পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জেকেজি হেলথ কেয়ারের দুর্নীতিতে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক (বরখাস্ত) ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী ও তার স্বামী আরিফ চৌধুরী দ্বিতীয় দফা রিমান্ডে চঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। এরই মধ্যে তারা তাদের কার্যক্রমের সাথে জড়িত মূলহোতাদের নাম বলেছেন। তবে তদন্তের স্বার্থে পুলিশ এই মুহূর্তে এসব প্রকাশ করছেন না। তারা তথ্যের সত্যতা যাচাই-বাছাই করছেন। এছাড়া সাহেদের সাথে ডিজে পার্টিতে যেতেন ডা. সাবরিনা। মূলতো সেখানেই তাকে করোনা সনদ জালিয়াতির ধারণা দেন সাহেদ। জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য উঠে এসছে।
এদিকে, গতকাল দুই দফা রিমান্ড শেষে ডা. সাবরিনা চৌধুরীর স্বামী আরিফ চৌধুরী ও তার সহযোগী সাঈদকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মাহমুদা বেগম তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একই সঙ্গে কারাবিধি অনুযায়ী তাদের স্বাস্থ্যসেবা নিতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গোয়েন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ডা. সাবরিনা ও আরিফের সাথে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের কয়েকজন কর্মকর্তা জড়িত রয়েছেন। ওইসব কর্মকর্তারা রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমকেও সহযোগিতা করতেন। শুধু তাই নয়, সাবরিনা ও সাহেদ মিলে ওইসব কর্মকর্তাদের নিয়ে নিয়মিত আড্ডা ও পার্টি দিতেন। এই বিনিময়ে তারা তাদের স্বার্থ হাসিল করতেন। এছাড়াও স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে কাজ ভাগিয়ে নিতে ব্যবহার করেছেন সরকারদলীয় চিকিৎসক সংগঠনের একাধিক চিকিৎসককে।
সূত্রমতে, এরই মধ্যে ডা. সাবরিনা ও সাহেদকে মুখোমুখি করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে প্রায় দুই ডজন সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করেছেন গোয়েন্দারা। তাদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। তাদের ব্যাকগ্রাউন্ডসহ নানা তথ্যউপাত্ত যাচাই করা হচ্ছে। তাদের গতিবিধিও পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে জেকেজির সাত পরিচালকসহ স্বাস্থ্য অধিদফতর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, আরিফ, সাবরিনা ও সাহেদের বন্ধু ও বান্ধবীও রয়েছেন।
সূত্র আরো জানায়, রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদের সঙ্গে জেকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরীর ঘনিষ্ঠতা ছিল। তারা পরস্পরকে আগে থেকে চিনতেন। তাদের জানাশোনা ছিল দীর্ঘদিনের। নিয়মিত তারা পার্টিতে অংশ নিতেন। সেই পার্টিতে চলত ডিজে-মাদকতা। সাহেদ-সাবরিনা ছাড়া সেই পার্টিতে আরো অনেক চেনামুখ অংশ নিতেন।
এর আগে গত ১২ জুলাই ডা. সাবরিনাকে তেজগাঁও বিভাগীয় উপ-পুলিশ (ডিসি) কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে চারদিনের রিমান্ডে চায় পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম শাহিনুর রহমান তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত বৃহস্পতিবার তিনদিনের রিমান্ড শেষ হয়। কিন্তু রিমান্ড শেষ হওয়ার আগের দিন তার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরীকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করা হয়। পরে শুনানি শেষে তাকে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এরপর ডা. সাবরিনা ও আরিফকে একাধিকবার মুখোমুখি করা হয়। এ সময় একে অন্যের ওপর দোষ দেন। এরই মধ্যে ডা. সাবরিনার রিমান্ড শেষ হয়ে যায়। পরে গত শুক্রবার দ্বিতীয় দফায় তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে তাকে ফের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। দ্বিতীয় দফার আরিফ ও তার স্ত্রী সাবরিনাকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।