বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বাবা পল্লী চিকিৎসক আর ছেলে স্বাস্থ্যকর্মী। তারা দুজনেই আক্রান্ত হন করোনাভাইরাতে। বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার শালবাড়ীয়া গ্রামের পল্লী চিকিৎসক ইয়াদ আলী (৬০) এবং বড় ছেলে ভ্যাকসিনেটন (স্বাস্থ্যকর্মী) খানজাহান আলী বাদশা (২৮) গতকাল খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেছেন। বাবার মৃত্যুর পর ১০ ঘণ্টার ব্যবধানে বিকালে ছেলের মৃত্যু হয়।
এদিকে ইয়াদ আলীর স্ত্রী কহিনুর বেগম (৫৫) খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ও ছোট ছেলে ফকিরহাট উপজেলা হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী সামর্থ আলী (২৫) করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন জীবন-মৃত্যুর মুখোমুখি। বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ নমুনা সংগ্রহের পর গত মঙ্গলবার আইইডিসিআর থেকে জানানো হয় পল্লী চিকিৎসক ইয়াদ আলী, স্ত্রী কহিনুর বেগম, দুই ছেলে স্বাস্থ্যকর্মী খানজাহান আলী বাদশা ও স্বাস্থ্যকর্মী সামর্থ আলী করোনা পজেটিভ বলে রিপোর্ট আসে। এরপর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বুধবার সকালে ইয়াদ আলী, স্ত্রী কহিনুর বেগম, বড় ছেলেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয়। শনিবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে পল্লী চিকিৎসক ইয়াদ আলী মৃত্যু হয়। পরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দুপুরে ইয়াদ আলীকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। ইয়াদ আলী মৃত্যুর মাত্র ১০ ঘণ্টা পর বড় ছেলে স্বাস্থ্যকর্মী খানজাহান আলী বাদশাও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা যায়। এ নিয়ে ফকিরহাট উপজেলায় তিন জনসহ বাগেরহাট জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ৬ জনর মারা গেলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।