Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

৪২ কোটি টাকা গায়েব

বিএডিসি’র সার সংরক্ষণে দুর্নীতি

পঞ্চায়েত হাবিব | প্রকাশের সময় : ২০ জুলাই, ২০২০, ১২:০১ এএম

দেশের ১৮ কোটি মানুষকে খাওয়াচ্ছে গ্রামের কৃষকরা। বন্যা, প্রাকৃতির দুর্যোগ, মহামারির মধ্যেও কৃষকরা উৎপাদন করছেন ফসল। সেই কৃষকদের সহায়তার সময়োপযোগী পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। প্রান্তিক কৃষকের সার সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং গুদাম, অফিস রক্ষণাবেক্ষণ ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহের মাধ্যমে সার ব্যবস্থাপনা বিভাগের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু সেখানেও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) প্রকল্পের ৪২ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত প্রকল্পের পরিচালক মো. মোজাম্মেল হক ও সহকারী প্রকৌশলী আশরাফুল আলমের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।

জানতে চাইলে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামান ইনকিলাবকে বলেন, সারের গুদাম রক্ষণাবেক্ষণ, পুনর্বাসন এবং নতুন গুদাম নির্মাণের মাধ্যমে সার ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম জোরদার সরকারের একটি বড় প্রকল্প। এজন্য ৩শ’ ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) বাস্তবায়ন করছে। এখানে যে দুর্নীতি করবে তাকে ছাড় দেয়া হবে না। ইতোমধ্যে প্রকল্পের পরিচালক ও সহকারী প্রকৌশলীর অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের আটটি বিভাগের ৫৯টি জেলার ১২৮টি উপজেলা ও আটটি সিটি করপোরেশনে সারের গুদাম রক্ষণাবেক্ষণ, পুনর্বাসন এবং নতুন গুদাম নির্মাণের মাধ্যমে সার ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম জোরদার করতে ৩১১ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) বাস্তবায়ন করে। প্রকল্পটির উদ্দেশ্য বলা হয়, সার ব্যবস্থাপনা ও সরবরাহ কার্যক্রম জোরদারকরণের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও কৃষির সামগ্রিক উন্নয়নে সহায়ক, গুদাম নির্মাণের মাধ্যমে বিএডিসির সার ব্যবস্থাপনা বিভাগের নন-নাইট্রোজেনাস সার সংরক্ষণ ক্ষমতা বর্তমান পর্যায়ের চেয়ে ৫০% বৃদ্ধির মাধ্যমে সার ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম জোরদারকরণ, সুষ্ঠুভাবে ও সময়মত প্রান্তিক কৃষকের দোর গোড়ায় সার সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং গুদাম, অফিস রক্ষণাবেক্ষণ ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি সরবরাহের মাধ্যমে সার ব্যবস্থাপনা বিভাগের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।

এ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্ব দেয়া হয় বিএডিসির কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হককে। প্রকল্প শুরুর আট মাস যেতে না যেতে প্রকল্প পরিচালক মো. মোজাম্মেল হক ও সহকারী প্রকৌশলী আশরাফুল আলম ৪২ কোটি টাকা লুটপাট এবং অনিয়ম-দুর্নীতি করেন। যার কারণে সহকারী প্রকৌশলী আশরাফুল আলমকে গত ৫ জুন লালমনিরহাট জেলায় বদলি করা হয়। গতকাল পর্যন্ত সহকারী প্রকৌশলী আশরাফুল আলম লালমনিরহাটে যোগদান করেননি বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) চেয়ারম্যান মো. সায়েদুল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেন, গত ১১ বছরে সরকার সার ব্যবস্থাপনায় ‘বিশাল সফলতা’ অর্জন করেছে, যার ফলে দেশে খাদ্য উৎপাদনে সফলতা আসছে। মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্প পরিচালক ও সহকারী প্রকৌশলীর অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তর করবে।
এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক মো. মোজাম্মেল হক ফোনে ইনকিলাবকে বলেন, প্রকল্পের বিষয়ে আপনাকে কিছু বলতে পারবো না। অফিসে এসে চা খেয়ে যান।



 

Show all comments
  • বাপ্পী চন্দ্র শীল ২১ জুলাই, ২০২০, ১০:০৮ পিএম says : 0
    অনকে কৃষক আছে যারা কিনা ব্যাংক লোন বুঝে না। তারা টাকার জন্য অনেক মানুষ থেকে ধার দেনা করে আর সেই কৃষকের টাকাগুলো শিক্ষিত বাটপার গুলো মেরে খায়। আল্লাহর লানত এদের উপর কোন দিন সুখী হতে পারবেন না।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দুর্নীতি

১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
৩১ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ