Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আশুলিায়ায় একটি পোশাক কারখানায় ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ, মামলা

সাভার থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ জুলাই, ২০২০, ৮:৪১ পিএম

বেতন না পেয়ে সাভারের আশুলিায়ায় একটি তৈরি পোশাক কারখানায় ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। এঘটনায় ভাঙচুরে বাধা দিলে কারখানার ১৫ জন কর্মকর্তাকে এলোপাথারী ভাবে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে শ্রমিকরা। ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে কারখানার ১৫ জন শ্রমিকের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পাঁচ’শ জনকে আসামী করে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছে গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষ। এঘটনায় পুলিশ ওই গার্মেন্টস এর তিন কর্মকর্তাকে আটক করেছে।
আশুলিয়া ইউনিয়নের কাঠগড়া বাজার এলাকায় লিলি এ্যাপারেলন্স গার্মেন্টস কারখানায় এ ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, ওই গার্মেন্টস এর এক হাজার শ্রমিকের জুন মাসের বেতন দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন কারখানা কতৃপক্ষ। পরে ব্যাংক থেকে বেতনের টাকা একটু দেরিতে আসায় কারখানার বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা ওই পোশাক কারখানায় ভিতরে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। সকাল সাড়ে দশটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত কারখানার মুল ফটক আটকিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও তান্ডব চালায় শ্রমিকরা। এসময় শ্রমিকরা কারখানার বিশটি ল্যাপটপ, ৩৫ টি কম্পিউটার, ১০টি ফায়ার ডোর, ডাটা সার্ভার, ৮৫ টি সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর করে কারখানার ড্রয়ার ভেঙ্গে নগদ এক লক্ষ টাকাসহ কারখানার শিপ মেন্টের জন্য তৈরি করা দুই লক্ষ পিচ শার্ট লুটপাট করে পালিয়ে যাওয়ার সময় কারখানার জেনারেল ম্যানেজার মেজর (অব,) জাহিদুর রহমান খাঁনসহ ১৫ জন কর্মকর্তাকে পিটিয়ে আহত করে পালিয়ে যায়। এদিকে কারখানাটির অনেক গুলো সুইং মেশিন ও ভাঙচুর করে তারা। পরে আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে। পরে খবর পেয়ে শিল্প পুলিশ কারখানাটি পরিদর্শন করেছে। এঘটনায় কারখাটির প্রায় সাড়ে সাত কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন কারখানা কর্তৃপক্ষ।
এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার থেকে কারখানাটি মালিকপক্ষ অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষনা করেছে। ঈদের আগে প্রস্তুত করে রাখা পোশাক শিপ মেন্টের জন্য বিদেশে না যেতে পারায় কারখানার মালিক বিপাকে পড়েছেন । শ্রমিকদের এ তান্ডবের কারনে এমন অবস্থায় কারখানাটি চালানোর মত ক্ষমতা হাড়িয়ে ফেলেছে মালিকপক্ষ। পরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে বুধবার রাতে আশুলিয়া থানায় কারখানার ফ্লোর ইনচার্য শাহ আলমকে প্রধান আসামী করে ৩৫ জন শ্রমিকের নাম উল্লেখ করে আরও পাঁচ’শ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে মামলা দায়ের করেন কারখানাটির ডেপুটি ম্যানেজার ওমর আলী। এঘটনায় রাতেই পুলিশ আশুলিয়ায় অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামী ফ্লোর ইনচার্য শাহ আলম (৩৫), প্যাকার ম্যান রাকিব ফরাজী (২১) ও কোয়ালিটি ইনচার্য রাসেল আকনকে (২৯) আটক করেছে।
এবিষয়ে লিলি এ্যাপারেলন্স লিমিটেড কারখানার জেনারেল ম্যানেজার মেজর (অব:) জাহিদুর রহমান বলেন, কারও উস্কানিতে শ্রমিকরা কারখানাটিতে ভাঙচুর করতে পারে বলে আমরা মনে করছি। তদন্ত করলে আসল ঘঁটনা বেড়িয়ে আসবে বলেও মনে করেন তিনি। এদিকে কারখানার কর্মকর্তাদের মারধরের সময় তাদেরও মোবাইল ফোনও লুটপাট করে শ্রমিকরা বলে অভিযোগ করেন তিনি।
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ইন্টেলিজেন্স) ফজলুর রহমান বলেন, মামলার অন্য আসামীদেরও গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। এছাড়া কি কারণে শ্রমিকরা কারখানাটি ভাঙচুর করেছে সে বিষয়েও তদন্ত চলছে বলেও জানান তিনি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মামলা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ