Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভয়ঙ্কর বন্যার করাল থাবা

চীনে ১৫০, নেপালে ৫৪,আসামে ৪২ জনের প্রাণহানি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ জুলাই, ২০২০, ১২:০১ এএম

ভয়ঙ্কর বন্যার করাল থাবায় চীন, নেপাল ও আসামে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি হয়েছে। চীনে ভয়াবহ বন্যায় ইতোমধ্যে ১৫০ জনের বেশি লোকের প্রাণহানি ঘটেছে বা নিখোঁজ হয়েছেন। এছাড়া দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে এই বন্যার কবলে পড়েছেন প্রায় ৩ কোটি ৮০ লাখ মানুষ। রবিবার দেশটির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। দেশটির ফ্লাড কন্ট্রোল অ্যান্ড ড্রাউট রিলিফ হেডকোয়ার্টারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২৭ রাজ্যে বন্যায় প্রায় ৩ কোটি ৮০ লাখ কবলে পড়েছেন। এদের মধ্যের জিয়াংজি, আনহুই, হুবেই এবং হুনান প্রদেশও রয়েছে। এতে ১৫০ জন মারা গেছে বা নিখোঁজ রয়েছে এবং ২০ লাখ ২৫ হাজার লোককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ইয়াংজি নদী সংলগ্ন এলাকাগুলোতে ভারী বর্ষণ চলতে থাকায় রোববার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মাত্রার বন্যা সতর্কতা জারি করেছে দেশটি। খবর রয়টার্সের। চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, এ বছর সেদেশে বন্যাজনিত কারণে মারা যাওয়া বা নিখোঁজ হওয়া মানুষের সংখ্যা ১৫০ জনে দাঁড়িয়েছে। বন্যায় ৩৫ দশমিক ৩ লাখ হেক্টর কৃষিজমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানিতে ভেসে গেছে ২৮ হাজার ঘরবাড়ি এবং ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ১১ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। দেশটির পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জুলাইয়ের প্রথমদিক থেকে ৪৩৩টি নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে, এরমধ্যে ৩৩টি নদীর পানি স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উচ্চতা অতিক্রম করেছে। প্রবল বৃষ্টির কারণে ভূমিধসের ফলে গত তিনদিনেই নেপালের বিভিন্ন জায়গায় অন্তত ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরো অন্তত ৪০ জন এবং নিখোঁজ রয়েছেন ৩৯ জন। এরই মধ্যে গতকাল রবিবার মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১০ জনের। জানা গেছে, গত তিনদিনে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের ফলে নেপালের ১৯টি জেলায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় ধস নেমেছে। সরকারিভাবে উদ্ধার তৎপরতা চালানোর চেষ্টা করা হলেও প্রতিকূল পরিবেশের জন্য তা সম্ভব হচ্ছে না। এদিকে বৃষ্টির ফলে হওয়া ভূমিধসের কারণে গত তিনদিনে কমপক্ষে ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। সাতজনের মৃত্যু হয়েছে মায়াগদি, দু'জনের জাজারকোট ও একজনের সিন্ধুপালচক জেলায়। এছাড়া পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত শঙ্খুওয়াসাভা জেলায় ভয়াবহ ভূমিধসের ফলে আটটি বাড়ি নদীর পানিতে ভেসে গেছে। এ ঘটনায় নিখোঁজ হয়েছেন অন্তত ১১ জন। এদিকে, চারদিনের অবিরাম বর্ষণে আসামে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এতে অন্তত ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ১৩ লাখ মানুষ। সোমবার সকালে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় আসাম ও পার্শ্ববর্তী অরুণাচল প্রদেশে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে। এছাড়া আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকতে পারে বলে আভাস দিয়েছে ভারতীয় আবহাওয়া অধিদফতর (আইএমডি)। যা বন্যা পরিস্থিতি অবনতির ইঙ্গিত। গৌহাটি, ডিব্রুগড়, ধুবরি, গোয়ালপাড়া, জোরহাট ও সোনিতপুর জেলায় বিপৎসীমার ওপর দিয়ে ব্রহ্মপুত্রের পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ধেমাজি, লক্ষীপুর, বিশ্বনাথ, সোনিতপুর, উডালগুরি, দারাং, বাকসা, নলবাড়ি, বারপেটা, চিরাং, বোনগাইগাঁও, কোকরাজহার, ধুবরি, গোয়ালপাড়া, কামরূপ, মোরিগাঁও, নাগাঁও, পশ্চিম কারবি আংলং, গোলাঘাট, জোরহাট, মাজুলি, শিবাসাগর, ডিব্রুগড় ও তিনসুকিয়া জেলায় ব্যাপক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দপ্তর। রয়টার্স, সিনহুয়া, এনডিটিভি, পিটিআই।

 



 

Show all comments
  • আহম্মেদ মূণীর ১৪ জুলাই, ২০২০, ৪:৩১ পিএম says : 0
    আল্লাহ তায়ালা আমাদের দেশে মানুষদের এই করোনা ভাইরাস ও বন্যার কবল হতে রক্ষা করুন আমিন ইয়া রাব্বি।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভয়ঙ্কর-বন্যা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ