মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যেই সম্পূর্ণ প্রস্তুত হয়ে যেতে পারে ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি সম্ভাব্য করোনা ভ্যাকসিন। বর্তমানে ব্রাজিলে ভ্যাকসিনটির পরীক্ষার সর্বশেষ ধাপ ফেজ থ্রি হিউম্যান ট্রায়াল চালানো হচ্ছে। ফেজ ওয়ান ট্রায়ালের রিপোর্টও তৈরি হয়ে গিয়েছে। আগামী সোমবার সেটি বিজ্ঞান পত্রিকা ল্যানসেটে প্রকাশিত হবে বলে বুধবার জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে, প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, করোনার বিরুদ্ধে মানব শরীরে ভ্যাকসিনটি জোড়া প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ার সক্ষমতা দেখিয়েছে।
অক্সফোর্ডের পাশাপাশি বিশ্বের আরও বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান তাদের ভ্যাকসিনের হিউম্যান ট্রায়াল চালাচ্ছে। তাদের মধ্যে রাশিয়ার সেচনেভ বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ভ্যাকসিন সব পরীক্ষায় সফল হয়েছে বলে ঘোষণাও দিয়েছে। তবে সবার চেয়ে যে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা যে কয়েক কদম এগিয়ে, তা মেনে নিয়েছেন বিশেষজ্ঞরাও। ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার দিক থেকেই শুধু নয়, ফলাফলেও তাদের প্রতিষেধক ব্যতিক্রমী। সারা গিলবার্টের নেতৃত্বে অক্সফোর্ডের গবেষকরা জানিয়েছেন, অ্যান্টিবডি তৈরির পাশাপাশি তাদের তৈরি ভ্যাকসিন করোনার বিরুদ্ধে ‘টি-সেলস’ তৈরিতেও সক্ষম। মডার্না, ফাইজার, বায়োএনটেকসহ বিশ্বের অনেক সংস্থাই তাদের ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালাচ্ছে। কিন্তু, তাদের কেউ এখনো পর্যন্ত দাবি করতে পারেনি যে, তাদের ভ্যাকসিনে অ্যান্টিবডির সঙ্গে ‘টি-সেল্স’ তৈরি হচ্ছে।
ভ্যাকসিনের অত্যাবশ্যকীয় দু’টি উপাদান হলো এই অ্যান্টিবডি এবং ‘টি-সেল’ রেসপন্স তৈরি করা। অ্যান্টিবডি শরীরের মধ্যে থাকা ভাইরাস চিহ্নিত করে তার বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং ভাইরাসের কার্যকারিতা নষ্ট করে দেয়। আর ‘টি-সেলস’ শুধু অ্যান্টিবডি তৈরিতে সাহায্যই করে না, ভাইরাসে আক্রান্ত কোষগুলোর ওপরেও কাজ করে এবং ভাইরাসকে নিষ্ক্রীয় করে দেয়। হাম, সর্দি-কাশির মতো রোগে এই টি-সেল্স অত্যন্ত কার্যকর। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি খুব বেশি দিন থাকে না। কিন্তু এই টি-সেল্স শরীরের মধ্যে বহু বছর পর্যন্ত থাকে। পরবর্তীতে কখনো ওই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে, এই ‘টি-সেল’গুলোই ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে এবং তার কার্যক্ষমতা নষ্ট করে দেয়।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় তাদের সহযোগী সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকার মাধ্যমে ফেজ ওয়ান ট্রায়ালে এক হাজার জনের উপর পরীক্ষামূলক ভাবে তাদের ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে। পরে তাদের রক্তের নমুনা পরীক্ষায় করোনা প্রতিরোধে সক্ষম অ্যান্টিবডি ও ‘টি সেল’- দুয়েরই অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এই দ্বিগুণ সক্ষমতাই অক্সফোর্ডের স্বাতন্ত্র্য এবং দ্রুত সাফল্য পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। সূত্র: স্কাই নিউজ, বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।