পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জেকেজি হেলথ কেয়ারের দুর্নীতিতে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক (বরখাস্ত) ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীকে ফের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল দুপুরে ঢাকা মহানগর হাকিম মাসুদুর রহমান শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহের জন্য আজ আবার আরিফ-সাবরিনাকে মুখোমুখি করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
পুলিশ জানায়, গত ১৩ জুলাই সাবরিনাকে আদালতে হাজির করে চারদিনের রিমান্ডে চায় পুলিশ। পরে শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম শাহিনুর রহমান তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত বৃহস্পতিবার তিনদিনের রিমান্ড শেষ হয়। কিন্তু রিমান্ড শেষ হওয়ার আগের দিন তার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরীকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করা হয়। পরে শুনানি শেষে তাকে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এরপর ডা. সাবরিনা ও আরিফকে একাধিকবার মুখোমুখি করা হয়। এ সময় একে অন্যের উপর দোষ দেন। এরই মধ্যে ডা. সাবরিনার রিমান্ড শেষ হয়ে যায়। পরে গতকাল দ্বিতীয় দফায় তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, তিনদিনের রিমান্ডে থাকা অবস্থায় সাবরিনাকে দফায় দফায় মামলার বিষয়ে বিশদ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এসময় মামলা সংক্রান্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেন তিনি। যা যাচাই-বাছাই চলছে। সাবরিনা তার সহযোগীদের নিয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠানের নাম ও লোগো ব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে করোনাভাইরাসের পজিটিভ ও নেগেটিভের জাল রিপোর্ট সরবরাহ করেছিলেন। নিরীহ লোকদের টাকা আত্মসাৎ এবং অবহেলার মাধ্যমে রোগের সংক্রমণ বিস্তারে সহায়তা করে আসছে সাবরিনা। সাবরিনা স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিভিন্ন সূত্রে প্রভাব খাটিয়ে স্বামী আরিফুল হক চৌধুরীর জেকেজি হেলথ কেয়ারকে বিভিন্ন সরকারি কাজের আদেশ পাইয়ে দিতেন। ফলশ্রæতিতে জেকেজি হেলথ কেয়ার বেপরোয়াভাবে সমাজে এ ক্ষতিসাধন করে এবং বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে বলে সাক্ষ্য প্রমাণে পাওয়া যায়।
আবেদনে আরো বলা হয়, মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে আসামির সহযোগী অন্যান্য পলাতক আসামিদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ, গ্রেফতার, আলামত উদ্ধার, এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদফতর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে কোন ব্যক্তি এই ঘটনায় জড়িত তা উদঘাটনে আসামিকে আরও পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয়া প্রয়োজন। শুনানি শেষে বিচারক সাবরিনাকে আরো দুই দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হীরন জানান, শুনানির সময় কাঠগড়ায় সাবরিনা অনেকটাই নির্বিকার দেখা যায়। বিচারকের সঙ্গে কোনো কথা তিনি বলেননি, কোনো রকম প্রতিক্রিয়াও দেখাননি।
এদিকে সাবরিনার স্বামী জেকেজি হেলথ কেয়ারের সিইও আরিফুল হক চৌধুরী বর্তমানে দ্বিতীয় দফা রিমান্ডে গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজেতে আছেন। ইতোমধ্যে ডিবি কার্যালয়ে কয়েক দফা তাদের মুখোমুখি করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আজ আবার তাদের মুখোমুখি করা হবে। গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, তাদের জাল জালিয়াতির বিষয়টি অনেকটা প্রমাণিত। আমাদের এখন মূল টার্গেট এভিডেন্স কালেক্ট করা। যার ভিত্তিতে ডা. সাবরিনাকে ফের রিমান্ডে আনা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১২ জুলাই ডা. সাবরিনাকে তেজগাঁও বিভাগীয় উপ-পুলিশ (ডিসি) কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।