Inqilab Logo

সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

বাংলাদেশে বারবার আসতে চান আকিব

প্রকাশের সময় : ৩১ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : তাকে পূর্ণাঙ্গ বোলিং কোচ হিসেবে পেতে চেয়েছিলো বাংলাদেশে ক্রিকেট বোর্ড। তবে সে আশা না মিটলেও অবশেষে আকিব জাভেদকে পেল বিসিবি। লম্বা সময়ের জন্য না হলেও বিসিবির হাই পারফরম্যান্স স্কোয়াড ও জাতীয় দলের হয়ে স্বল্প সময়ের জন্য কাজ করবেন তিনি। সে লক্ষ্যে গেল পরশুই ঢাকায় পা রেখেছেন আকিব। আগামী এক সপ্তাহের জন্য বাংলাদেশের উদীয়মান ক্রিকেটারদের উন্নত প্রশিক্ষণ ও জাতীয় দলের উপযোগী করে গড়ে তুলতে কাজ করবেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাবেক এই কোচ। শুধু তাই নয়, মাশরাফি, রুবেলদেরও খানিকটা পরখ করে দেখার আশায় জাতীয় দলের ৯ আর এইচপি স্কোয়াড থেকে ১৭- এই ২৬ জনকে নিয়ে আজ থেকেই কাজে নেমে পড়েছেন সাবেক এই পাকিস্তানী পেসার।
বাংলাদেশের ক্রিকেট সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখেন আকিব জাভেদ। ক্রিকেট নিয়ে দেশটির মানুষের আবেগের কথাও অজানা নয় তার। বাংলাদেশের তরুণ পেসারদের সঙ্গে কাজ করতে বারবার ফিরে আসার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন তিনি। গতকাল মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আকিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘চার মাস আগেই এশিয়া কাপের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে এখানে এসেছিলাম। বাংলাদেশে আসাটা সব সময়ই দারুণ। বাংলাদেশের মানুষের ক্রিকেটের জন্য ভালোবাসা অসাধারণ, এই ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এক নম্বর।’
পাকিস্তানের সাবেক পেসার আকিব জানান, সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রধান কোচের পদ ছাড়ার পর পিএসএলের দল লাহোর কালান্দার্সের ক্রিকেট পরিচালনা পরিচালক হিসেবে যোগ দিয়েছেন তিনি। তাই এখন বাংলাদেশের পেসারদের নিয়ে কাজ করার সময় বের করতে পারছেন, ‘আমি বিসিবিকে জানিয়েছি, আমি আসতে পারব এবং তোমাদের বোলারদের সহায়তা করতে পারব। টাকা কোনো সমস্যা নয়। বছরে বিভিন্ন সময়ে আমি ৩-৪ সপ্তাহ ওদের সঙ্গে কাজ করতে পারব।’
মিরপুরে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমি মাঠে গতকাল মেহেদি হাসান রানা, রিফাত প্রধানদের সঙ্গে কাজ করেন আকিব। এর ফাঁকেই সাংবাদিকদের নিজের পরিকল্পনা-কৌশল নিয়ে বলেন পাকিস্তানের সাবেক এই পেসার, ‘আমরা পেস বোলিংয়ের টেকনিক্যাল ভিত্তিগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। এগুলো হল- মোমেন্টাম, গ্রাউন্ড ফোর্স আর গতি। আমি বোলারদের অ্যাকশন পরিবর্তনে বিশ্বাস করি না। তবে ওদের গতি বাড়াবে এমন কিছু যোগ করায় বিশ্বাসী। আজকে আমরা গতির দিকে মনোযোগ দিয়েছি। আপনাকে আপনার সামর্থ্য কাজে লাগাতে হবে। আমরা ওদের দৌড়ের গতিতে ১-২ কিলোমিটার, ওদের সামনের পায়ের গতি শোষণ ও ভারসাম্যে ১-২ কিলোমিটার ও পুল-পুশ কৌশলে আরও ১-২ কিলোমিটার গতি বাড়ানোর কথা ভাবছি।’
আকিব জানান, তাদের লক্ষ্য ৫-৬ কিলোমিটার গতি বাড়ানো। আজ থেকে মানসিক স্কিল নিয়ে কাজ শুরু করবেন। শেষ দিকে আসবে কৌশলগত শিক্ষা- কখন আক্রমণ করতে হবে, কখন বৈচিত্র ব্যবহার করতে হবে। বোলিংয়ে বৈচিত্র কি আর প্রত্যেক বোলারের কোন ব্যাপারগুলো থাকতেই হবে, তা নিয়েও কাজ করার কথা জানান তিনি, ‘আপনি যখন আন্তর্জাতিক তারকা হিসেবে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন তখন মানুষকে দেখানোর জন্য আপনার মধ্যে একটা কিছু থাকতে হবে। যেমন, শোয়েব আখতারের গতি ছিল, গেøন ম্যাকগ্রার ছিল নির্ভুলতা, মুস্তাফিজুর রহমানের মতো প্রথাবিরুদ্ধ কিছু।’
পাকিস্তানের হয়ে ১৮৫টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা এই পেসারের বিশ্বাস, কাউকে বোঝার জন্য এবং তাকে কিছু বোঝানোর জন্য ৬ দিন যথেষ্ট সময়, ‘আপনি কি অর্জন করতে চাচ্ছেন সে ব্যাপারে যদি স্পষ্ট ধারণা আপনার থাকে, তাহলে আমি মনে করি, পাঁচশ’ জনকে পেলেও কোনো ব্যতিক্রম হবে না। বার্তাটা পৌঁছানো গুরুত্বপূর্ণ। সকালের সেশনে আমি পেস বোলিংয়ের ভিতের ওপর জোর দিয়েছি। এই সেশনের পর আমি সবাইকে অন্যদের এই তিন ভিত্তির ব্যাপারে বলতে বলেছি। আপনি যদি না বুঝে থাকেন তাহলে কোনো কাজে আসবে না। যাওয়ার আগে আমি নিশ্চিত করে যাব, এখানে পেস বোলিং কোচ থাকবে।’

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাংলাদেশে বারবার আসতে চান আকিব
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ