নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
চার দিনের তুমুল লড়াই শেষে ম্যাচ দাঁড়িয়ে শেষ দিনের রোমাঞ্চে। শঙ্কা-আর সম্ভাবনার দোলাচলে অধিনায়কের ঘুম হারাম হওয়াই স্বাভাবিক। সাউথ্যাম্পটন টেস্টের শেষ দিনের আগের রাতে সেই অভিজ্ঞতা হয়েছে বেন স্টোকসের। ইংল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক বুঝতে পেরেছেন, নিয়মিত অধিনায়ক জো রুটকে এমন কত নির্ঘুম রাত কাটাতে হয়!
রুট ছুটিতে থাকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ইংলিশদের নেতৃত্ব দেন স্টোকস। অধিনায়কত্বের অভিষেক হয় তার হার দিয়ে। দারুণ লড়াইয়ের ম্যাচটি শেষ দিনে ৪ উইকেটে জিতে যায় ক্যারিবিয়ানরা। ম্যাচের পর স্টোকসের কথায় ফুটে উঠল, দেশকে নেতৃত্বের ভার কতটা বিষম, ‘বিশ্বের সেরা ক্রিকেটারদের একজন জো (রুট)। সে না থাকা মানে আমাদের জন্য অনেক বড় শূন্যতা। পরের সপ্তাহে আমাকে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হবে না। শুভকামনা জো। গত রাতটি ছিল একমাত্র রাত, যখন আমি ঘুমাতেই পারছিলাম না। অনেক ভাবনা মাথায় ঘুরছিল; ম্যাচটি কীভাবে শেষ হবে, কী হতে যাচ্ছে। আমি বুঝতে পারছি, কেন জো রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারে না। প্রতি ম্যাচেই তো তাকে এসবের মধ্য দিয়ে যেতে হয়।’
ইংল্যান্ডের শেষ দুই সিরিজে দলের সফলতম পেসার স্টুয়ার্ট ব্রডকে ছাড়াই একাদশ সাজায় দলটি। যা জন্ম দেয় বিতর্কের। দলে না থাকার প্রকাশ্যে ক্ষোভ জানান ব্রডও। স্টোকস সিদ্ধান্তের পক্ষে দেখালেন ক্রিকেটীয় যুক্তি, ‘সিদ্ধান্তকে সঠিক মনে করি আমি। যদি সেটা না করি, তাহলে যাদেরকে দলে নেওয়া হয়েছে, তাদের প্রতি কী বার্তা যাবে? আমার মনে হয়েছিল, ম্যাচ যত গড়াবে, গতিময় বোলার আমাদের বেশি কাজে আসবে। অবশ্যই আমরা হেরে গেছি, তবে নিজের সিদ্ধান্তকে আমি সঠিকই মনে করি।’
গণমাধ্যমে যেভাবে নিজের ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন ব্রড, তা চমকে দিয়েছে অনেককেই। তবে স্টোকস কোনো সমস্যা দেখছেন না, ‘আমার মনে হয়, স্টুয়ার্টের (ব্রড) সাক্ষাৎকার অসাধারণ ছিল। সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে তার ভেতরে এখনও যে আবেগ আছে, যেভাবে তাড়নায় জ্বলছেন, সেটা দেখা দারুণ ব্যাপার। এতে বোঝা যাচ্ছে যে, তার শেষের এখনও অনেক বাকি।’
স্টোকসের আরেকটি সিদ্ধান্ত নিয়েও হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। প্রথম দিনে বৃষ্টির বাধায় খেলা শুরু হতে দেরি হয়, সময় মতো হয়নি টসও। এরপর টস জিতে কঠিন কন্ডিশনে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন এই অলরাউন্ডার। ইংলিশরা প্রথম ইনিংসে অলআউট হয় মাত্র ২০৪ রানে। তবে ব্যাট করার সিদ্ধান্তে নয়, স্টোকস গলদ দেখছেন নিজেদের ব্যাটিংয়ের ধরনে, ‘আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্তও ঠিক ছিল। আমরা যথেষ্ট দাপুটে ছিলাম না। টেস্ট ক্রিকেটের মূল ব্যাপারই হচ্ছে, প্রথম ইনিংসে বড় রান করা।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।