীর আনুগত্য করবে এবং মায়ের অবাধ্য হবে। ▣ বন্ধুর প্রতি সদাচারী ও পিতার সাথে দুর্ব্যবহারকারী হবে। ▣ মসজিদে হৈ চৈ হবে। ▣ জনগণের নেতা হবে সেই ব্যক্তি যে তাদের মধ্যেকার সবচেয়ে নিকৃষ্ট চরিত্রের অধিকারী। ▣ মানুষকে তার ক্ষতির আশংকায় সম্মান করা হবে। ▣ গায়িকা ও বাদ্যযন্ত্রের হিড়িক পড়ে যাবে। ▣ উম্মতের পরবর্তীরা পূর্ববর্তীদেরকে অভিশাপ দেবে। তখন আগুনের বাতাস আসবে, মাটির ধস ও দেহের বিকৃতি ঘটবে।” — সহীহ তিরমিযী; আততারগীব ওয়াত তারহীবঃ ৩য় খন্ডঃ ১৫৪১।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Shah Alam Khan ২০ জুলাই, ২০২০, ১০:১৮ পিএম says : 0
    এসব ব্যাবসায়ীদেরকে সরকারের আমলারা তদবীর করে এনাদেরকে জেলে ধরে রেখে জনগণকে বিচার হচ্ছে এই আশ্বাস দিতে পারবে কিন্তু বিচার করে সাজা দিতে পারবেনা। এনাদের টাকার জোরে বেপথগামী উকিলেরা মিথ্যার মালা সাজিয়ে এনাদেরকে এমন ভাবে পড়িয়ে দিবেন যে, এনাদেরকে (ব্যাবসায়ীদেরকে) আইন ছাই দিয়েও ধরতে পারবেনা। এনাদের বিচার না হওয়ার এটাই হচ্ছে আসোল কারন। আর তাই এই ধরনের অপরাধ একের পর এক ঘটছে। এতেকরে জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা (সরকারের তহবিলে জনগণ থেকে আদায় করা বিভিন্ন ট্যাক্সের টাকা) এসব ব্যাবসায়ীরা লুটে নিচ্ছে কিন্তু পুলিশ কিছুই করতে পারছেনা। এরকারন হচ্ছে পুলিশ নিজে ও উকিল বাবুরা। এনারা (পুলিশ ও উকিল বাবু) আসোল আসামীদেরকে (সরকারের কর্মকর্তা) নজর আন্দাজ করে ছেড়ে দিচ্ছেন বা আইনের কারনে ধরতে পারছেননা। মানে সরকারের কর্মকর্তাকে ধরতে হলে সরকারের অনুমতি লাগে। আর সেই অনুমতি দেয়ার ব্যাবস্থাও করেন সরকারের কর্মকর্তারাই। অনুমতি ছাড়া সরকারের কর্মকর্তাদেরকে ধরতেও পারবেনা বা তদন্তের জন্যে কাষ্টডিতে নিতেও পারবেনা কাজেই প্রকৃত বিচারও কোন দিন হবেনা। ব্যাবসায়ীরা বার বার আইনের ফাঁক দিয়ে বেড়িয়ে আসবে উকিলদের সহায়তায়। আল্লাহ্‌ আমাদের দেশে উকিল বাবুদেরকে সত্য কথা বলা এবং সততার সাথে চলার শক্তি প্রদান করুন। সাথে সাথে ব্যাবসায়ীরা যাতে রাজনীতিতে না আসে সেই ব্যাবস্থা করার জন্যে আল্লাহ্‌র দরবারে আমার প্রার্থনা। এখন এই দুইটা দোয়া প্রতিটি মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির, গীর্জায় হওয়া উচিৎ বলে আমি মনেকরি। আল্লাহ্‌ আমাকে সহ সবাইকে সত্য কথা বলা সততার সাথে চলার ক্ষমতা দিন। আমিন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দুর্নীতি

১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
৩১ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ