Inqilab Logo

শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ফাহিম সালেহ হত্যাকাণ্ডে টেজার গান ব্যবহার করেছে খুনি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ জুলাই, ২০২০, ২:৩৫ পিএম

বাংলাদেশের জনপ্রিয় রাইড শেয়ারিং অ্যাপ পাঠাওয়ের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহ হত্যাকাণ্ডে টেজার গান ব্যবহার করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত টাইরেস ডেভন হ্যাসপিল এ বিশেষ অস্ত্র ব্যবহার করে বলে জানায় পুলিশ। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। আজ তাকে আদালতে হাজির করা হবে।
টেজার হল এক ধরনের বিশেষ অস্ত্র। যা পুলিশ-আর্মিরা এক্সট্রিম লেভেলের অপরাধীদের ধরাশায়ী করার জন্য ব্যবহার করে থাকে। লেজার রশ্মি দিয়ে টার্গেট নিশ্চিত করা হয়। তারপর পিস্তলের স্টাইলে ইলেক্ট্রিক শক ছুঁড়ে মারা। টেজারের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসে এক ধরনের সূক্ষ্ম মারাত্মক জিনিস। যা পাঁচ সেকেন্ডের মধ্যে শরীরে আঘাত করে শরীরকে কিছু সময়ের জন্য সম্পূর্ণ নিথর ও অসাড় করে দেয়। ফাহিমকেও তাই করেছে টাইরিস। টেজার দিয়ে আক্রমণ করে ফাহিমকে নিথর করে ফেলে খুনি।’
সূত্র জানায়, ‘ফাহিমের শরীর সম্পূর্ণ অবশ হয়ে যাওয়ার পর তার ঘাড়ে গলায় পেটে উপুর্যুপরি ছুরিকাঘাত করা হয়। খুন করে সোমবার দুপুরে। ফাহিমের ফ্ল্যাটে পুরো একদিন তার লাশ পড়ে থাকে। পরদিন মঙ্গলবার টাইরিস আবার যায় ফাহিমের ফ্ল্যাটে। এরমধ্যে লাশ কেটে টুকরো টুকরো করার সব ব্যবস্থা সেরে নিয়েছে। হোম ডিপোট থেকে করাত কিনেছে। ঘর স্যানিটাইজ করার জিনিসপত্র কিনেছে। ফাহিমের ফ্ল্যাটে ফিরে এসে প্রথমেই শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে। তারপর একে একে হাত পা খণ্ড-বিখণ্ড করেছে। সেগুলো প্লাস্টিকের ব্যাগে ঢুকিয়ে রেখেছে।’
ঘরের মেঝে পরিস্কার করার জন্য এই খুনি পোর্টেবল ভ্যাকুম ক্লিনার ব্যবহার করেছে। সব রক্ত রুমের এক কর্নারে জমিয়ে রাখে। হয়ত তার খুনির প্ল্যান ছিল সবশেষে রুমের কোনা পরিষ্কার করবে। কিন্তু তার আগেই ফাহিমের কাজিন ডোর বেল বাজায়। এতে টাইরিস তার কাজ সম্পূর্ণ করতে পারেনি। সে ইমার্জেন্সি এক্সিট ব্যবহার করে পালিয়ে যায়। খুন করার আগে টাইরিস নিঞ্জা মাস্ক, স্যুট টাই এবং হ্যাট পরে নিয়েছিল। ফাহিমের অটোপসি রিপোর্টে বলা হয় তার বুকে গভীরভাবে ছুরি ঢুকিয়ে ঘোরানো হয়েছিল। যাতে করে ফাহিমের বাঁচার নুন্যতম চান্স না থাকে।’
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের (এনওয়াইপিডি) চিফ অব ডিটেকটিভ রডনি হ্যারিসন সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, টাইরিস ফেভন হাসপিল একজন উদীয়মান তরুণ। সে খুন করেছে আরেক উদীয়মান তরুণকে। যাকে স্মরণকালের সেরা নিষ্ঠুরতম হত্যাকাণ্ড বলা যেতে পারে। খুন করার পর খুনি কিছু আলামত রেখে গেছে। যার ফলে আমরা তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম করেছি। ফাহিমকে যেখানে হত্যা করা হয় সেখানে বেশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে অ্যান্টি-ফেলন শনাক্তকরণ কার্ড পেয়েছি- এই কার্ড টেজারে ব্যবহার করা হয়। এসব অতি ক্ষুদ্র কাগজে সিরিয়াল নম্বর লেখা থাকে। ফাহিম একজন ইয়ং মিলিওনিয়ার। আমেরিকায় তার ইনভেস্টমেন্ট আছে। এভাবে তাকে মেরে ফেলা অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়।



 

Show all comments
  • habib ১৮ জুলাই, ২০২০, ৩:২৯ পিএম says : 0
    I can't understand why he didn't provide his own security guard they will escorted him all the times such a person.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফাহিম সালেহ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ