বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুষ্টিয়ায় জেলায় করোনা রোগির সংখ্যা হাজারের ঘর ছাড়িয়ে গেল। গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় নতুন করে আরো ৪৮ জন করোনা রোগি সনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১০২২ জনে। এদিকে কুষ্টিয়া শহরে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। দিন দিন হটস্পটে পরিণত হচ্ছে এই শহর। নতুন আক্রান্তের মধ্যে কুষ্টিয়ায় শহরেই রয়েছেন ২৭ জন রোগি। আর জেলার মোট আক্রান্তের প্রায় অর্ধেকই কুষ্টিয়া শহরের।
কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের তথ্য মতে এখানকার পিসিআর ল্যাবে গতকাল সোমবার জেলার মোট ১২৮টি নমুনা টেষ্ট করা হয়। এর মধ্যে ৪৮টি নমুনা পজিটিভ আসে। এ হিসেবে আক্রান্তের হার শতকরা ৩৭.৫ জন। আক্রান্তদের মধ্যে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ৩৪ জন, দৌলতপুর উপজেলায় ৬ জন, কুমারখালি উপজেলার ৬ জন ও ভেড়ামারা উপজেলার ২ জন রোগি সনাক্ত হয়েছে। এদিকে সদর উপজেলায় আক্রান্ত ৩৪ জনের মধ্যে ২৭ জনই কুষ্টিয়া পৌর এলাকা তথা শহরের বাসিন্দা। আবার জেলার মোট আক্রান্তের প্রায় অর্ধেক রোগিই কুষ্টিয়া শহরের। এতে করে কুষ্টিয়া শহর দিন দিন করোনা হটস্পটে পরিণত হচ্ছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। প্রসঙ্গত, কুষ্টিয়া শহরের আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এর আগে ১৬ জুন রেডজোন ঘোষণা করা হয়। পরে ২৫ জুন থেকে পুরো শহরকে লকডাউন করা হয়। টানা ১৪দিন লকডাউন চললেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। লকডাউনের আগে যেভাবে রোগির সংখ্যা বাড়ছিল, লকডাউন চলাকালেও সে ধারা অব্যাহত থাকে। এই ভয়াবহ অবস্থার মধ্যেও স্থানীয় প্রশাসন গত ৮ জুলাই লকডাউন প্রত্যাহার করে নেয়। খুলে যায় শহরের বিপনি বিতান-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। পবিত্র ঈদুল আযাহা সামনে রেখে শহরের দোকান পাটে প্রতিদিনই লোক সমাগম বাড়ছে। বিশেষ করে তৈরী পোশাক, কাপড় আর প্রসাধনীর দোকানে গাদাগাদি করে কেনাকাটা শুরু করেছে মানুষ। এখনই লাগাম টানা না গেলে কুষ্টিয়া শহরের করোনা পরিস্থিতির আরো অবনতি হবে বলে মনে করছেন অনেকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।