বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া,ইন্দুকানী, মঠবাড়িয়ায় উপজেলার কোল ঘেসে বয়ে চলেছে সর্বগ্রাসী নিষ্ঠুর কচা নদী।
ক্রমশই গ্রাস করেছে এসব উপজেলার নদীর তীরবর্তী মানুষের আশ্রয় স্থল ঘর বাড়ি ফসলী জমি ।
এই মুহূর্তে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ভান্ডারিয়ার উপজেলার নদমূলা গ্রাম, ছোট হয়ে আসছে এর আয়তন।আষাঢ়ের এই ভরা মৌসুমে কচানদী যেন এই মোহনায় রাক্ষুসে দানবীয় চরিত্র ধারণ করছে । স্রোতের ভয়াল থাবায় নীচের মাটির স্তর বিলীন হয়ে যাচ্ছে ,ফলে প্রতিদিনই কিছু না কিছু ফসলী জমি গাছপালা কেড়ে নিচ্ছে এই ক্ষুধার্ত কচা নদী।
গত ১৩ জুলাই সকাল থেকে শুরু হয়ে এর ক্ষুধা আর রুপ আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। নদমূলা গ্রামের উত্তর সীমান্তে একদিনে চোখের নিমিষেই ডুবে গেছে খায়ের মিয়ার তিন একর জমির উপর গাছপালা সহ পুরো বাড়ি শুধু মাত্র ঘরের কিছু অংশ খুলে নিতে পারলেও গাছপালা সহ যখন ডুবে যায়র সময় এক ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এর পর পরই মোঃমহসিন খান সহ অন্যান্য পরিবারের আরো ৩বিঘার মতো জায়গা গাছপালা সহ তলিয়ে যায়। দ্রুত সময়ের মধ্যে মালামাল গবাদি পশু গাছপালা সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু সামান্য কিছু ছাড়া তেমন কিছুই সরিয়ে নিতে পারেনি পরিবারগুলো। ইতিমধ্যে যে বেড়িবাদটি ছিল তার অস্তিত্বও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে জোয়ারের সময় পুরো এলাকাটি পানিতে তলিয়ে যায়। ফসলি জমি সহ কাচাপাকা ঘর বাড়িসহ পরিবারগুলো হুমকির মুখে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।
এর আগে সেকান্দার পঞ্চায়েত, নওশের আজাদ, সেলিম ডিলার, আবু মিয়া,নান্না মিয়া,মেকরুল হোসেনসহ প্রায় অর্ধশত পরিবার ঘরবাড়ি হারিয়ে পাশবর্তী ১৬নং নদমূলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেল্টারে আশ্রায় নেয় কেহ কেহ আশ্রয় নিয়েছে তাদের আত্নীস্বজনের বাড়ীতে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মোঃতৌহিদুল ইসলাম সহকারী কমিশনার (ভূমি) তিনি ঝুঁকিপূর্ণ লোকজনকে নিরাপদে থাকার পরামর্শ দেন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ২০হাজার টাকা আর্থিক সহযোগিতা করেন এবং ভাঙ্গন রোধের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা স্থানটি পরিদর্শন করেন কিন্তু এই ভাঙ্গন রোধের প্রতিকারের কোন আশার বানি শোনাতে পারেনি ভুক্তভোগীদের। ক্ষতিগ্রস্ত আয়েশা খাতুন (৭০) কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন আর বলেন আমার বাবার কবর থাকবে তো? না নতুন করে কবর অন্য কোথাও সরিয়ে নিতে হবে।কে দেবে তার এই প্রশ্নের জবাব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।