গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
করোনাভাইরাসের জন্য সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার কথা বলায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব মো. রফিকুল ইসলামকে লাঞ্চিত করা হয়েছে। গত শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর কলাবাগান থানার নর্থ রোড (ভূতের গলি) ৪০ নম্বর এ ঘটনা ঘটে। পরে কলাবাগান থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেছেন ওই সহকারী সচিব।
ডায়রি সূত্রে জানা যায়, কলাবাগান থানার নর্থ রোডের ৪০ নম্বর বাসার বাড়ির ল্যান্ড ওনার শিরিন আক্তার মালা ও তার স্বামী আকাশসহ তাদের সহযোগিদের হাতে লাঞ্চিত হন ফ্ল্যাটে বসবাসকৃত সহকারী সচিব মো. রফিকুল ইসলাম।
তিনি জানান, শিরিন আক্তার মালা ও তার ভাই মো. আশিকুর রহমান সুজন দীর্ঘ দিন থেকে ফ্ল্যাটের ভিতরে এবং ফ্ল্যাট সংলগ্ন ভবনে অনলাইন মার্কেটিং ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। কিন্তু করোনাকালীন সময়েও তারা সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। এমনকি প্রতিদিন আবাসিক বাসার নিচ তলায় বড় বড় পিকআপ প্রবেশ করে এবং ৩০-৪০ জন অনলাইন মার্কেটিং কর্মী যাতায়াত করেন। তারা রাজধানীতে স্বস্থ্যবিধি না মেনেই সাইকেলে পণ্য ডেলিভারি দেন। এ জন্য ৮/৯ দিন আগে ফ্ল্যাটে বসবাসরত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব মো. রফিকুল ইসলাম প্রতিবাদ করেন এবং করোনা কালীন ফ্ল্যাটের সবাইকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলান জন্য অনুরোধ করেন।
ওই প্রতিবাদের কারণে গত শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফ্ল্যাটের নিচ তলায় রফিকুল ইসলামকে পরিকল্পিতভাবে ফ্ল্যাটের ল্যান্ড ওনার শিরিন আক্তার মালা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এক পর্যায়ে শিরিন আক্তার মালা, তার স্বামী আকাশ ও তার ছোট ছেলে বিজয়সহ কয়েকজন লাঠি সোটা নিয়ে লাঞ্চিত করেন তাকে। শুধু তাই নয়, মো. রফিকুল ইসলামসহ তার পরিবারের সদস্যদের হুমকি ও ভয়ভীতিও দেখান তারা। পরে এ ঘটনায় কলাবাগান থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন তিনি। যার নম্বর-৭৪৩।
শনিবার রাতে কলাবাগান থানার ওসি পরিতোষ চন্দ্র দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।